পেশাদার জীবনে সফলতার শর্ত একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট(http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/2014/04/06/image_69885.temp133_personal.gif)
কোনো ভালো প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্ট যদি আপনার সম্পর্ক জানতে চায়, তাহলে প্রথমেই তারা গুগলে আপনার নামটি লিখে সার্চ দিবে। আপনার ছবি বা তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে কোনগুলো চলে আসে তা বলা যায় না। তাই পেশাদার জীবনে প্রত্যেকেরই একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরি যেনো এতে ঢুঁ মারলেই সবাই আপনার নাগাল পান।
ওয়েব ডিজাইন প্রতিষ্ঠান সিনপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়া পোজিন বলেন, প্রত্যেকের তার পেশায় ভালো কিছু পেতে চাইলে একটি পেশাদার ওয়েবসাইট প্রয়োজন। এর পেছনে যে কারণ তিনি দর্শান তার বর্ণনা একটু দেখে নিন।
আপনার কেনো দরকার? :
এর মাধ্যমে জানাতে পারছেন যে আপনি আসকে কে? আপনার ফেসবুক পেজটি ব্যক্তিগত অথবা এটা শুধুমাত্র আপনার বিভিন্ন পোস্টের জন্য। টুইটারের ফরমেট অনুযায়ী এটি আপনার সম্পর্কে খুব কমই প্রকাশ করে। আবার লিঙ্কএডিন বেশ কার্যকর হলেও তা শুধুমাত্র আপনার পেশাদার জীবনটাকেই ফুটিয়ে তোলে।
যখন একটি প্রতিষ্ঠান কাউকে নিয়োগ দিতে চায়, তখন সে প্রার্থীর পেশাদার এবং ব্যক্তিগত দুই জানতে চায়। এ ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট মানুষে উভয় দিক পরিষ্কার করে তোলে। এতে আপনার যোগ্যতাসহ দৃষ্টিভঙ্গী এবং চিন্তাধারা প্রকাশ করে। তাই দক্ষতার প্রকাশে একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট দারুণ মাধ্যম।
কীভাবে গড়ে তুলতে হয় :
একজন পেশাদার ওয়েব ডিজাইনারকে দিয়ে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট গড়ে তোলাটা অর্থের অপচয় বলে মনে করেন পোজিন। একজন রাজনীতিবিদ বা সেলিব্রিটির জন্য হয়তো এমন ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। অথবা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য তা অতি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র বছরের ফি দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় নামমাত্র খরচে। জেনেরিক ওয়েট টেমপ্লেট না দিয়ে আপনার যোগ্যতা প্রকাশ পায় এমন একটি ওয়েবসাইট গড়ে তোলা যায়।
আপনি নিজেই যদি ডিজাইনার হোন তবে তো কথাই নেই। ওয়ার্ডপ্রেস থেকেই অনেক সাহায্য নেওয়া যায় যার মাধ্যমে বড় বড় পোস্টের টেমপ্লেট পাওয়া যায়। এখানে আপনার অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লিঙ্কসহ সবকিছু আপডেট রাখুন।
কী কী রাখা উচিত :
আপনি কে তা ব্যাপার নয়। এতে আপনার ছবি, বায়োগ্রাফি, রিজ্যুমি এবং যোগাযোগের ফোন নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য তুলে দিন। আপনার বিশেষ কোনো পেশাদারী দক্ষতা এখানে তুলে ধরতে পারেন।
পোজিনের মতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতি মাসে অন্তত একবার অথবা সপ্তাহে একবার পোস্টের মাধ্যমে নিজের তথ্য আপডেট রাখা। আপনার নাম খুঁজতে গেলে প্রথমেই তা গুগলে চলে আসাটা বেশ ভালো দেখায়।
এ ছাড়াও ব্যক্তিগত এই ওয়েবসাইটে আপনি যেকোনো তথ্য বা লিখনী প্রকাশ করতে পারেন। এটি পেশার বা পেশার বাইরের কিছু হতে পারে। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এবং মতামতসহ আপনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারেন সহজেই। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার