Skill Jobs Forum

Career Sector => Information Technology => Topic started by: Noor E Alam on July 04, 2018, 02:42:50 PM

Title: সামিট : বিশ্বের এক নম্বর সুপার-কম্পিউটার
Post by: Noor E Alam on July 04, 2018, 02:42:50 PM
(http://www.nayadiganta-online.com/img/article/201806/324787_139.jpg)

সুপার কম্পিউটার তৈরির প্রতিযোগিতায় এবার চীনকে পেছনে ফেলে অনেকদূর এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র । মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাদের তৈরি সর্বশেষ সুপার-কম্পিউটারটি ক্ষমতায় এবং গতিতে এর আগের বিশ্বের এক নম্বর বলে বিবেচিত সুপার-কম্পিউটারের প্রায় দ্বিগুণ।

চলতি মাসের ৮ই জুন এই সুপার কম্পিউটারটি প্রথম চালু করা হয়েছে।

এই নতুন সুপার কম্পিউটারের নাম দেয়া হয়েছে 'সামিট'। প্রতি সেকেন্ডে এটি দুই লক্ষ ট্রিলিয়ন হিসেব কষতে পারে। সুপার-কম্পিউটারের ক্ষমতা মাপার যে ইউনিট, সেই বিচারে এটির ক্ষমতা হচ্ছে প্রায় দুশ' পেটাফ্লপ।

এটি তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে। আইবিএম এবং এনভিডিয়া মিলে এই সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছে। এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের এক নম্বর সুপার-কম্পিউটার বলে বিবেচনা করা হতো চীনের 'সানওয়ে তাইহুলাইট'কে। এটির প্রসেসিং ক্ষমতা ছিল প্রতি সেকেন্ডে তিরানব্বুই পেটাফ্লপ।

সুপার-কম্পিউটার সাধারণত আকারে যেমন বিশাল হয়, তেমনি এগুলো তৈরি করাও অনেক ব্যয়বহুল। এগুলোর ভেতরে থাকে লক্ষ লক্ষ প্রসেসর, যেগুলোকে ডিজাইন করা হয় বিশেষ ধরণের হিসেব-নিকেশ করার জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন তৈরি সামিট সুপার-কম্পিউটারটি শুরুতে মূলত ব্যবহার করা হবে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, ক্যান্সার গবেষণা এবং সিস্টেম বায়োলজির কাজে। সামিট সুপার-কম্পিউটারে ৪ হাজার ৬০৮টি কমপিউট সার্ভার আছে। এটির মেমোরি হচ্ছে দশ পেটাবাইট।

ওকরিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পরিচালক ড: থমাস জাচারিয়া জানিয়েছেন, এই সুপার কম্পিউটারটি আসলে ধাপে ধাপে যুক্ত করে যখন তৈরি করা হচ্ছিল, তখন থেকেই এটিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

সুপার-কম্পিউটার তৈরির প্রতিযোগিতা

২০১৭ সালে সর্বশেষ যে সুপার-কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাঁচশোটি সুপার কম্পিউটারের ১৪৩টি আছে যুক্তরাষ্ট্রে, আর ২০২টি আছে চীনে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে অনেকদূর এগিয়ে আছে চীন।

সামিট তৈরি করার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার-কম্পিউটার ছিল টাইটান। বিশ্ব র‍্যাংকিং-এ এটির অবস্থান ছিল পঞ্চম স্থানে।

সামিটের উদ্বোধনের সময় সেখানে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী রিক পেরি বলেন, "আমরা জানি যে এক্ষেত্রে আমরা একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি। কাজেই কে আগে যেতে পারে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।"

তাঁর মতে আমেরিকা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পেরেছে যে তারা এই প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পেরেছে। তিনি বলেন, সামিট সুপার-কম্পিউটার হিসেবে এতই শক্তিশালী যে, তিরিশ বছর ধরে জমা করা সব তথ্য যদি একটি ডেস্কটপে রাখা হয়, মাত্র এক ঘন্টায় সামিট তা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।

Source:- Nayadiganta