(https://www.jugantor.com/assets/news_photos/2018/05/23/image-51616-1527018058.jpg)
ব্যক্তিগত মোটরকার ও মোটরসাইকেল চালানোর রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭ কার্যকর করেছে সরকার।
নীতিমালা অনুযায়ী বিআরটিএ'র কাছ থেকে রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে 'রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট' এবং মোটরযান মালিককে 'রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট' গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিআরটিএ-এর বেঁধে দেয়া এক মাস সময়ের মধ্যে 'এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট' নিতে সাতটি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি আবেদন করেছে। কোম্পানিগুলো হল- উবার লিমিটেড, পাঠাও লিমিটেড, সহজ লিমিটেড, চালডাল লিমিটেড, আকাশ টেকনোলজি লিমিটেড, গোল্ডেন রিং লিমিটেড এবং ও ভাই লিমিটেড।
বিআরটিএ-এর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. নূরুল ইসলাম জানান, সাতটি আবেদন পড়েছে। প্রত্যেকের অ্যাপসহ কাগজপত্র, কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে তারপর সনদ দেয়া হবে। যাত্রীর নিরাপত্তাসহ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় রয়েছে-যা এই প্রক্রিয়ায় দেখা হবে।
চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোক পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে বলা হয়েছিল।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সনদ না নিলে সংশ্লিষ্ট সার্ভিসদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৫ জানুয়ারি শর্ত সাপেক্ষ অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পরিবহন সেবার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১১ শর্তে এ অনুমোদন পায় রাইড শেয়ারিং সেবাটি। নীতিমালায় আটটি অনুচ্ছেদ এবং ১১টি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের জুনে এ নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। একই বছর অক্টোবরে হয় প্রথম খসড়া।
নীতিমালায় প্রণীত বিধানগুলো :
১. অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা দিতে বিআরটিএর অনুমোদন বা নিবন্ধন লাগবে।
২. কোম্পানিগুলোর ঢাকায় কমপক্ষে ১০০টি, চট্টগ্রামে ৫০টি এবং অন্যান্য এলাকায় ২০টি যানবাহন থাকতে হবে।
৩. নিবন্ধন ফি ১ লাখ টাকা। প্রতি বছর নবায়নে ১০ হাজার টাকা।
৪. ব্যক্তি মালিকানায় একজন একটির বেশি গাড়ি এই সেবায় দিতে পারবেন না। গাড়ি এই সেবায় দিলে আলাদা ফি দিতে হবে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিতে বছরে ১ হাজার টাকা আর মোটরসাইকেলে ৫০০ টাকা।
৫. একসঙ্গে একাধিক অ্যাপে সেবা দেয়া যাবে না। অ্যাপ পরিবর্তন করতে চাইলে দুই মাস পরে করতে হবে।
৬. ভাড়া সরকার নির্ধারিত ট্যাক্সি ক্যাবের চেয়ে বেশি নেয়া যাবে না। ট্যাক্সিক্যাবে বেইজ বা যাত্রা শুরুর ভাড়া ৫০ টাকা আর প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া আছে। সিএনজিতে এটি বেইজ ৪০ টাকা ও প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা রয়েছে। মোটরসাইকেলের ভাড়া এখনও নির্ধারিত নেই।
৭. কোম্পানিগুলোকে যাত্রীর ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য কমপক্ষে ৩ মাস সংরক্ষণ করতে হবে।
৮. সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যাত্রীর বিআরটিএ'তেও অভিযোগ জানাতে পারবেন।
বর্তমানে রাইড শেয়ারিংয়ে উবার ছাড়াও দেশে স্যাম, পাঠাও, আমার রাইড, মুভ, বাহন, চলো অ্যাপে, ট্যাক্সিওয়ালা, ওই খালি, ইজিয়ার, লেটস গো ইত্যাদি নামে বিভিন্ন কোম্পানি অ্যাপভিত্তিক এই পরিবহন সেবা দিচ্ছে। এছাড়া ও ভাই নামে একটি কোম্পানি সিএনজি অটোরিকশাকেও অ্যাপ মাধ্যমে নিয়ে এসেছে।
Source:- https://www.jugantor.com/todays-paper/it-world/51616/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%8F-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8