Skill Jobs Forum

Career Counseling, Self Development, Skill Enhancer => Career Planning - Career Mapping,- Career Path Findings => Career Planning => Topic started by: Shahida on November 30, 2013, 03:58:17 PM

Title: From zero to entrepreneurial strategies
Post by: Shahida on November 30, 2013, 03:58:17 PM
শূণ্য থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার কৌশল

(http://finance.priyo.com/files/styles/large/public/field/image/EMBA_sponsorship.jpg?itok=7oAd7O1x)

আমাদের দেশে দুইভাবে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রথমত ছোট থেকে ব্যবসা শুরু করে ক্রমে কর্পোরেট গ্রুপে রূপ লাভ করা। দ্বিতীয়ত উদ্যোক্তাদের উত্তরসুরী হিসেবে কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়া। এ পর্যায়ে যারা পারিবারিক সূত্রে বড় বিজনেসের ভার পান তারা মেধা এবং কৌশলের উপর নির্ভর করে সেটি বড় হতে এবং পরিচালনা করতে থাকে। পক্ষান্তরে যারা শূন্য থেকে শুরু করে ক্রমে বিশাল উদ্যোক্তায় পরিণত হন তাদের থাকে কর্মজীবনে বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতা।

একুশ শতকের এই সময়ে ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়ে সফলতা আনয়নের জন্য বেশ কতগুলো বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই শুরু করতে হবে বিজনেস কর্মকান্ড। এ জন্যে প্রথমেই থাকতে হবে শিক্ষা। একই সাথে দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিজনেস প্রসঙ্গে ধারণা থাকা প্রয়োজন। কেননা এখন ব্যবসার গন্ডি শুধু দেশ নয়, পুরো বিশ্বই এর সীমারেখা। এরপর উদ্যোক্তা হতে হলে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। তিল তিল করে গড়ে তোলা বিজনেস এক সময় বিশাল শিল্প সম্রাজ্য করে সাজাতে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। এরপর আপনাকে হতে হবে ডায়নামিক এবং চৌকস। কেননা উদ্যোক্তা হতে আপনাকে পিওন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রধানের সাথে পর্যন্ত কথা বলতে হবে। সর্বোপরি আপনাকে হতে হবে হিসেবী।

বিজনেসের প্রতিটা পর্বে নিখুঁত হিসেবী হয়ে গড়ে তুলতে হবে শিল্প কারখানা। এরপর আসতে হবে বিজনেস প্ল্যানে। মানসিকভাবে সক্ষম হবার পর উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে বিজনেসের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে। কোন ব্যবসা আপনি ভাল বুঝেন এবং কোন ব্যবসার সম্ভাবনা ভাল। মনে রাখতে হবে উদ্যোক্তা হতে হলে একটি শিল্প করার পরিকল্পনা নিতে হবে। শিল্প সেটি ক্ষুদ্রও হতে পারে আবার মাঝারিও হতে পারে। আবার যদি আপনার মেধা এবং পুঁজিতে কুলিয়ে ওঠে তবে গড়তে পারেন- বৃহৎ শিল্প কারখানা। সবার আগে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে চাহিদা যোগানের বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমন্বয় করতে হবে। মনে রাখতে হবে সফল উদ্যোক্তা হতে হলে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।

আপনি যে প্রডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে জড়িত হবেন তা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে এই প্রডাক্টটি জনপ্রিয় করতে এবং গ্রাহকের কাছে আস্থা অর্জন করতে আপনার একান্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে হলেও কাজ করে যেতে হবে একাগ্র চিত্তে। আপনার শুধু বিজনেস আইডিয়া থাকলেই হবে না সেটি প্রয়োগ এবং বাস্তবায়নের ক্ষমতা থাকতে হবে। বিভিন্ন বাধা, বিভিন্ন নেতিবাচক অবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। আর কাজে যে নিষ্ঠ এবং ব্যবহারে যে মার্জিত সে শৃংখলা নিয়ে কর্মকান্ড চালিয়ে গেলে ব্যবসায় সাফল্য আসবেই। তবে এ পর্যায়ে পরিবারের সবার সম্মতি থাকা উচিত। কেননা, একার পক্ষে আপনার সফলভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্যান্য সদস্য আপনাকে সহায়তা করবে।


আবেগ এবং প্রচন্ড মানুষিক শক্তি
একজন উদ্যোক্তাকে তার কাজের প্রতি প্রচন্ড আবেগী এবং মানুষিক ভাবে দৃঢ় থাকতে হয়। এ সম্পর্কে এ্যলিকো ড্যানগোট এর একটি চমৎকার মন্তব্য আছে ??আবেগ তাই যা আমাকে সামনে নিয়ে যায়। কাজের প্রতি আমার আবেগই আমাকে রাত ২টায় বিছানায় এবং ভোর ৬টায় ঘুম থেকে কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে তাড়িত করে?।


দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন
একজন সফল উদ্যোক্তা দায়িত্ব এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভালোবাসে। কোন ভুল হলে সে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় এবং সহকর্মীর উপর দোষ চাপাতে পছন্দ করে না। এ প্রসঙ্গে স্টিভ জবসের একটি উক্তি আছে ?কখনও নতুন কাজ শুরু করেছ, ভুল হতেই পারে। সবচেয়ে ভালো ভুল কাটিয়ে উঠতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া এবং কাজের প্রতি মনোনিবেশ করা?।


নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা
নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থাশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সে বিশ্বাস অজর্ন করতে হবে যে সব বাধাঁ অতিক্রম করে আপনিই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাবেন। বিশ্বাসের অভাব হলে কোন কিছুই সফল ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।


অধ্যবসায়
কাজের প্রতি অটল থাকা, ধারাবহিক কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হওয়া, কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করাই একজন সফল উদ্যোক্তার লক্ষ্য। সফল হতে গেলে অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই।


লক্ষ্য স্থির করা
একজন সফল উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যের প্রতি স্থির থাকেন এবং লক্ষ্য মাথায় রেখে সুনির্দিষ্ঠ কিছু কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্যবিহীন কোন কাজেই সফলতা আসে না।


ধৈর্যশীল হওয়া
প্রতিটি কোম্পানিকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একজন সফল উদ্যোক্তা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্যশীল থাকে এবং খুব শান্ত স্বভাবে পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে।


ঝুঁকি নেয়ার মানুষিকতা
জে পাওয়েল গেটি এর এমন একটি উক্তি আছে ?আপানাকে অবশ্যই আপনার নিজস্ব এবং লোনের অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। ঝুঁকি ব্যবসায়কে চালিয়ে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?।


কৌশলী হওয়া
আজকের এই প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে ব্যবসায়ে ভালো করতে হলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। কোন সময় কিভাবে ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে হয়। কখন কি পন্য বাজারে চাহিদা তৈরি করে, অন্য কোম্পানি থেকে কিভাবে আলাদা হওয়া যায় এসব বিষয়ে কৌশলী হতে হয়।


ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন
একজন সফল উদ্যোক্তা তার ব্যক্তিগত অবস্থানের প্রতি অনেক বেশী সর্তক থাকেন। এ সম্পর্কে ওয়ারেন বাফেটের একটি উক্তি আছে ?সুনাম অর্জন করতে হয়তো বিশ বছর লাগে কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটই যথেষ্ঠ তা ক্ষুন্ন করার জন্য। কেউ যদি এভাবে চিন্তা করে তবে সে আলাদা কিছু করবে?।

এবার ভাবুন, নিজের মনকে স্থির করুন। কি ভাবে শুরু করবেন তার একটা প্ল্যান তৈরী করুন। সেই প্ল্যান মাফিক কাজে মনেনিবেশ করুন। চার পাশেরর অসংখ্য মানুষ কত বড় বড় অসাধ্য সাধন করছে আর আপনি একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন না? নিজের ভেতরের মানুষটাকে জাগিয়ে তুলুন।


Source: http://finance.priyo.com/node/7763