(http://samakal.com/uploads/2018/05/online/photos/FB11-5b064331c11a6.jpg)
যুক্তরাজ্যের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের ব্যক্তিগত গোপন ছবি পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি। প্রতিশোধমূলকভাবে কেউ একজন অন্য একজনের নগ্ন ছবি পোস্ট করার যে প্রবনতা, সেটি রুখে দিতে এই উদ্যোগ।
কারো ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি অন্য কোনো ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে দিতে পারে- এমন আশঙ্কা থাকলে সেক্ষেত্রে এটি কাজ করবে। কারণ অনলাইনে ওই ছবি প্রকাশিত হওয়ার আগেই তা ব্লক করে দেবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। একই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের হয়রানিমূলক ছবি ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়াতে এই প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করেছে। এখন তারা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এটি শুরু করতে যাচ্ছে। ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্রিটেনের মানুষদের জন্য বিষয়টি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এটি যেভাবে কাজ করবে: নিজের কোনো ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে একজন ব্যবহারকারী উদ্বিগ্ন থাকলে ফেসবুকের যে সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে বিচারের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যেমন: ব্রিটেনে এজন্য রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্প লাইনে যোগাযোগ করা যাবে।
তখন সেখানকার কর্মীরা ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ও ছবি আপলোডের জন্য ব্যবহারকারীকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে।
ফেসবুকের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান অ্যান্টিগন ডেভিস বলেন, এই ছবি দেখতে পাবে কেবল পাঁচজন প্রশিক্ষিত রিভিউয়ার্স নিয়ে গড়া ক্ষুদ্র একটি দল। তারা ছবিটিতে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংযোজন করবে। এরপর সেই কোডটি ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে।
অন্য কোনো ব্যক্তি যদি সেই একই ছবি কোনোভাবে আপলোড করার চেষ্টা করে কোডটি তখন শনাক্ত করবে। এরপর সেটা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারে প্রকাশ হওয়ার আগেই আটকে দেবে।
তবে অ্যান্টিগন ডেভিস স্বীকার করেছেন, ফটো-ম্যাচিং প্রযুক্তির বিষয়টি জড়িত থাকায় ১০০% নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। কারণ ছবিকে বিকৃত করা সম্ভব। তাই মূল ছবি থেকে সেগুলো আলাদা হতে পারে। পুরো প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে কাজ করবে যদি যে ছবিটি নিয়ে দুশ্চিন্তা সেটি হাতে থাকে। যেমন ধরুন, যদি কারো সাবেক প্রেমিক/প্রেমিকা ফোনে ছবি তুলে থাকেন। এবং সেগুলো যদি তার নিজের কাছে না থাকে তাহলে এই প্রক্রিয়া কোনো কাজে দেবে না।
২০১৫ সালে চালুর পর থেকে বছর বছর এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার রিপোর্ট পেয়েছে ব্রিটেনের রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্প লাইন। হেল্প লাইনটি চালুর পর ২০১৫ সালে তাদের হটলাইনে এ ধরনের পাঁচশোর বেশি রিপোর্ট এসেছে। আর ২০১৭ সালে এ ধরনের রিপোর্ট এসেছে এক হাজারের বেশি।
Source:-http://samakal.com/technology/article/18051419/%EF%BB%BF%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95