যেকোনো চাকরিতে যে পাঁচ ধরনের প্রযুক্তি জ্ঞান প্রয়োজন
(http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/2014/04/27/image_77616.tech.jpg)
আধুনিক যুগে শুধুমাত্র আইটি ক্ষেত্রে চাকরির জন্যেই প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয় তা নয়, যেকোনো স্থানেই কাজ করতে এই জ্ঞানটির প্রয়োজন রয়েছে। যেখানেই চাকরি করুন না কেনো, মানুষ এখন প্রযুক্তি শিক্ষা পেতে ঢুঁ মারছেন বিভিন্ন স্থানে। বর্তমানে সৃষ্টিশীল কাজের ক্ষেত্রে থেকে, সেলস, মার্কেটিং এবং অন্যান্য নন-আইটি ক্ষেত্রে চাকরির জন্য প্রার্থীরা প্রযুক্তিবিদ্যা শিখছেন।
কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) দেওয়া ম্যাগনোলিয়ার মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ক্রিস্টোফার জাস্টিস বলেন, প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে সবার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইনের মৌলিক কাজ এবং ওয়েব পাবলিশিংয়ের কাজ সবার কম-বেশি জানা প্রয়োজন। এখানে পাঁচটি প্রযুক্তিগত দক্ষতা তুলে দেওয়া হলো যা বর্তমানে প্রতিটি চাকরিপ্রার্থীর শেখা প্রয়োজন।
১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে হবে আপনাকে। আর এ জন্য অবশ্যই দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন কর্মী নিয়োগের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কার্যকলাপ দেখে নেয়।
২. মাইক্রোসফট এক্সেল
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যে প্রযুক্তি জ্ঞান থাকাটা সবচেয়ে জরুরি তা হলো মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ জানা। অন্ততপক্ষে পিভট টেবিল বানাতে না পারলে তাকে প্রযুক্তিজ্ঞানশূন্য বলে ভেবে নেওয়া হবে। তা ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান আর কিছু জানতে না চাইলেও মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কেমন আছে তা ঠিকই যাচাই করে নেবে।
৩. মোবাইল ডেভেলপমেন্ট
আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে পেশা গড়তে চাইলে মোবাইল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বর্তমানের ক্রমবর্ধমান মোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসার প্রসারে ওয়েব-বেজড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে দক্ষ মানুষদের খুঁজছেন। তাই এ কাজে যাদের দক্ষতা রয়েছে তাদের চাকরি পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৪. ট্রাবলশুটের কাজ করতে পারা
প্রযুক্তি নিয়ে জ্ঞান রয়েছে যাদের তাদের ট্রাবলশুট নিয়ে কাজ করার সক্ষমতা অবশ্যই থাকতে হয়। কারণ সমস্যা সমাধানের পথ থাকতে তার ব্যবহার না জানা অজ্ঞতার শামিল। তা ছাড়া ট্রাবলশুট এড়িয়ে চলার অর্থ হচ্ছে সমস্যাকে ভয় পাওয়া। এই অপশনটির মাধ্যমেই প্রাথমিকভাবে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হয়। এ কাজে যদি দক্ষতা থাকে, তবে আপনি বাড়িতে বসে কাজ করলেও প্রতিষ্ঠান তাতে ছাড় দেয়। কারণ ঝামেলা সারতে আপনাকে অফিসে না আসলেও চলবে, আপনি একজন ট্রাবলশুট এক্সপার্ট।
৫. সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে জানা
প্রযুক্তি এমন এক খাত যেখানে প্রতিনিয়তই আপডেট আসছে। তাই সব সময় আপনাকে সর্বসাম্প্রতিক সংস্করণ সম্পর্কে খবরাখবর রাখতে হবে। নয়তো পিছিয়ে পড়বেন এবং নতুন সমস্যা সমাধান করতে পারবেন না এবং তা ব্যবহারও করতে পারবেন না। তা ছাড়া কোনটি জনপ্রিয় বা কোনটির কী কাজ সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। প্রযুক্তির দৌড়ের সঙ্গে নিজের চলার সামঞ্জস্য না রাখতে পারলে আপনাকে অযোগ্যতার কাতারেই ফেলা হবে।
সূত্র : ইন্টারনেট