News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

সফল ক্যারিয়ার গঠনের সঠিক দিকনির্দেশনা

Started by Monirul Islam, June 19, 2018, 11:40:26 AM

Previous topic - Next topic

Monirul Islam

ক্যারিয়ারের প্রাথমিক ভূমিকা থাকে ব্যক্তিনিষ্ঠ চিন্তা, কিন্ত আমরা সবসময় অন্যের উপর নির্ভর করি, যদিও একটি সময় আসে যখন নিজের চিন্তা নিজেকেই করতে  হয় ৷ সত্যি বলতে ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন ব্যক্তিরাই সহজে সফল হয়, ১০ম শ্রেণীর কোন শিক্ষার্থীকে যদি প্রশ্ন করি, তুমি কি পর্যন্ত পড়ালেখা করবে? সে হয়তো উত্তর দিবে আমি ইন্টার পর্যন্ত পড়বো, এরপর বাবা মা পড়াতে চাইলে কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক শেষ করবো ইত্যাদি ৷

সাধারণত মধ্যবিতদের সন্তানরা ইন্টারের পর বেশি দূর আগাতে পারে না, কারণ পড়ালেখার খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হয় ৷
এরপর যদি প্রশ্ন করা হয়, তুমি ভবিষ্যতে কি হতে চাও? সে হয়তো হাসবে, নয়তো বিষয়টা এড়িয়ে যাবে ৷ মূল কথা গড়ে দশজন শিক্ষার্থীর মধ্য একজনও স্পষ্ট করে বলতে পারে না, সে ভবিষ্যত কি হতে চায়, কিসের জন্য তার প্রাতিষ্ঠানিক শ্রম ৷ অর্থাত পড়ালেখা করে কি করবে, বা কি হবে সে নিজেই জানে না ৷ অবশ্য অনেককে প্রশ্ন করলে দু'একজন কোনভাবে বলে চাকরি করবো, তাছাড়া সরকারি চাকরির প্রতি সবারি কমবেশি আগ্রহ থাকে, যদিও নিশ্চয়তার হার খুবই কম ৷
ক্যারিয়ার গঠন

আমাদের সামাজিক পেশা সমূহঃ
চাকরি একটি পেশা, পৃথিবীতে এমন অনেক পেশা আছে যেমনঃ ব্যাবসাদার, অভিনেতা, সেবিকা, উকিল, সাংবাদিক, ফ্রিল্যান্সার, বিমান চালক, পশু চিকিৎসক, বাবুর্চী, যতির্বীদ, সাংগঠনিক, অনুবাদক, নথিরক্ষক, নিবন্ধক, চাকরিজীবী, পরিচালক, শিক্ষক, বৈজ্ঞানিক, লেখক, দন্তবিশারদ, সম্পাদক, কূটনীতিবিদ, ফিজিশিয়ান, প্রকৌশলী, অধ্যাপক, সার্জন, আইনজীবি, আর্থিক বিশ্লেষক, ঔষধ প্রস্তুতকারী, গায়ক, শ্রমিক, দার্শনিক, মনোবিশারদ, সামরিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক, স্থপতি, সমাজকর্মী, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক ইত্যাদি ৷ এখানে কয়েকটি পেশা উপস্থাপন করেছি মাত্র, বাংলাদেশ ও ভারতে এইসব পেশার প্রচলন বেশি ৷ এতগুলো পেশা, দেখা যায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী দু'চারটি পেশা ছাড়া বাকিগুলোর নামও জানে না! তাহলে সেটাকে ক্যারিয়ার বা ভবিষ্যতের লক্ষ কি করে করবে ৷

৮ম শ্রেণীর পর থেকেই তার লক্ষের প্রতি আংশিক গুরুত্ব দেয়া হয়, যাতে বিজ্ঞান, ব্যবসায়ে ও রাজনীতির যে-কোন একটিতে নিদৃষ্ট লক্ষ নির্ধারণ করতে পারে ৷

চাকরি ও ব্যবসার মধ্য সেসব পার্থক্যঃ
যদিও আজকের বিষয় এটা নয়, কারণ "চাকরী নাকি ব্যবসা" এই ভূমিকায় নিদৃষ্ট আলোচনা করেছি, তবুও কিছুটা আলোকপাত করা উচিত ৷
একজন শ্রমীক কিছু অর্জন করে, মালিক পক্ষকে দিলো, মালিক পক্ষ তা বিভিন্ন বিভাগে বন্টন করে কিছু অংশ শ্রমীককে মজুরি বা প্রতিদান হিসেবে দিলো, একটি নিদৃষ্ট সময়ে প্রাপ্তির ফলে বিনিময়টা নিরাপত্তা পায়, যে কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী চাকরীর প্রতি আগ্রহী ৷ এটাই হলো ব্যবসা বা চাকরির মূল সূত্র কারণ এই সামান্য লাইন বা সূত্রের আদলেই ব্যবসায়ে শিক্ষা ৷

অনেকের ধারণা বাংলাদেশে চাকরি নেই, প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী সনদ নিয়ে বের হয়, এত পদ আসবে কোথা থেকে? এত কোঠা কোথায় যে, তাদের কর্ম দেয়া যায়? ইত্যাদি ৷
হ্যাঁ এটা সত্য, তবে এই সময়ের জন্য নয়, বাংলাদেশে একটা সময় ছিলো যেখানে শিক্ষিত অনুযায়ী কর্ম শূণ্যতা ৷ অবশ্য এই সমস্যাটি এখন না থাকলেও মনোভাব অক্ষুন্ন আছে ৷

বাংলাদেশে প্রতিবছর যত শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট নিয়ে বের হয়,
একইভাবে বাংলাদেশের যত শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে, সরকারী বেসরকারি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে বৃহত শিল্প ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে পরিমাণ কর্মীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যদি সবাই সে অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ দেয়, তাহলে বিদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করতে হবে ৷

কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো ভেবেচিন্তে উত্তর দিতে হয়, নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে কোনকিছু না ভেবে সহসা উত্তেজিত হওয়া উচিত হবে না, যদিও (প্রথম) এই মন্তব্য আমি করলাম ৷ তাই বলে এটা ভাবা উচিত নয়, আমি শুধু স্বাধিনতার ব্যবহার করেছি! মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে, এবং আমার টিমের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে অনুসন্ধান করে এই মতে প্রতিবিম্ব দাড় করলাম!

জেলা পর্যায় ও পৌরসভা থেকে একটু ভেতরে গেলেই দেখা যায় একেকটি এলাকার অধিকাংশ ছেলেরা ইন্টার পাশ করে, চাকরি না পেয়ে, দূরদূরান্তে গিয়ে দিন মজুরের কাজ করে ৷
নিজ এলাকায় খুঁজলে না পাওয়ার কারণ অন্যরা তিরষ্কার করবে যে শিক্ষিত হয়ে, ভূমিতে কাজ করে, মাটি কাটে সে কারণে অন্যান্য জায়গায় এসব করে পরিবারকে মিথ্যা বলে সান্তনা দেয় ৷ একজন শিক্ষার্থীর জীবনে বেকারত্ব নামক অভিশাপ নেমে আসার কারণ কি হতে পারে? শিক্ষা, অর্থ, দিকনির্দেশনা না বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ? নাকি এমনিতেই কোঠা খালি থাকা সত্বেও মালিক পক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয় না?

একটি ছেলে যে কি-না ইন্টার পাশ করে সার্টিফিকেট নিয়ে কর্মের সন্ধানে ঘুড়ছে, আপনি তার কাছে যান, অবস্থা দেখেন সুন্দর করে একটি বায়োডাটা লিখতে পারে না! জীবনী তো দূরে থাক! তার কাছে যেটি আছে (আবেদনের জন্য) কোন ব্যক্তির সাহায্যে করা ৷ "গণমুখী কোন আলোচনা ব্যক্তিনিষ্ঠ হতে পারে না, দশের মধ্যে ছয় থেকে আট জনের অবস্থার উপর ভিত্তি করে আলোচনা করা হচ্ছে" এটা স্বরণে রাখতে হবে ৷

গ্রামের শিক্ষার্থীরা, পায়ের নখে কাঁদা ঢুকলে সমস্যা হবে, চাকরীতে নেবে না, বিদেশ যেতে পারবে না ৷ পরিশ্রম করলে ক্যালসিয়াম কমে যাবে, বা চিকন হয়ে যাবে, রোদে কাজ করলে কালো হয়ে যাবে, মাথায় কিছু নিলে ঘারে সমস্যা হবে ইত্যাদি ৷ এসব অজুহাত দিয়ে নিজেকে অলস করে তুলছে ৷ শহরের কথা বলতে কি! কমবেশি অনেক ছেলেরাই বাবার উৎসের উপর নির্ভর করে চলে ৷ আমি এটা বলছি না যে, একটা ছেলে বেকার থাকার কারণ পিতা-মাতার কাজে সহযোগী না হওয়া ৷

বিভিন্ন কম্পানির নিয়োগ শর্তঃ
এখনতো প্রায় কম্পানি, নিয়োগের ব্যাপারে কাগজপত্রের পাশাপাশি ভাইবার ব্যবস্থা রাখে, বাস্তবে মৌখিক পরিক্ষার মাধ্যমে তারা কি নিশ্চিত হতে চায়? যেখানে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কর্ম মুখী নয়! আমরা আমাদের থেকে একটি উদাহরণ দেই, নিয়োগের ব্যপারে আগ্রহীর কাছ থেকে কি কি আশা করে থাকি? উল্লেখ্য ফিল্ড পর্যায়ে কাজের জন্য দক্ষ কর্মী চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি ৷ বায়োডাটা একটি পরিচিতি মাত্র, যেখানে শত মার্কের মধ্য সামান্য মার্ক দিয়ে থাকি ৷
বাকি মার্ক গুলো আসে; হলে প্রবেশের সময় আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, প্রবেশাধিকারের পর নিদৃষ্ট স্থানে এসে হ্যান্ডসেট ও সালাম বিনিময়, হেঁটে আসার প্রকার ৷ সামান্য স্তব্ধতায় তার মনের অবস্থা ৷ প্রশ্নত্তর পর্বে সময়ের বিভাজন, আগ্রহের পদ সম্পর্কে মনোভাব, বিভিন্ন কম্পানি ও ফিল্ড পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা, কথা বলার ধরণ, পোষাক ও শারিরীক অবস্থা, নমনীয়তা, ইতিবাচক দৃষ্টি, স্বাভাবিক জ্ঞান, দীনতা ৷ মোটামুটি আরো কিছু বিষয় সংযুক্ত করে, নির্ধারণ করি, উক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে আমাদের কাজ হবে কি না ইত্যাদি ৷ খুব ছোট করে বলা হলেও, এখান থেকে এটা স্পষ্ট যে, মাত্র চল্লিশ ভাগ মার্ক, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপর দেয়া হয়, আর ষাট ভাগ আসে, নিজের পছন্দ অপছন্দ, অভিজ্ঞতা আগ্রহ ও ধৈর্য থেকে ৷

আমি আগে বলেছি চাকরি বলে এটাকেঃ সারা মাসের আয়-ব্যয় থেকে, শুধু ব্যয়ের অংশ ব্যতিরেকে যদি দুই টাকা লাভ থাকে, তা থেকে এক পয়সা বেতন হিসেবে আপনি পাবেন ৷
না দিতে পারলে, বা আপনাকে দিয়ে যদি তার (মালিক) না হয়, তাহলে রাখবে না, কারণ ঘর থেকে মূলধন এনে কোন মালিক দেয় না ৷ কি মনে হয়? এক টাকা উপার্জন করতে শুধু আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যথেষ্ট? নাকি বিশেষ দক্ষতা, আগ্রহ ও মনোযোগের প্রয়োজন আছে? অথচ আপনি ছোট থেকে পরিশ্রমী ছিলেন না, পায়ে সমস্যা হবে, চেহারা কালো হবে, ঘাড়ে সমস্যা হবে বিভিন্ন অজুহাতে কর্ম থেকে বঞ্চিত ছিলেন অর্থাত অলস, আপনার দ্বারা সম্ভব হবে হটাৎ কর্মঠ হয়ে ওঠা?
এটা সত্য যে, মাঠ পর্যায়ে কাজ করার দক্ষতা না থাকার কারণ, শিক্ষা জীবনে সেরকম সুযোগ হয়নি, তাহলে সে অভিজ্ঞতা আসবে কোথা থেকে?

মার্কেটিংয়ে দক্ষতা অর্জনঃ
মার্কেটিং ও ফিল্ড পর্যায়ে কাজের জন্য, একজন মাঠ কর্মীর কি কি ভূমিকা থাকা উচিত? স্বাস্থ্য ও পোষাকের প্রতি যত্নবান হওয়া, কারণ এগুলো নিন্ম পর্যায়ের ভোক্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৷ বাচনভঙ্গির সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের কথার ধরণ, আর আপনার কথার ধরণ এক হলে তারা আগ্রহ করবে না, অবশ্যই কিছুটা ব্যতিক্রম ও আকর্ষণীয় থাকতে হবে ৷ ইতিবাচক দৃষ্টি, নিম্ন পর্যায়ের ভোক্তা জেনে না জেনে যে-কোন প্রকার মতামত ব্যক্ত করার অধিকার রাখে, আপনি সেটা নিয়ে বড়াবাড়ি করা, পণ্যের জন্য ক্ষতিকর ৷ সাহসিকতা, কম্পানি বা মালিকপক্ষ যেমন হোক, সেটাকে বড় করে দেখা উচিত, কিছু ভিআইপি ষ্টোরে যাবো কি যাবো না, কি মনে করবে, এই শ্রেণীর মনোভাব নিজেকেই ছোট করে, পাশাপাশি অন্য কর্মীর দীনতায় কম্পানি ঠিকই এগিয়ে যায় ৷ ভোক্তার মনোভাব, একই পণ্য কম দামে অন্য কম্পানি বা ব্রান্ডের থাকতে পারে, আপনার উচিত হবে সময়ের বিনিময় হলেও তার সাথে কথা বলে, পণ্যের ব্যবহার, গুনাগুনের বর্ননা দিয়ে বাজারের সাথে সামঞ্জস্যতা বিদ্বান করে বিষয়টাকে ইতিবাচক পর্যায়ে আনা, যাতে পণ্য সম্পর্কে তার ভ্রান্ত মনোভাব দূর হয় ৷ যা হোক এরকম আরো অনেক বিষয় আছে, আর এই সবই শিক্ষার অংশ, আপনার মনে নেই, কারণ আপনি চেয়েছেন শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করতে ৷ আরো কিছু বিষয় আছে, যা সময়ের সাথে প্রাকৃতিকভাবে অর্জন হয় যেটাকে আমরা স্বাভাবিক জ্ঞান বলি ৷

আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন এসবের কি কি যোগ্যতা আপনার আছে? আপনি নিজে একটি মানসম্মত বায়োডাটা তৈরী করতে পারেন? লেকচার বা টপিকে নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করতে হয়? সেমিনারে উপস্থিতি ও লেকচারের কি কি ভূমিকা থাকে? মানুষের মনোভাবের কত প্রকার বা শ্রেণী হয়? একজন ভদ্রলোকের সাথে কথা বলা ও আচরণের ইত্যাদি
একজন বেকারকে প্রশ্ন করেছি, আশা করি এর অধিকাংশ উত্তর সে দিতে পারবে না, দিতে পারলে সে বেকার থাকতো না, কারণ যোগ্যতাই মানুষকে কাঙ্খিত সাফল্যে পোঁছে দেয় ৷

মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কম্পানি ও প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগে ব্যপারে কথা বল্লে, তারা বলে কোঠা খালি থাকলে কি হবে, দক্ষ লোক না থাকায় নিয়োগ দিতে পারছি না, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে আবেদনের ভিড় পরে যায়, সবাই সার্টিফিকেটের উপর নির্ভরশীল ৷ দক্ষ লোক পাওয়া কঠিন হয়ে পরেছে ৷

তাহলে বিষয়টা কি দাড়ালো? কর্ম আছে কর্মীও আছে তবুও বেকারত্বের হার এতো বেশি কেন! এসময় আমাদের করণীয় কি? আমাদের শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হচ্ছে সময়কে অবহেলা করার কারণে ৷ শিক্ষা অর্জনের পাশপাশি সবার জীবনে একটাই লক্ষ থাকা উচিত, আর আমাদের দেশের বাবা মায়েরা নির্ধারণ করে তার সন্তান ভবিষ্যতে কি হবে ৷ কিন্তু আদৌ সেটা তার কাছে সম্ভব কি না, সে পারবে কি না, এ ব্যপারে কারো কোন দৃষ্টি নেই ৷

প্রথম দিকে অনেকগুলো পেশার কথা বলেছি, বাস্তবে এগুলো কোন পেশা নয়, শিক্ষা জীবনে সবার জন্য এসব বৈশিষ্ট্য ৷
সবগুলো পেশা খুবই সহজভাবে উপস্থিত করা যা, পড়লেই বোঝা যায়, কাজটি কি হতে পারে ৷
যেমনঃ উকিল, শিক্ষক, লেখক, সম্পাদক; নামেই ষ্পষ্ট যে এর কাজ কি হবে ৷ এগুলো তেমন কিছুই নয়, আপনার ভবিষ্যতের লক্ষ আপনি নিজেই স্থির করতে হবে, এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমও থাকা উচিত ৷

প্রতিভার ব্যবহারঃ
প্রতিটি মানুষের ভেতর কোন না কোন ঘুমন্ত প্রতিভা থাকে, কেউ অভিনেতা হয়, আবার কেউ লেখক, এরকম আরো অনেক বিষয় আছে, যেগুলোকে বলা হয় বিশেষ প্রতিভা ৷
কারণ লেখালেখি সবাইকে দিয়ে হয় না, প্রথমে এটা খুব স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে যেটাকে আমরা "গুন বা পারদর্শিতা" মনে করি, আর সেটা চর্চার ফলে যখন অপূর্ব বা ব্যতিক্রম কিছু প্রকাশ পায় তখন হয় "প্রতিভা" ৷
আমাদের সবার মধ্যই কোন না কোন গুন আছে, এই গুনটি হলো, যে-কোন কাজকে সহজেই করতে পারা, অথবা নিদৃষ্ট বিষয় সহজে বোঝা ৷ সেটা খুব সাধারণ বিষয় হতে পারে, অথবা খুব বড় ৷ একটা এলাকায় কিছু মানুষের সামনে বক্তব্য দেয়ার জন্য কয়েকটি ছেলেকে বলা হলো যে, এদের সামনে তোমাদের এলাকার সমস্যার কথা উল্লেখ করে বক্তৃতা দিবে ৷

আগে কাউকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি ৷
সবাই সেখানে সমানভাবে কথা বলতে পারবে না, কেউ মানুষের সামনে এসেই স্তব্ধ হয়ে যাবে, কেউ কোনরকমে দু'এক মিনিট কথা বলতে পারবে, আবার কেউ এমনভাবে কথা বলবে যে, দেখে মনে হবে সে আরো অনেক জায়গায় কথা বলে সাহস অর্জন করেছে, অথবা বক্তৃতায় খুবই দক্ষ ইত্যাদি ৷

স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক জ্ঞানঃ
একটি ক্লাসের সব ছাত্ররা সবাই সমান হয় না, কেউ ইংরেজি ভালো বোঝে, কেউ গণিত, আবার কেউ ভূগোল অথবা বিজ্ঞান ৷ বিষয়টা এমন নয় যে, ইংরেজি ভালো বোঝে তাকে আলাদা সময় নিয়ে বোঝানো হয়েছে, আবার যে কম বোঝে তাকে সময় দেয়া হয়নি ৷ এগুলো অতি প্রাকৃতিকভাবে হয়ে থাকে, যে গণিত ভালো বোঝে, এটা তার গুন মাত্র, যদি নিজে থেকে উদ্যোগ নেয় ও চর্চা অব্যাহত রাখে, তাহলে পর্যায়ক্রমে তার থেকে সেটি প্রতিভা হিসেবে প্রকাশ পাবে, গণিতের শিক্ষক হলে ভালো সুনাম অর্জন করতে পারবে ৷
যা হোক এগুলো শুধু একটি শ্রেণীর আওতাভুক্ত নয়, কেউ জটিল বিষয়গুলো অন্যদের তুলনায় সহজে মিমাংসা করতে পারে, অথবা ছোট থেকে কেউ সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে পারে, যে কোন কাজ সহজে সম্পাদনা করা এটা তার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বা গুণ ৷ আমরা এই গুনকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের লক্ষকে স্বার্থক করতে পারি ৷

আমরা সবাই সেটা অনুভব করি, যে আমি আসলে কোন কাজটি অতি সহজে করতে পারি, মনে করুন, আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন, কোন একটা ঘটনায় নিজে থেকে সাহস জেগে ওঠে, প্রচন্ড সমাগমের মধ্য নিজের উপস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, ঘর থেকে বাইরে সময় দেয়া আপনার কাছে ভালো লাগে, ইত্যাদি ৷
যদি এই বিষয়গুলো আপনার ভেতর লক্ষ করা যায়, তাহলে সাংবাদিকতাকে আপনার টার্গেট হিসেবে নিতে পারেন ৷
প্রতিটি পেশার নাম শুনলেই বোঝা যায়, এটার কাজগুলো কি হতে পারে, এভাবে আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি এই কাজটি পারবেন না, যখন নিশ্চিত হতে পারবেন যে, আপনার দারা এই কাজটি সম্ভব, এই পেশাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিলে আপনি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন, তাহলে সেটাই করা উচিত এবং শিক্ষার পাশাপাশি টার্গেটের প্রস্তুতি নিতে হবে ৷

অধিকাংশ পিতা মাতা সন্তানের সে গুনটা লক্ষ করে না, সে কি পারবে কি পারবে না, এটা বিবেচনা না করে তাদের স্বাধিনতার ব্যবহার করতে চায়, এটা উচিত নয়, অবশ্যই সন্তানের কথা শুনতে হবে, তাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে ৷
পরিবারের সচেতনতায় গড়ে উঠবে একটি সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ...

লেখকঃ কামাল আহমেদ বাগী
Source: https://www.amarbanglapost.com/%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0/