News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা, প্রস্তুতি চলুক একযোগে

Started by Kazi Sobuj, May 16, 2018, 10:39:34 AM

Previous topic - Next topic

Kazi Sobuj

প্রতিযোগিতাটা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নানা সুযোগ-সুবিধার কথা ভেবে তরুণদের একটি বড় অংশ ঝুঁকছেন ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের দিকে। তাঁদের জন্য বড় খবর হলো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে পছন্দের পদানুযায়ী নিয়োগের লক্ষ্যে শুরু হয়ে গেছে সমন্বিত পরীক্ষা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ব্যাংকের চাহিদানুযায়ী ইতিমধ্যে সমন্বিত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি)। এটি বড় সুযোগও বটে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে কতটা প্রস্তুত আপনি? প্রস্তুতি ভালো থাকলে সাফল্য আসবেই। ভালো প্রস্তুতি মানে শুধু 'নন স্টপ' পড়াশোনা নয়। দরকার পরিকল্পিত পড়াশোনা, সমন্বিত প্রস্তুতি, যাতে প্রিলিমিনারি, লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় এগিয়ে থাকতে পারেন।

'পরীক্ষার হলে দেখে নেব' এই মনোভাব ঝেড়ে ফেলে প্রস্তুতি শুরু করুন এখনই। শুরুতে বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েক বছরের প্রশ্নের ধরন দেখে নিতে পারেন। এতে ধারণা স্পষ্ট হবে; ভয় বা ভুল ধারণা কেটে যাবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ (এক-চতুর্থাংশ) নম্বর কাটা যাবে। জানেন তো, বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর বা এমসিকিউ পদ্ধতি আপনার জন্য যেমন টিকে থাকার লড়াই, নিয়োগকর্তার কাছে তেমন ছেঁটে ফেলার কৌশল। তাই পড়াশোনায়ও কিছুটা কৌশলী হোন। গাইড কিনে ৩০ দিনে গলাধঃকরণ উগরানোর চিন্তা হিতে বিপরীত হতে পারে।

'পড়াশোনার বিকল্প নেই' শতভাগ সত্য। কিন্তু নিজের সুবিধামতো বিকল্প উপায়ে পড়াশোনা করলে যেকোনো বিষয়ে কার্যকর ফল পাওয়া যায়। বাংলায় ভালো করার জন্য আনন্দ ও আগ্রহ নিয়ে কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, সাহিত্যকর্ম ধীরে ধীরে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করুন। সঙ্গে ব্যাকরণও। কোনো বিশেষ বই একটানা শেষ করে মনে রাখা কঠিন। ধীরে ধীরে মজ্জাগত করার চেষ্টা করুন, সহজ হয়ে যাবে। যেমন লালন মহোৎসব, মধুমেলা, রবীন্দ্র বা নজরুলজয়ন্তী উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকদের জন্ম, মৃত্যু, অর্জন উদ্‌যাপনের খবর বা বিজ্ঞপ্তি চোখ বুলিয়ে পরে পছন্দমতো বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে বিস্তারিত পড়ে ফেলুন। সম্ভব হলে ওই সময়েই সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন-উত্তরগুলো আয়ত্তে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উতরে গেলে ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষার জন্য বাংলা না পড়লেও চলবে।

ইংরেজিতে ভালো করা কঠিন ভেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। হাতে যে কয় দিন সময় আছে, পূর্ণ সদ্ব্যবহার করুন। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা, সাময়িকী বা বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে পারলে দারুণ কাজে দেয়। পঠিত বিষয় থেকে অজানা ও নতুন শব্দগুলো আলাদাভাবে লিখে রেখে পরে সমার্থক বা বিপরীত শব্দগুলো পড়ার অভ্যাস করতে পারলে প্রিলিমিনারি তো বটেই, লিখিত পরীক্ষায়ও ফোকাল রাইটিং ও অনুবাদ করতে কাজে দেবে। আর এ তো সবারই জানা, ইংরেজিতে ভালো করা মানে এগিয়ে থাকা।

ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষায় 'বেসিক কম্পিউটার' জানা জরুরি। প্রিলিমিনারিতে 'কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি' অংশে ১০-১৫টি প্রশ্ন থাকে। এ জন্য বাড়তি চাপ নেওয়া বা আলাদা কোর্স করার প্রয়োজন নেই। আগের প্রশ্নগুলো বারবার পড়ুন। ছাত্রাবস্থায় একাডেমিক কারণে কম্পিউটারে যেসব টুকিটাকি কাজ করা লাগে, তার সঙ্গে যেকোনো ভালো বইয়ের 'থিওরি' দেখে মিলিয়ে পড়তে পারেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রস্তুতি ভালো থাকলে সাফল্য আসবেই। ছবি: প্রথম আলো
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রস্তুতি ভালো থাকলে সাফল্য আসবেই। ছবি: প্রথম আলো
গণিত নিয়ে গড়িমসি করলে আতঙ্ক কাটবে না, ছিটকে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। ছোটবেলা থেকে অঙ্কে কাঁচা—এই অহেতুক অজুহাত তুলে পার পাওয়া যাবে না। গণিতের জন্য নম্বর বরাদ্দ যেহেতু বেশি, তাই বেশি বেশি অনুশীলনের বিকল্প নেই। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যে ধরনের অঙ্ক আসে, তাতে পারা না-পারা ব্যাপার না, বরং কত দ্রুত কতটা পারলেন সেটাই বিবেচ্য। প্রিলিমিনারিতে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য গড়ে সময় ৩৩ সেকেন্ড! তবে অঙ্কের জন্য একটু বেশি সময় হাতে রাখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য পড়া ও পর্যবেক্ষণ—দুটোই জরুরি। সমসাময়িক বিষয়গুলো সহজাতভাবে দেখা, শেখা বা মনে রাখার অভ্যাস যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাজে দেয়। এ জন্য দৈনন্দিন সাধারণ বিষয়গুলো চোখ এড়িয়ে গেলে চলবে না। ক্যাম্পাসে বা চলার পথে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ভাস্কর্যের টুকিটাকি মনে রাখার চেষ্টা করুন। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নামে পরিচিত সড়ক বা আবাসিক হলের নাম হলে তাঁর সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত। বিশেষ দিবসের ক্রোড়পত্র, পোস্টার, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভার দিকে দৃষ্টি রাখুন; এতে বিবিধ বিষয়ে ভাবনার বিস্তার ঘটবে, বিশ্লেষণ-ক্ষমতা বাড়বে। এভাবে অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে বইয়ের ওপর চাপ কমবে, সহজে মনে থাকবে অনেক কিছু। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, বার্ষিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি), রপ্তানি, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিসহ ব্যাংকিং বিকাশ নিয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য পত্রিকার সংশ্লিষ্ট কলাম বা অর্থনীতি পাতায় চোখ রাখুন।

সপ্তাহে একটি দিন পরীক্ষা দিন। নিজের কাছেই। আগের প্রশ্ন বা কোনো বইয়ের মডেল টেস্ট নিয়ে ঘড়ি ধরে বসতে পারেন। এতে সময়-সতর্কতা যেমন বাড়বে, তেমনি নিজের প্রস্তুতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে। ফেসবুকের বিভিন্ন চাকরি প্রস্তুতি–সংক্রান্ত গ্রুপে যুক্ত হয়ে বা প্রয়োজনীয় লিংক ঘেঁটে ঝালিয়ে নিতে পারেন নিজের প্রস্তুতি-প্রকৃতি। এতে প্রতিযোগিতার দৌড়ে নিজের অবস্থান বুঝে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সহজ হবে।

লেখক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ও পেশাবিষয়ক লেখক।

Ref: Prothom Alo, May 16, 2018
Md. Tarekol Islam (Sobuj)
Intern
Daffodil International University
Cell: 01847-140059, 01624-523961