ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার পূর্বশর্ত
(http://finance.priyo.com/files/styles/large/public/field/image/success.jpg?itok=C35yKRvL)
ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে সফল হতে কে না চায়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির জন্য অনেকের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। আবার অনেকে অল্প সময়ের সময়ের মধ্যে পদোন্নতি লাভ করেন সফলতার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যান। কেউ চোখের সামনে স্টার্ট আপ দাড় করিয়ে ফেলেন, কেউ পারেন না। কারা নিজেকে সফল করতে পারেন ও কারা নিজেকে সফল করতে পারেন না? কেউ যদি ভুলকে কাটিয়ে সবগুলো শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারেন তবে কর্ম বা ব্যবসা ক্ষেত্রে তিনি অবশ্যই সফল হবেন।সম্পর্ক তৈরি
আপনার প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র জুনিয়র সবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করা আপনার সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিত্ববান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়ার জন্য অন্যের সাথে সম্পর্ক তৈরির কোন বিকল্প নেই।শক্তিশালী যোগাযোগ দক্ষতা
আপনার কলিগদের সন্তুষ্ট করার জন্য ও তাদের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য যোগাযোগ দক্ষতা অত্যাবশ্যকীয়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে স্পষ্টভাষী হওয়া খুবই জরুরী কারণ সময় বাঁচানোর জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে কলমের পরিবর্তে মুখকে ব্যবহার করতে হবে।ধৈর্যশীলতা
ব্যাপক চাপের মধ্যেও যারা সবার সাথে ভালভাবে কথা বলতে পারেন তারা সবার কাছে উদাহরণ হিসেবে হাজির হন। ধৈর্য নিয়ে সম্পর্ক তৈরি করলে ভালো একটি টিম গঠন করতে পারবেন। সফলতার জন্য যা জরুরী।অন্যকে বিশ্বাস করা
কাউকে বিশ্বাস না করলে অথবা নিজে বিশ্বস্ত না হলে হয়তোবা কাজ চালিয়ে নেয়া সম্ভব কিন্তু সফল হওয়া সম্ভব নয়। এমন পরিবেশে কেউ কাউকে সাহায্য করতে রাজি হবে না। আর পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান চালিয়ে নেয়া অসম্ভব। সুতরাং একে অপরকে বিশ্বাস করা খুবই জরুরী।কখন ও কিভাবে সহানুভূতি দেখাতে হবে
একজন ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞের মতে, ?অন্যের পায়ে নিজেকে সমর্পন করতে পারা এক বিশাল যোগ্যতা?। এর মাধ্যমে অন্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায় এবং তার চিন্তা চেতনাকে পরিবর্তিত করা যায়। আপনি যদি কারো প্রতি সহানুভুতিশীল হোন অবশ্যই তিনিও আপনার প্রতি দরদী হবেন। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।মনযোগী হওয়ার ক্ষমতা
কাউকে শোনা ও মনযোগ দিয়ে শোনা এক কথা নয়। বেশিরভাগ মানুষই শোনে কিন্তু মনযোগী হয় না। তার প্রমান হল, এক জন কথা শেষ করার আগেই অন্যজন কথা বলতে শুরু করে। এর ফলে অসামঞ্জস্য তৈরি হয় ও কেউ কাউকে বুঝতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে অবশ্যই মনযোগী হতে হবে অন্যথায় বস কিংবা সহকর্মী সবার সাথে আপনার কলহ তৈরি হবে।অন্যের প্রতি উৎসাহবোধ
আপনি কিভাবে প্রশ্ন করছেন এবং কিভাবে অপরজনের উত্তরকে বিবেচনা করছেন তা দেখেই একজন মানুষ অনুমান করে নিবে আপনি তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন। আপনি যদি আপনার সহকর্মীর কথা ঠিকমত বিবেচনা না করেন অথবা তাকে সুচিন্তিত প্রশ্ন না করেন তাহলে প্রমাণিত হবে আপনি তাকে মূল্যায়ন করছেন না। কথা বলার সময় অবশ্যই এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন অন্যথায় সম্পর্ক ভাঙ্গার সম্ভাবনা আছে।কোমলতা
সবার পছন্দের হওয়ার জন্য আপনাকে কোমল চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। ভাল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিস্থাপন করার জন্য সবার সাথে খোলাখুলি সম্পর্ক স্থাপনের কোন বিকল্প নেই। কোন ক্ষেত্রেই কঠিন হওয়া যাবে না, সবসময় নরম ভঙ্গিতে কথা বলতে হবে। এর ফলে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন সম্ভব।সঠিক বিবেচনা
একজন মানুষের মধ্যে কখন সঠিক বিবেচনাবোধ জাগ্রত হয়? যখন সে তার চারপাশের পৃথিবীকে অবলোকন করে, অন্যের কথা মন দিয়ে শোনে এবং সঠিক শিক্ষা লাভ করে। সুতরাং বিবেকবান হওয়ার জন্য আমাদের এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আর বিবেকবান না হলে সফলতা সম্ভব নয়।অন্যকে সন্তুষ্ট করা
প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় সবাইকে অন্যের আইডিয়ায় তৈরি পণ্য ও সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে হয় বা স্টার্ট আপ হলে নিজের আইডিয়ায় অন্যদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। আপনাকে আপনার আইডিয়াটি সবার সাথে দক্ষতার সাথে শেয়ার করতে হবে মুক্তমনা
কেউ যদি মুক্তমনা হয় তার কাজ অনেকাংশেই সহজ হয়ে যায়। বিশ্বাস ও সম্মান অর্জনের জন্য আপনাকে অবশ্যই মুক্তমনা হতে হবে। যে মানুষ বিশ্বাস ও সম্মান অর্জন করতে পারেন না ব্যক্তিগত জীবনে সে মানুষ সুখী হতে পারে না।
রসবোধ
হাসতে না কে ভালবাসে? চিন্তামুক্ত থাকার জন্য হাসির কোন বিকল্প নেই। যদি আপনি হাসি ঠাট্টার মাধ্যমে সব চিন্তাকে দূরে ঠেলে দিতে পারেন কর্মক্ষেত্রে আপনার সফলতা আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই। যদি আপনার মন সবসময় প্রফুল্ল থাকে আপনার প্রতিটি কাজ হয়ে উঠবে সাফল্যময়।Source: http://finance.priyo.com/node/8502