News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

Workplace discipline

Started by jihad, November 27, 2013, 01:05:44 PM

Previous topic - Next topic

jihad

কর্মক্ষেত্রের নিয়মানুবর্তিতায়


অফিসটা সরকারি হোক অথবা বেসরকারি, চাকরি হোক বা ব্যবসা আপনি সেখানকার একজন হিসেবে আপনাকে অফিসের কিছু মৌলিক রীতিনীতি মনে চলতে হবে। কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানভেদে অফিসের নিয়মনীতি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে ঠিকই কিন্তু মূল বিষয়গুলো কিন্তু একই ধরনের। এরকমই একটি বিষয় কর্মক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতা।

জ্যামে পড়েছি, বাচ্চার অসুখ, বাসা পাল্টালাম, হঠাৎ মাঝপথে গাড়িটা নষ্ট আরো কত অজুহাত! অফিসে দেরি করে বা কামাই দিয়ে বস বা কর্তৃপক্ষকে এ রকমই বলেন অনেকে। আবার অফিসে এসেও কাজ ফেলে খোশগল্প আর আড্ডাবাজি। আসলে কাজে ফাঁকি দিলে কতভাবেই দেয়া যায়। আপনি ভাবছেন, রোজ রোজ ফাঁকি আর একেকটা অজুহাত কে ঠেকাচ্ছে আপনাকে! আসলে কি তাই? আপনিই ঠকছেন। ক্যারিয়ারে এর কুফল পড়ছেই। ব্যক্তিত্ব খাটো হচ্ছে, হারাচ্ছেন বিশ্বস্ততা। তাই কাজের অফিসে কাজটাকেই বড় করে দেখুন আর কাজ ঠিক সময়ে করার জন্য সময়জ্ঞানটা ঠিক রেখে চলুন।

- অফিসে সঠিক সময়ে যেতে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে। এ জন্য রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন আগেভাগেই। ঘুমের আগে চা, কফি পরিহার করুন। এতে করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

- যাঁদের ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস নেই, তাঁরা হুট করে এক দিনেই অভ্যাস করার চেষ্টা করবেন না। বরং প্রতিদিন একটু একটু করে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চর্চা করুন। না হলে হঠাৎ করে শুরু করলে তন্দ্রাচ্ছন্নতায় সারা দিনের কাজ মাটি হবে।

- আপনার ঘড়ির সময়টি সঠিক সময় অনুসরণ করছে কি না, পরখ করে নিতে ভুলে যাবেন না। সঠিক সময়ের চেয়ে ১০ মিনিট এগিয়ে রাখলে প্রতিযোগিতাময় পৃথিবীতে আপনি এগিয়ে গেলেন কিছুটা সময়।

- সব কাজ গুছিয়ে করার চেষ্টা করতে হবে। অফিসের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ যেমন: নোটবুক, ল্যাপটপ, কলম, পরিচয়পত্র, ফাইলপত্র ইত্যাদি রাতেই ব্যাগে গুছিয়ে নিন। ঘড়ি, মানিব্যাগ, মুঠোফোন রাখুন হাতের কাছে। পরদিন কোন পোশাক, জুতা ও মোজা পরবেন তা আগেই গুছিয়ে রাখুন।

- নারীদের ক্ষেত্রে সংসার-অফিস দুটোই সামলাতে হয়। তাঁরা রাতের সময়টা কাজে লাগাতে পারেন। সকালের নাশতা তৈরি করে রেখে দিতে পারেন রাতেই। পাশাপাশি বাচ্চাদের পোশাক, ব্যাগ, বই, খাতা রাতেই গুছিয়ে রাখুন।

- বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে আর তাঁদে জন্যই আমাদের জীবনের সবকিছু করা। তাই তাঁদেরও সময় দিতে হবে। তাঁদের নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা বাড়িতে কোনো আয়োজন করতে চাইলে পরিকল্পনাটি যেন হয় ছুটির দিনে। আর আয়োজনের পর দিনটিও ছুটির দিন হয় কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাহলে তড়িঘড়ি করে ঘুম থেকে ওঠার তাড়া থাকবে না।

- এ ছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে ঘড়ি, মুঠোফোন কিংবা ল্যাপটপ সঠিক সময়ে অ্যালার্ম দিতে ভুলবেন না। অ্যালার্ম দেওয়ার সময় সকাল (এএম) ও দুপুর (পিএম)-এ যেন গন্ডগোল না হয়। অবশ্যই একবার নয়, অ্যালার্ম যেন কমপক্ষে তিনবার বাজে, সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত হোন।

- সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করা, তৈরি হওয়া, সকালের নাশতা করা ও বের হওয়ার মতো প্রস্তুতির ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন ৩০ মিনিট এগিয়ে থাকতে। তাহলে হঠাৎ কোনো সমস্যা হলে সময়টা পুষিয়ে যাবে।

- দূরত্ব ও যানজটের পরিস্থিতি বুঝে বাসা থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ুন। যানজট, যানবাহনের সমস্যা নিত্যদিনের। ফলে এগুলো দেরি হওয়ার কোনো অজুহাত হতে পারে না।

- অফিসে আসার সময় বড় ধরনের অসুবিধায় পড়লে তখনই ফোন করে কর্তৃপক্ষকে জানান। এতে আপনি দেরি করে ফেললেও প্রয়োজনে অফিস আপনার কাজটি অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেবে।

- শুরুতেই সারাদিনের কাজের পরিকল্পনা করে নিন। সঠিকভাবে এবং সময়মতো করার জন্য কাজের সূচি তৈরি করতে পারেন।


Source: http://www.priyo.com/2013/04/18/16165.html