(https://www.jugantor.com/assets/news_photos/2018/05/24/image-52001-1527146676.jpg)
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজ কক্ষপথে পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১। স্যাটেলাইটটি নিয়ন্ত্রণ নিতে গাজীপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় স্থাপিত দুই গ্রাউন্ড স্টেশনে দেশের ৩০ জন তরুণ বিজ্ঞানী কাজ করছেন।
এরই মধ্যে তারা তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। চুক্তি মোতাবেক তিন বছর বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। তবে স্যাটেলাইটটি দেশের বিজ্ঞানীদের নিয়ন্ত্রণে আসবে দ্রুত। বুধবার এসব কথা জানান স্যাটেলাইটের প্রকল্প পরিচালক মো. মেসবাহ উজ্জামান।
তিনি বলেন, দেশের তরুণ বিজ্ঞানীরা অনেক ফার্স্ট। স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের বিজ্ঞানীরা চুক্তি মোতাবেক তাদের তিন বছর প্রশিক্ষণ দেবেন।
কিন্তু এই সময়ের আগেই দেশের ৩০ জন তরুণ বিজ্ঞানী তারকা হয়ে যাবেন। তারাই নিয়ন্ত্রণ করবেন স্যাটেলাইট। ইতিমধ্যে তারা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন।
জানা গেছে, বিসিএসসিএলের অপারেশন ইউনিটে নিয়োগ পাওয়া ৩০ তরুণের মধ্যে ১৮ জন দু'ভাগে গাজীপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে পরিচালনা করবেন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। বাকি ১২ জন থাকবেন গ্রাউন্ড স্টেশনের সিভিল ও ইঞ্জিনিয়ারিং সাইটে।
গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন : এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের ৩০ জন তরুণ বিজ্ঞানী ভবিষ্যতে আমাদের মহাকাশের অনেক দূর নিয়ে যাবে। এক বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনা হল।
একদিন মহাকাশ-জগৎ জয় করব আমরা। আমাদের তরুণদের দিয়ে এটি সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, গ্রাউন্ড স্টেশনে দেশের ছেলেমেয়েরা কাজ করছে। তারা সবাই যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বড় উপকরণ হল স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১।
বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড স্টেশন : উৎক্ষেপণের টানা ১০ দিন পর ২১ মে নিজ কক্ষপথে পৌঁছেছে স্যাটেলাইটটি। ২১ মে সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় স্থাপিত গ্রাউন্ড স্টেশন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে। আর ২২ মে উপগ্রহটি আংশিক (পার্শিয়াল) সংকেত পাঠাতে শুরু করে।
গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ওই সংকেতটি পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু গ্রাউন্ড স্টেশন গাজীপুরের ম্যানেজার নাসিরুজ্জামান বনি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কক্ষপথে চূড়ান্তরূপে অবস্থান নেয়ার পর ৩৬ হাজার কিলোমিটার ওপর দিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে স্যাটেলাইটটি। পৃথিবীর মতো ২৪ ঘণ্টায় একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে।
ফলে পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইটটিকে স্থির মনে হবে। স্যাটেলাইট থেকে সেবা পেতে সব মিলে তিন মাসের মতো সময় লাগবে। ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে মহাকাশের পথে উড়ে যায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।
Source:- https://www.jugantor.com/todays-paper/city/52001/নিয়ন্ত্রণে-সক্ষমতার-পরিচয়-দিয়েছেন-দেশের-৩০-বিজ্ঞানী