সাফল্যের জন্য বুদ্ধিমান মানুষ যে পাঁচটি বিষয় মেনে চলে (http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/2014/04/19/image_74594.online-business.jpg)
সাফল্যের জন্য মানসিক বুদ্ধিমত্তা সাফল্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর বুদ্ধিমান মানুষ যে বিষয়গুলো মেনে চলে সেগুলো সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি। ব্যবসা-বাণিজ্যের সাফল্যের ক্ষেত্রে যেমন এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়। বুদ্ধিমান মানুষেরা যে পাঁচটি বিষয় মেনে চলেন, সেগুলো নিয়েই এবারের লেখা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. কথা নয় কাজে পরিচয়
বুদ্ধিমানরা কাউকে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করার আগে অবশ্যই তাদের কাজ বিবেচনা করেন। কথার বদলে কাজের দিকে গুরুত্ব দেওয়া বুদ্ধিমান মানুষের অন্যতম গুরুত্বের বিষয়। তারা কি সময় মেনে চলতে পারে? কল করতে পারে? কোনো ডিল করতে পারে? কথা নয়, বাস্তবে তারা কেমন? ব্যবসায় কিংবা ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার কোনো গুরুত্ব নেই।
২. নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা
আমরা সবাই আবেগের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মানুষ। কখনো কখনো ছোট বিষয়গুলো কোনো প্রয়োজন ছাড়াই বড় ঘটনায় মোড় নেয়। বুদ্ধিমান মানুষ জানে কিভাবে নিজেকে থামাতে হয়। কেউ কি আপনাকে কোথাও থামিয়ে দিচ্ছে? কোনো একটা ঝামেলাপূর্ণ বিষয়ে আবদ্ধ হওয়ার আগেই তা থেকে দূরে চলে যেতে সক্ষম হন এ ধরনের মানুষ।
৩. সর্বশেষ লক্ষ্যের দিকে সব সময়ের নজর
যারা জীবনে সাফল্য লাভ করে তাদের সব সময় বিস্তৃত চিত্রের দিকে নজর দেখা যায়। এর অর্থ দাঁড়ায় দৈনন্দিন নানা সমস্যা ও ছোট ছোট বাধা তাদের বিচলিত করতে পারে না। যখন সম্পূর্ণ মনের নজর থাকে লক্ষ্যের দিকে তখন এসব বিষয় নিয়ে নানা স্তরের গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা করতে সুবিধা হয়। ছোটখাটো সমস্যাপূর্ণ বিষয় তখন আর গুরুত্ব পায় না।
এ বিষয়টা সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কার্যকর। যদি একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক আপনার মূল লক্ষ্য থাকে তখন টুথপেস্টের ঢাকনা সমস্যাকে কোনো বিষয় বলেই মনে হবে না।
৪. বিষাক্ত মানুষদের দূরে সরানো
ভালো ব্যবসা তৈরি করে ভালো উদ্যম। অন্যদিকে নেতিবাচক মানুষ কোনো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিতে পারে। কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা এ বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানে। এ কারণে তারা উদ্যম অপচয়কারী মানুষের সময় থাকতেই দূরে সরিয়ে দেয়। তারা জানে উদ্যমী মানুষের সঙ্গে অলস বা নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষ খাপ খায় না।
৫. ক্রমাগত যোগাযোগ রক্ষা করা
সম্পর্কে কোনো সমস্যা হওয়ার অর্থ এই নয় যে সম্পর্কের সেঁতুবন্ধনটি ধ্বংস করে দিতে হবে। এ বিষয়টি বুদ্ধিমান মানুষ ভালোভাবে জানে বলেই কোনো লেনদেন ব্যর্থ হলে কিংবা সামান্য তিক্ততা সৃষ্টি হলেই তারা সবকিছু ত্যাগ করে না। তারা জানে ভবিষ্যতের কোনো না কোনো সময় তাদের সঙ্গে আবার দেখা হতে পারে। এ কারণে তারা কারো সঙ্গে সামান্য ব্যবসায়িক ব্যর্থতায় সম্পূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করে না। বরং যোগাযোগ রেখেই চলে।
অনেক ক্ষেত্রেই কারো সঙ্গে সম্পর্ক সারাজীবন ধরে চলে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ভিন্নমত এলেই সবকিছু বাদ দিতে হবে। বুদ্ধিমান মানুষ এ কারণে সব সময় যোগাযোগ রাখতেই পছন্দ করে। - See more at: http://goo.gl/qRiJcK