(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/640x359x1/uploads/media/2018/06/23/ef24c4d4ba62e62d28adac476adf197e-5b2e4598b3add.jpg)
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কম্পিউটার তৈরির দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। 'মিশিগান মাইক্রো মোট' নামের এ ডিভাইসটির আকার মাত্র দশমিক তিন মিলিমিটার। এটি ক্যানসার পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দেবে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে বলা হয়, এর আগে গবেষকেরা ২ বাই ২ বাই ৪ মিলিমিটার আকারের একটি ডিভাইস তৈরি করেছিলেন। তাতে বাইরে থেকে শক্তি জোগানো বন্ধ হলেও তা তথ্য ধরে রাখতে পারত। কিন্তু ক্ষুদ্রতম কম্পিউটারটির ক্ষেত্রে একবার চার্জ শেষ হলে তার আগের সব তথ্য মুছে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ব্লাউ বলেন, একে কম্পিউটার বলা যাবে কি না তা আমরা নিশ্চিত নই। এটি মতামতের ওপর নির্ভর করে। কম্পিউটার হতে গেলে যে ফাংশন থাকার কথা, তা আছে কি না, সে বিষয়টি মতামতসাপেক্ষ। র্যাম ও ফটোভল্টাইকসসহ এ কম্পিউটিং ডিভাইসে প্রসেসর, তারহীন ট্রান্সমিটার ও রিসিভার রয়েছে। যেহেতু এতে প্রচলিত রেডিও অ্যানটেনা নেই এটি দৃশ্যমান আলোর সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। একটি বেজ স্টেশন শক্তি ও প্রোগ্রামের জন্য আলো সরবরাহ করে এবং তথ্য গ্রহণ করে।
ডেভিড ব্লাউ বলেন, সিস্টেম প্যাকেজিং স্বচ্ছ তৈরি করতে হয় বলে 'মিশিগান মাইক্রো মোট' তৈরির চ্যালেঞ্জ হলো এটি কীভাবে কম শক্তিতে চালানো যায়। এ সমস্যা দূর করতে নতুনভাবে সার্কিটের নকশা করতে হয়েছে।
নিখুঁত তাপমাত্রা পরিমাপক সেনসর হিসেবে এটি তৈরি করা হয়। নতুন এ ডিভাইসিট তাপমাত্রাকে ইলেকট্রনিক স্পন্দনে রূপান্তর করতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় কোষের মধ্যে তাপমাত্রার ওঠানামা নিখুঁতভাবে নির্ণয় করতে পারে এ যন্ত্র।
ক্ষুদ্র এই মাইক্রো কম্পিউটার অন্যান্য কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন গবেষকেরা।
Source: Prothom Alo