গতকাল ( ২৩ আগস্ট ২০১৭) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের যৌথ আয়োজনে 'ই-কপিরাইট' সেবার উদ্বোধন করা হয়। ইউএনডিপি এবং ইউএসএইডেরর কারিগরি সহায়তায় এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের সহায়তায় 'ই-কপিরাইট' সেবা ব্যবস্থা চালু করা হয়।
(http://www.computerbichitra.com/cloud/archives/2017/08/img_5507-thumbnail.jpg)
আইসিটি ভিত্তিক এই সেবার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সংস্কৃতি সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্টার জাফর আর চৌধুরী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার এবং এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী প্রমুখ।
ই-কপিরাইট সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, সংগীতকর্ম, রেকর্ডকর্ম, শিল্পকর্ম, চলচ্চিত্র বিষয়ককর্ম, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কমপিউটার-সফটওয়্যারকর্ম ইত্যাদি নিবন্ধনের জন্যে সহজেই বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ওয়েবসাইট http://www.copyrightoffice.gov.bd/) এ গিয়ে কপিরাইটের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। প্রত্যেকটি আবেদন একটি স্বয়ংক্রিয় উপায়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এসএমএসের মাধ্যমে নোটিফিকেশন প্রদান করা হবে এবং নির্দিষ্ট তারিখে কপিরাইট সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে ই-সার্টিফিকেটও পাওয়া যেতে পারে যা পরবর্তীতে অনলাইনে যেকোনো সময় যাচাই করা যাবে। ই-কপিরাইট সেবা চালু করার ফলে কপিরাইট অফিস থেকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি নতুন দ্বার উম্মোচন হল। এতে করে কপিরাইটের জন্য আবেদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং সৃজনশীল কর্মের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার অর্থাৎ মালিকানা সংরক্ষণ আরও সহজ হবে।
Nice Job