সেরা ব্যবস্থাপক যে ৫টি বিষয় গ্রহণ ও বর্জন করেন !!
(//)
সেরা ব্যবস্থাপকরা যে কোন পরিবেশেই মানানসই। কখন শান্ত থাকতে হবে আর কখন জেদী হতে হবে তারা তা খুব ভালোভাবে বুঝেন। ব্যক্তিত্বের মত তাদের ব্যবস্থাপনার ধরণও সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু প্রত্যেকে যতই আলাদা বৈশিষ্টের হোন না কেন কিছু অবধারিত গুনাবলী প্রত্যেক প্রতিশ্রুতিশীল ব্যবস্থাপকের মধ্যেই থাকে। পাশাপাশি কিছু ত্রূটি তারা বর্জন করে থাকেন। আর এসব কারণেই তাদের সফলতার ধারা অব্যাহত থাকে।
তেমনি পাঁচটি গুনাবলী ও পাঁচটি ত্রুটি নিচে তুলে ধরা হল।
ইতিবাচক দিক
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা
সেরা ব্যবস্থাপকরা তাদের সম্পূর্ণ ধ্যান দিয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে চলেন। তারা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ ও ইউনিটের উন্নতির জন্য তারা কার্যকরী ও বিশাল উদ্যোগ গ্রহন করেন।
আচরণে ভারসাম্য
এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কথাবার্তা ও আচরণে ভারসাম্য রাখতে পারেন না। দেখা গেল একদিন তারা তারা খুবই কোমল ও ক্ষমাশীল আবার অন্য একদিন খুবই কঠোর ও নিয়মতান্ত্রিক। এ ধরণের আচরণ কারোই পছন্দের নয়। খুব কঠোর ও খুব কোমল কোনটাই ঠিক না। সেরা ব্যবস্থাপকরা তাদের আচরণের মধ্যে ভারসাম্য করে নেন। কখনো তারা খুব উত্তেজিত কিংবা খুব কোমল হয়ে উঠেন না। প্রতিদিন তারা একই ধরণের ব্যবহার করেন।
নিজের ও কর্মীদের সময়কে একইভাবে গুরুত্বারোপ করা
সেরা ব্যবস্থাপকরা সবসময় সম্মানিত হন কারণ তারা তাদের কর্মীদেরকে তাদের বসদের মতই গুরুত্ব দেন। কোন কাজের জন্য তাদেরকে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন না। সময়ের কাজ সময়ে করেন। এতে করে কর্মীরা ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে মূল্যবান ভাবতে পারে এবং একই সাথে তারা ব্যবস্থাপককেও সম্মান করতে থাকে।
নিজের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর দিতে নির্ভয় থাকা
প্রশ্নকর্তার প্রশ্নটি অবশ্যই সুচিন্তিত হতে হবে। অফিসের কোন কর্মী কিংবা অন্য কেউ যদি কেউ আপনাকে প্রশ্ন করে তার সঠিক ও সুন্দর উত্তর দিতে হবে। কখনই রাগান্বিত কিংবা ঝগড়াটে হওয়া যাবে না। আপনি যদি সৎ হোন প্রশ্নের উত্তর দিতে কখনোই ভয় পাওয়ার কথা নয়। সেরা ব্যবস্থাপকরা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় কখনোই ভয় পান না কিংবা অস্বস্তিতে ভুগেন না কারণ তারা সৎ থাকেন।
বিশ্বাস অর্জন
সেরা ব্যবস্থাপকরা গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন কারন তারা সত্যবাদী হয়ে থাকেন। এক কথায় বলতে গেলে সেরা বযবস্থাপকরা হোন সবার বিশ্বস্ত।
নেতিবাচক দিক
ক্ষমতার চরম ব্যবহার
মানুষজন যখন আপনাকে খুশি করার জন্য উঠে পড়ে লাগবে আপনি চাইলে তখন এ থেকে সুযোগ গ্রহন করতে পারেন। আপনার ক্ষমতাকে চাইলে আপনি অপব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু একজন সেরা ব্যবস্থাপক সবসময় অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকেন ও বেআইনীভাবে কখনো ক্ষমতার ব্যবহার করেন না।
পক্ষপাতিত্ব করা
আপনার অফিসে এমন অনেক কর্মী আছেন যারা স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের চেয়ে বেশি আকর্ষনীয়। সন মানুষের মধ্যে একই ধরণের গুন বা ক্যারিশমা থাকে না। কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র আকর্ষনীয়দেরকে নিয়েই কাজ করেন আপনার পরাজয় অবধারিত। সেরা ব্যবস্থাপকরা কখনোই এমন করেন না। তার সবাইকে সবসময় সমান দৃষ্টিতে দেখেন ও সবাইকে কাজের সমান সুযোগ দেন।
দুর্বল সিদ্ধান্ত
সিদ্ধান্ত হতে হয় বিচক্ষন ও যৌক্তিক। কখনোই আবেগ দ্বারা সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। প্রতিদিন আমাদেরকে নানা হতাশার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যার ফলে আমরা প্রায় আবেগতারিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। কিন্তু সেরা ব্যবস্থাপকরা কখনোই আবেগতারিত হয়ে কিংবা রাগান্বিত অবস্থায় হঠকারী সিদ্ধান্ত নেন না।
সমস্যা এড়ানো
সেরা ব্যবস্থাপক কখনোই বিরোধপূর্ণ সমস্যা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন না। বরঞ্চ এ অবস্থাকে সমাধানের দিকে কিভাবে পৌঁছানো যায় সেজন্য নিজেকে সচেষ্ট রাখেন। যে কোন সমস্যাকে বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাধানের দিকে এগিয়ে নেয়াই সেরা ব্যবস্থাপকের কাজ। সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কখনোই সুদক্ষ ব্যবস্থাপকের কাজ হতে পারে না।
কর্মীদের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ
সেরা ব্যবস্থাপকরা সবসময় মেধাবী কর্মীদের নিয়ে শক্তিশালী একটি টিম তৈরির জন্য চেষ্টা করেন। ভালকর্মীদের দ্বারা ভাল ফলাফল বয়ে আনা সম্ভব। কখনোই কর্মীদের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহের মধ্যে থাকা যাবে না। কারণ এর ফলে কর্মীদের নিয়ে কাজ করা আপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।