News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

6 Qualities of a good entrepreneur.

Started by mim, May 08, 2019, 03:11:06 PM

Previous topic - Next topic

mim

ভালো উদ্যোক্তার ছয় গুণ

পড়াশোনা শেষ করেই চাকরির পেছনে ছুটছেন? চাইলে আপনি বিকল্প পেশাও বেছে নিতে পারেন। উদ্যোক্তা হিসেবে শুরু করতে পারেন পথ চলা। কিন্তু সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে প্রচুর পরিশ্রম করার মানসিকতা ও সামর্থ্য থাকতে হবে। আর চাই কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও ভালোবাসা, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস এবং চৌকস বা বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা—এর সবই খুবই পরিচিত কথা। নিশ্চয় আগেও শুনেছেন। আরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো সফল উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টায় আপনাকে সাফল্য এনে দিতে পারে। অল বিজনেস এক্সপার্টস অবলম্বনে লিখেছেন আশিস আচার্য।


১.নিখাদ মানুষ: আজকের বিশ্বে প্রত্যেকে নিজ পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। কেউ বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। এসবের মধ্যে নিখাদ বা অকৃত্রিম মানুষ হতে পারলে অবশ্যই তা হবে কারও জন্য একটি বিরল গুণ। এ গুণটির অধিকারী হলে প্রতিযোগিতার দৌড়ে অনেক এগিয়ে থাকবেন। কারণ সবাই এ রকম খাঁটি মানুষের সঙ্গেই কাজ করতে চায়। আপনি যদি কোনো সমস্যা সমাধানের মতো কাজে আসলেই উৎসাহ বোধ করেন অথবা কোনো উপায়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার ব্যবসা শুরু করা উচিত। চারপাশে প্রতারকেরা ওত পেতে আছে, এমন শঙ্কা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজের মতো করে শুরু করুন।

২.ফুরসত মিলবে: অনেকে মনে করেন, উদ্যোক্তা হলে আহার-নিদ্রা থেকে শুরু করে সারাক্ষণই বুঝি ব্যবসা নিয়ে ভাবতে হবে। ব্যাপারটা আসলে সম্পূর্ণ বিপরীত। বড় ব্যবসায়ীরা সাধারণত যথেষ্ট অবসর পান। তাঁদের জীবনযাত্রায় ভারসাম্য থাকে এবং সব মিলিয়ে তাঁরা সুস্থ জীবন কাটানোর সুযোগ পান। নিজের যত্ন নিতে পারলেই আপনি ব্যবসা, কর্মী ও গ্রাহকদের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার সুযোগ পাবেন। কাজেই, শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের শারীরিক ব্যায়ামের ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। পরিবার-পরিজনদের সময় দিন। দীর্ঘক্ষণ হাঁটুন এবং দিনে বা রাতে একটা নির্দিষ্ট সময় স্মার্টফোন-কম্পিউটার থেকে দূরে থাকুন।

৩.সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত: ব্যবসায় দুঃসময় মোকাবিলার জন্য সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ রকম পরিস্থিতিতে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসায় ধস নামাতে পারে। যখন কোনো কিছু ঠিকমতো কাজ করে না এবং পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে যায়, তখন একটু থেমে কৌশল পাল্টে ভিন্ন পথে এগোতে হবে। সর্বোপরি, যে সিদ্ধান্তটা কাজে আসে, সেটাই সেরা সিদ্ধান্ত।

৪.আপনি সবজান্তা নন: বিশ্বসেরা উদ্যোক্তারা যে ব্যবসা বা সংশ্লিষ্ট সবকিছুই জানেন, তা নয়। এমনকি তাঁরা সবচেয়ে বেশি চৌকস বা স্মার্টও নন। কিন্তু তাঁরা জানেন, কখন অন্যের সাহায্য চাইতে হয়। আর সে জন্যই তাঁরা স্মার্ট ও মেধাবী লোকজনকে কাছে রাখেন। কোনো কোনো উদ্যোক্তা হয়তো মনে করেন, তাঁদের কোনো দুর্বলতা নেই। কিন্তু একজন মানুষের পক্ষে সব বিষয়ে ভালো জানা বা দক্ষ হওয়াটা সাধারণত সম্ভব নয়। তাই নিজের দুর্বল দিকটা জানা জরুরি। সেটা হতে পারে বিপণন, বিক্রয়, কর্মী ব্যবস্থাপনা যেকোনো ক্ষেত্রে। সে রকম হলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রটির জন্য বিশ্বস্ত অন্য কারও সাহায্য নিতে হবে।

৫.'না' বলতে পারেন: নতুন উদ্যোক্তাদের সামনে যেসব সুযোগ আসে, সবগুলোই লোভনীয় মনে হতে পারে। নতুন সম্ভাবনাময় কোনো বাজার বা গ্রাহকের শেষ সময়ে অনুরোধ রাখতে গিয়ে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন। সব সুযোগ নিতে গেলে সাফল্য ধরা দেয় না, বরং সঠিক সুযোগটাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মধ্য দিয়েই পূরণ হয় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবস যেমন বলেছেন, 'যেসব কাজ করিনি, সেগুলোর জন্যও আমি গর্বিত। নতুন কিছু অর্জন করতে গেলে "না" বলাটাও জানতে হবে।' মনে রাখতে হবে, 'না' বলার মানে এই নয় যে মানুষ হিসেবে আপনি আকর্ষণীয় নন। কেননা আপনি শুধু নিজের পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

৬.সহানুভূতিশীল হন: বড় বড় উদ্যোক্তারা বুঝতে পারেন যে ব্যবসা মানে যতটা না অর্থ-বিত্ত আর বিক্রয়, তার চেয়ে বেশি জনগণের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। শুধু নতুন নতুন বৈশিষ্ট্যের পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করার পরিবর্তে সফল উদ্যোক্তারা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও ক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাঁদের বিভিন্ন প্রয়োজন ও চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। সময়মতো সেই কর্মী ও গ্রাহককে বিভিন্ন সাহায্যও করেন একজন আদর্শ উদ্যোক্তা। সারা দিনের কাজের জন্য ছুটে বেরিয়ে পড়ার বদলে বাড়তি ১৫ মিনিট ব্যয় করুন কোনো গ্রাহক বা সহযোগীর জন্য। এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা বলুন বা মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথাগুলো শুনুন। এটাই হতে পারে সারা সপ্তাহে আপনার সবচেয়ে মূল্যবান বা ফলপ্রসূ ১৫ মিনিট।

Source: The Daily Prothom Alo