(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/640x543x1/uploads/media/2017/07/25/a3860eada9ba43f9a8959e7ed4f407a4-59777a5e2deb2.jpg)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আবহে ছবি ও ভিডিও প্রকাশের শীর্ষ জনপ্রিয় দুটি অ্যাপ হলো ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাট। মজার ব্যাপার হলো, গত এক বছরে স্ন্যাপচ্যাটের অবিকল সুবিধা যোগ করে জনপ্রিয়তার তালিকায় বেশ ভালোভাবে টেক্কা দিতে পেরেছে ইনস্টাগ্রাম। ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে দৈনিক প্রায় ২৫ কোটিতে। আর প্রতিদিন স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করে প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। জনপ্রিয়তার এই লড়াইয়ে একটা প্রশ্নই রয়ে যায়, কোনটি আসলে সেরা? এ প্রতিবেদনে অ্যাপ দুটির প্রধান সুবিধার পার্থক্য তুলে ধরা হলো—
স্টোরিজ
স্টোরিজের ধারণা প্রথম আনে স্ন্যাপচ্যাট। পরবর্তীতে ইনস্টাগ্রাম এ সুবিধা যোগ করে। এই স্টোরিজ অ্যাপ দুটিতে সাজানো হয়েছে চমৎকারভাবে। অ্যাপে ঢোকার পরপরই দেখা যায়, ইনস্টাগ্রামের ওপরে সাজানো রয়েছে স্টোরিজ। যেখানে স্ন্যাপচ্যাটে স্টোরিজগুলো অ্যাপের বাঁ থেকে ডানে টান দিলে দেখাবে। আবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরিজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চালু হয়ে যায়, যা অনেক ব্যবহারকারীর কাছে বিরক্তিকর। স্ন্যাপচ্যাটে আগে এমন হলেও এখন আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টোরিজ চালু হয় না। তবে স্টোরিজের সার্বিক দিক বিবেচনায় এগিয়ে ইনস্টাগ্রাম।
ডিরেক্ট মেসেজ
ছবি বা ভিডিও শেয়ার করার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটে রয়েছে অস্থায়ী খুদে বার্তা আদান-প্রদানের সুবিধা। যাকে বলে 'ডিরেক্ট মেসেজ' বা ডিএম। ডিরেক্ট মেসেজের জন্য স্ন্যাপচ্যাটের জনপ্রিয়তা বেশি। অনেক ব্যবহারকারী বলেন, ইনস্টাগ্রামের চেয়ে স্ন্যাপচ্যাটেই খুদে বার্তা প্রেরণ করাটা তুলনামূলক সহজ। অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামে কোনো নতুন মেসেজ এলে সেটা খোলার পর খুদে বার্তা আদান-প্রদান করে বন্ধ করলেই খুদে বার্তাগুলোও অদৃশ্য হয়ে যায়। স্ন্যাপচ্যাটের ডিএমের নকশা আর রং নিয়ে অনেকের অভিযোগ থাকলেও স্ন্যাপচ্যাট এগিয়ে।
ফেস ফিল্টার
স্ন্যাপচ্যাটের হাত ধরে শুরু হয় ছবি বা ভিডিওতে কৌতুক আবহ বা হাস্যকর ফিল্টার ব্যবহার করার প্রচলন। আর স্ন্যাপচ্যাটও জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসে এ সুবিধা যোগ করে। ছবি বা ভিডিওতে কৌতুক আবহ ব্যবহারের দৌড়ে ইনস্টাগ্রাম এখনো পিছিয়ে। রয়েছে নতুনত্বেরও অভাব। সব সময় স্ন্যাপচ্যাটের প্রায় সব আবহকেই নকল করতে দেখা যায় ইনস্টাগ্রামকে। ব্যবহারকারীদের কাছে সেটা সব সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ সুবিধায় স্ন্যাপচ্যাটই এগিয়ে।
অবস্থান জানানো
ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাট—দুটিতেই ছবি বা ভিডিওতে অবস্থান জুড়ে দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। তবে অবস্থান জানানোর ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম অনেকখানি জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে অবস্থানের নাম বিভিন্ন আকার, রঙে ও ছবির যেকোনো স্থানেই জুড়ে দেওয়া যায়। অবস্থান যোগ করার ব্যাপারে খানিকটা পিছিয়ে স্ন্যাপচ্যাট। এতে পরিবর্তন করা যায় না অবস্থানের নকশাও।
স্টিকার ও আবহ
ছবি বা ভিডিওতে স্টিকার বা আবহ যোগ করে তা আরও আকর্ষণীয় করে তোলার সুবিধাটা ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাট দুটো অ্যাপেই রয়েছে। তবে স্টিকার বা আবহের ক্ষেত্রে সংখ্যার চেয়ে মান খুবই জরুরি। ইনস্টাগ্রামে অল্পই স্টিকার ও আবহের সংখ্যা কম। তবে এর মান খুবই ভালো। ইনস্টাগ্রামের স্টিকার ও আবহগুলো দেখতে বেশ সুন্দর হয় বলে দাবি বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর। স্ন্যাপচ্যাটের স্টিকার ও আবহের মান ততটা ভালো না হলেও এতে রয়েছে প্রচুর স্টিকার ও আবহ। এ ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাট সমানে সমান।
ছবিতে আঁকাআঁকি
ছবিতে আঁকতে পারার জন্য ইনস্টাগ্রাম বেশ জনপ্রিয়। এতে ইচ্ছেমতো রং, তুলির নকশাসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। স্ন্যাপচ্যাট তাদের মৌলিক সুবিধাটাই ধরে রেখেছে। সংস্করণ হয়নি বহু বছর। এ সুবিধার জন্য এগিয়ে রইল ইনস্টাগ্রাম।
সবকিছু মিলিয়ে ইনস্টাগ্রামকেই সেরা দাবি করেন ব্যবহারকারীরা। তবে স্ন্যাপচ্যাটে এমন কিছু সুবিধা রয়েছে, যা ইনস্টাগ্রামে এখনো যোগ করা হয়নি। ভিডিও বিপরীত দিকে চালনা, ছবি সম্পাদনাসহ স্ন্যাপচ্যাটে রয়েছে ছবি বা ভিডিওতে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি যোগ করার সুবিধাও।
Source:- http://www.prothomalo.com/technology/article/1265331/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE