চাকরির ইন্টারভিউয়ে যে ১৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নন আপনি (http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/2014/04/06/image_69846.interview%20for%20job2.jpg)
চাকরির ইন্টারভিউ নিয়ে নানা পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন। একটি গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজের পারফরমেন্স এক্সপার্ট এবং ব্যবসা বিষয়ক বইয়ের লেখক বারনার্ড মার বলেন, ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নকর্তাদের নানা ধরনের প্রশ্ন নিয়ে মোটামুটি ধারণা সবারই রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে তাদের অদ্ভুত ধরনের প্রশ্ন বেশ পেরেশানিতে ফেলে দেয় চাকরিপ্রার্থীদের। এসব প্রশ্ন অনেক সময় সহজ ও স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত সীমানা পেরিয়ে যায় এবং তা রীতিমতো নীতিবিরুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে।
বারনার্ড তার মতামতে বলেন, তবে এসব প্রশ্নের জবাব জানার চেয়ে সাধারণত দেখা হয় আপনি কীভাবে তা মোকাবেলা করছেন। এসব ক্ষেত্রে প্রশ্নের উত্তর জানার চেয়ে বেশি জরুরি আপনার স্মার্টলি মোকাবেলা। এমন ১৪টি প্রশ্ন দেওয়া হলো যা চাকরির ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক স্থানেই রীতিমতো আইন ও নীতি বিরুদ্ধ বলে বিবেচিত হতে পারে।
১. আপনার কি সন্তান আছে?
২. আপনার বয়েস কতো?
৩. আপনি কোন শ্রেণীর নাগরিক?
৪. আপনার ওজন কতো?
৫. আপনার আর্থিক অবস্থা কেমন বা ধারের পরিমাণ কেমন?
৬. আপনি কখনো ঘুষ খেয়েছেন?
৭. আপনার পারিবারিক স্ট্যাটাস কেমন?
৮. আপনি কি ঈশ্বর বিশ্বাস করেন?
৯. আপনি কোথায় প্রার্থনা করেন?
১০. আপনি কি মাদক নেন?
১১. ছুটির দিনে কী করেন?
১২. ধর্মীয় ছুটির দিনগুলোতে কী করেন?
১৩. আপনার বংশ পরিচয় কী?
১৪. আপনি কি কখনো পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন?
এসব প্রশ্নের ক্ষেত্রে মার পরামর্শ দিয়েছেন, চাকরির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে যাবেন না। সেইসঙ্গে ওই ১৪টি বিষয় নিয়ে আপনার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনও নেই। এমনকি এসব প্রশ্নের বিপরীতে আপনি সরাসরি উত্তর না দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন এবং এমনকি অনেক দেশে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত উত্থাপন করা যায়। এসব ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ ত্যাগ করার অধিকার আপনার রয়েছে।
তবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে এসব প্রশ্নের বিপরীতে স্মার্ট উত্তরটি হলো, 'আমার মনে হয় চাকরির জন্য যোগ্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি মানানসই নয়'।
আবার যাদের এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে আপত্তি নেই, তাদের মানা করা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে স্মার্ট জবাবটি দেওয়াই ভালো। তবে মনে রাখবেন, এসবের উত্তর দিতে বাধ্য নন আপনি। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার