সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন(http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/print/2014/02/03/untitled-13_47978.jpg)
ক্যারিয়ার গোছানো মানে যেসব বিষয় আপনার ক্যারিয়ারের ওপর প্রভাব ফেলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা। আগে আমাদের দেশে এসব বিষয় নিয়ে খুব কম মানুষই ভাবতেন। কিন্তু সময় পাল্টেছে। এখন অনেকেই সচেতন। তাই আপনার জন্য রইল ৫ পরামর্শ :
এক.
যেকোনো চাকরি বা কাজ পেলেই যে করা উচিত নয়, সেটা দেরিতে হলেও এখন অনেকেই বুঝতে শিখেছেন।
দুই.
ক্যারিয়ার বলতে যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা বা চাকরি বোঝানো হয়, তা সঠিক নয়। ক্যারিয়ার বলতে পেশাকেই বোঝায়। হতে পারে চাকরি, ব্যবসা কিংবা ডাক্তারি, ওকালতি, অভিনয়, ফটোগ্রাফি বা অন্য যেকোনো কিছু। আপনার পছন্দ, দক্ষতা আর সময়োপযোগিতা- এই তিনের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে ক্যারিয়ার ক্ষেত্র। কোনো একটি বাদ গেলে বিপদ। তার মানে হচ্ছে-
ক. আপনি কী ধরনের কাজ করতে চান (প্রশাসনিক/বিক্রয়/ক্রেতা সেবা/মানবসম্পদ উন্নয়ন/হিসাবরক্ষণ ইত্যাদি)
খ. আপনি কাজটি কোথায় করতে চান (দেশে/বিদেশে/শহরে/সরকারি প্রতিষ্ঠানে/বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ইত্যাদি)
গ. আপনি কোন ধরনের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চান (আধুনিক/অভিজ্ঞ/ধর্মপরায়ণ ইত্যাদি)
ঘ. আপনি কিভাবে কাজে সন্তুষ্টি খুঁজে পান
ঙ. আপনি কত সহজে ব্যক্তিগত জীবনকে কর্মজীবন থেকে আলাদা করতে পারেন (যদি আদৌ করতে পারেন), এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন এবং সিদ্ধান্তে আসুন।
তিন.
জীবনযাপনের কঠিন তাগিদের কাছে হার মেনে আপনি হয়তো 'করতে ভালো লাগে না' এমন কাজ ছয় মাস, এক বছর করতে পারবেন। এরপর থেকেই বিষয়টি মানসিক যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের বিষয় নিয়ে হয়তো কোনোমতে দিন পার করা গেলেও অসাধারণ সাফল্য আশা করা যায় না। সুতরাং হুট করে ভুল খাতকে ক্যারিয়ার বলে ধরে নেবেন না।
চার.
সঠিক ক্যারিয়ার বাছাই করার জন্য চাই গভীর মনোনিবেশ আর বিশ্লেষণী ক্ষমতা। ভাবতে হবে ধাপে ধাপে। কাগজ-কলম নিয়ে গভীরভাবে। ভাবতে হবে আপনার পছন্দ, অপছন্দ বা দোষ-গুণ, দক্ষতা আর পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পেশার বাজার, ভবিষ্যৎ দেশের রাজনীতি, অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি মাথায় রেখে।
পাঁচ.
এখন সব কিছুই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা না করলে টিকে থাকা মুশকিল। ভবিষ্যৎ আরো প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠবে।