Skill Jobs Forum

Career Sector => Information Technology => Topic started by: Noor E Alam on June 07, 2018, 12:37:38 PM

Title: মিথ্যা ধরার নতুন যন্ত্র
Post by: Noor E Alam on June 07, 2018, 12:37:38 PM
(https://www.jugantor.com/assets/news_photos/2018/05/22/image-51297-1526962309.jpg)

সম্ভাব্য অপরাধীকে জেরার সময় তদন্তকারীরা কখনও 'লাই ডিটেক্টর'-এর সাহায্যে মিথ্যা বক্তব্য শনাক্ত করেন। এবার আরও নির্ভরযোগ্যভাবে মিথ্যা ধরার তোড়জোড় চলছে।



আধুনিক এ যন্ত্র ভবিষ্যতে অপরাধবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। লাই ডিটেক্টর পরীক্ষায় ফাঁকি দেয়া যায় বলে তা সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য নয়। প্রমাণ হিসেবে তার ফলাফল যথেষ্ট নয়।

বার্লিনের স্নায়ুবিজ্ঞানী জন ডায়লান হেনস একেবারে নতুন ধরনের এক লাই ডিটেক্টর তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন। এ যন্ত্র হবে ত্রুটিহীন এবং এর প্রয়োগে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকবে না।

সচেতনভাবে কেউ মিথ্যা কথা বলছে কিনা, তা শনাক্ত করার বদলে এ যন্ত্র অপরাধস্থল সম্পর্কে অকাট্য তথ্য মিলিয়ে দেখবে। হেনস বলেন, 'কেউ সত্যি না মিথ্যা বলছে, তা জানতে চাইলে হয় তাকে সরাসরি প্রশ্ন করা যেতে পারে। যেমন 'তুমি কি ঘটনাস্থলে ছিলে?', 'তুমি কি এই অস্ত্র ব্যবহার করেছ?' ইত্যাদি। অথবা সরাসরি তার মস্তিষ্কে উঁকি মেরে দেখা যেতে পারে, সে কোনো কিছু চেনার লক্ষণ দেখাচ্ছে কিনা। একবার কিছু দেখে থাকলে মস্তিষ্ক আবার তা চিনতে পারে। কোনো অপরাধ করে থাকলে সেটা মনে পডলে মস্তিষ্কে কিছু লক্ষণ দেখা যায়।'

একবার কোনো জায়গায় গিয়ে থাকলে কি সারা জীবন ধরে তার 'নিউরোনাল ইমেজ মনে থাকে? হেনসের টিম এক ধরনের ভিডিও গেমসের মাধ্যমে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে।

এই পরীক্ষার আওতায় স্বেচ্ছাসেবীরা ভার্চুয়াল বাড়িঘর ও এলাকার মধ্য দিয়ে চলে যাচ্ছেন। যা দেখছেন, সেসব কিছু মনে রাখা তাদের দায়িত্ব। এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে খুনি, ডাকাত বা হামলাকারীকে শনাক্ত করতে কাজে লাগতে পারে।

তখন ঘটনাস্থলের ছবি দেখিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নিউরাল প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করা হবে। গোটা প্রক্রিয়াটা কোনো কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্রের লাই ডিটেক্টর যন্ত্রের মতো মনে হয়।

ভিডিও দেখানোর পর স্বেচ্ছাসেবীদের মস্তিষ্কে বিকিরণ করা হবে। এক মনিটরের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তাদের পরিচিত ও অপরিচিত জায়গার ফিল্ম দেখিয়ে তাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবেন।

এই তথ্য বিশ্লেষণ করে মানুষের মনে পড়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। প্রথমে গবেষকদের জানতে হবে, কোনো ব্যক্তি একটি জায়গা দেখে থাকলে তার মস্তিষ্কে ঠিক কোন ক্রিয়া ঘটে। তারপর সেই প্যাটার্ন বা বিন্যাস কম্পিউটারকে শেখাতে হবে।

নিউরাল লাই ডিটেক্টর অবশ্যই কাজ করছে। কোনো ব্যক্তি কোনো জায়গা একবার দেখে থাকলে মস্তিষ্কের কিছু অংশ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তখন মিথ্যা বলে কোনো লাভ হয় না।

বিজ্ঞানীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে অপরাধ ঘটার আগেই মস্তিষ্কের বিন্যাসের সাহায্যে সম্ভাব্য অপরাধীকে শনাক্ত করতে চান। জন ডায়লান হেনস বলেন, 'অত্যন্ত দ্রুত এক স্ক্রিনিং টেস্ট করতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো।

তবে আগামী বছরগুলোতে সেটা সম্ভব হবে না। কারণ কোনো ব্যক্তির খারাপ অভিসন্ধির মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য থাকতে পারে। তার মনে বোমা বা পিস্তল দিয়ে হামলা চালানো, পণবন্দি করার মতো মতলব থাকতে পারে।

অর্থাৎ আমাদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব সম্ভাব্য মতলব খুঁজতে হবে। এই মুহূর্তে সেটা খুবই কঠিন কাজ।' কিন্তু সেই মতলবের অস্তিত্ব যদি শুধু কল্পনার জগতেই সীমাবদ্ধ থাকে, তখন কী করা যায়?

সেই মতলব বাস্তবে কার্যকর না করলেও কি কোনো ব্যক্তিকে দায়ী করা যেতে পারে? মনের কথা আগেভাগে জেনে অপরাধীকে থামানোর সম্ভাবনা থেকে আমরা এখনও অনেক দূরে রয়েছি।


Source:-https://www.jugantor.com/todays-paper/everyday/51297/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0