অফিসে কাজের চাপ নিয়ন্ত্রণের ১২টি উপায়
(http://www.priyo.com/files/story/201307/article-new_ehow_images_a00_05_07_wear-sari-800x800.jpg)
?নাহ! ছেড়েই দিব এই চাকরী। এত্তো কাজের চাপ আর ভালো লাগে না!?
কী? আপনার মনের কথাটাই বললাম তো?
চাকরীজীবনে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। আবার কারো কারো জন্য এ এক প্রতিদিনের দুর্বিষহ অবস্থা। মাঝে মাঝে অফিসের প্রতি অনীহা চলে আসাটাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ভেবে দেখুন, দোষঅটা যেহেতু নিজেরই, তাই একটু চেষ্টা করলে সেটা কাটিয়ে ওঠাটাও কিন্তু খুব সহজ। বলছিলাম অফিসে জমে থাকা কাজের পাহাড়ের কথা। প্রতিদিন একটু একটু করে জমে জমে সপ্তাহ শেষে এতো কাজ জমে যায় যে, সে চিন্তায় উইকএন্ডটাও ভালোভাবে কাটে না। অথচ একটু চেষ্টা করেই দেখুন, অফিসে কাজের চাপকে আর চাপ বলেই মনে হবে না।(http://img.priyo.com/files/201307/happy-office-pair.jpg)
১) সপ্তাহের শুরুতেই ডায়েরীতে একটা To do List করে ফেলুন। আজ কি কাজ করবেন, পুরো সপ্তাহে কি কি কাজ করবেন তার তালিকাটা প্রয়োজনে ডেস্কের সামনে আঠালো কোন কাগজে লাগিয়ে রাখুন ও চেষ্টা করুন সেগুলো আজই শেষ করে ফেলতে। চেষ্টা করবেন পরের দিনের জন্য কোন কাজ জমিয়ে না রাখতে।
২) অনেক সময় আলসেমী করে কাজ জমিয়ে রাখি আমরা। এটা না করাই ভালো। এই অভ্যাসটার কারনেই সপ্তাহের শেষে কাজের পাহাড় জমে যায়। নিজেকে উপহার দিন। ভাবুন হাতের কাজটা শেষ করতে পারলে পছন্দের কোন একটা গান শুনবেন আপনি। পরের কাজ টা শেষ করেতে পারলে ৫ মিনিটের একটা ফেসবুক বিরতি অথবা প্রিয় মানুষটির সাথে ৫ মিনিট কথা বলতে পারবেন। এভাবে নিজেকে প্রতি কাজের জন্য ছোট ছোট পুরস্কার দিন। এভাবেই দেখবেন, দিনশেষে আপনার সব কাজ সময়ের আগেই শেষ।
৩) অফিসের কাজ বাসায় নিয়ে যাবেন না। বরং যতটা সম্ভব অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করে বাসায় ফিরে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবকে সময় দিন। অথবা দেখে ফেলুন ভালো কোন মুভি বা একটু বেড়িয়েই আসুন না কাছেপিঠে। মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও পরদিন অফিসের কাজেও একঘেয়েমী লাগবে না।
৪) নিয়মিত, জরুরী ও অতিরিক্ত কাজের একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। সেটা হতে পারে ১-৩ মাস মেয়াদী। এতে আপনি কি করছেন ও কি কাজ করতে হবে আপনাকে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকবে আপনার।
৫) কেবল নিয়মিত কাজ বা রুটিন ওয়ার্কই নয়, বরং বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন কাজে। রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে যে ফরম্যাটে কাজ করছেন, একটু পরিবর্তন আনতে পারেন তাতে। হতে পারে তাতে প্রাসঙ্গিক ছবি বা আইকন যুক্ত করা কিংবা একটু রঙ্গিন করা। হতেই পারে! এতে কাজে বৈচিত্র্য আসবে। এছাড়া চেষ্টা করতে পারেন কাজ গুলোকে কিভাবে আরেকটু সহজে করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এক্সেল ফাইলে সুত্র যোগ করে অনেকগুলো তথ্যের ফাইলগুলোকে লিঙ্কড করে রাখতে পারেন। এতে ম্যানুয়ালি কাজ করার ঝামেলা কমে যাবে অনেকটাই।
৬) প্রতি সপ্তাহে পাওয়া তথ্য দিয়ে মাস শেষে যদি রিপোর্ট দিতে হয়, তবে সেটা আপডেট করে রাখুন প্রতি সপ্তাহেই, মাস শেষে ঝামেলা কম হবে।
৭) সাধারন মেইল ব্যবহারের বদলে কম্পিউটারে ইন্সটল করুন Microsoft Outlook। এতে আপনার বিভিন্ন ফাইল আপলোড, ডাউনলোডের জন্য সময় কম লাগবে, সেই সাথে কোন কারণে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন কাজ না করলেও সহজেই আপনি আগের যে কোন মেইল থেকে যে কোন ডাটা দেখতে ও ডাউনলোড করতে পারবেন। এতে আপনার কাজে সময় কম ব্যয় হবে।
৮) মোবাইলেও রিমাইন্ডার দিয়ে রাখতে পারেন যদি কোন বিশেষ মিটিং বা কাজ থাকে।
৯) একটু কষ্ট করে সপ্তাহে একদিন আপনার ডেস্ক, ড্রয়ার ও কাগজপত্র ভালোভাবে গুছিয়ে রাখুন। দরকার হলে ফাইলের গায়ে লিখে রাখুন এর ভেতরে কি কি কাগজ আছে। এতে প্রয়োজনের সময় কোন কিছু খুঁজে পেতে বেগ পেতে হবে না।
১০) একটা কার্ড হোল্ডার কিনে টেবিলের উপর রেখে দিন। প্রয়োজনীয় সবার ভিজিটিং কার্ড সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে কাজে দেবে।
১১) একঘেয়ে কাজের বদলে চেষ্টা করুন নিজের কাজগুলোকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায়। বসের নির্দেশের আশায় বসে না থেকে নিজেই বের করুন আইডিয়া। দেখবেন নিজের কাজে নিজেই সৃজনশীলতার আনন্দ খুজে পেতে শুরু করেছেন।
১২) আপনার টেবিলের উপর রেখে দিন ছোট্ট একটা ক্যাকটাস বা একেবারেই ছোট্ট কোন ফুলের গাছ আর ড্রয়ারে রেখে দিন প্রিয়জনের একটা হাসিমাখা ছবি। ক্লান্তি কাটাতে একবার নজর বুলিয়ে নিন। এবার কাজ করুন।
পরিকল্পনা করে একটু কাটাতে চেষ্টা করুন আগামী একটা সপ্তাহ। কাজ তো সময় মত হবেই, আপনি নিজের সেই একঘেয়ে কাজগুলোর মাঝেই খুজে পাবেন আনন্দ আর প্রমাণ করতে পারবেন নিজেকে। আর আপনার প্রমোশনটাও এইবার আটকে রাখে কার সাধ্য!Source:http://www.priyo.com/2013/07/10/23624.html