মস্তিষ্কের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে একটি বই!(http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/2013/12/29/image_36017.book%20reading1.jpg)
একটি বই পড়ুন, আপনার মস্তিষ্কের আমূল পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে! একটি উপন্যান নিয়ে কয়েকদিন কাটিয়ে দিন, আপনার চিন্তা-চেতনা বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক উন্নতি সাধন হতে পারে। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখেছেন, একটি উপন্যাস নিয়ে ডুবে থাকলে এর কাহিনীর সাথে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো নানাভাবে কাজ করে। এর ফলে কিছু স্নায়বিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে। এতে আপনার মগজে নির্ঘাত পরিবর্তন ঘটে যাবে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ু বিষয়ক বিজ্ঞানী গ্রেগরি বার্নস।
টানা ১৯ দিন ধরে একুশজন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীকে নিয়ে গবেষকরা কাজ করেন। ২০০৩ সালে প্রকাশিত রবার্ট হ্যারিসের থ্রিলার উপন্যাস 'পমপেই' পড়তে দেওয়া হয় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে। প্রাচীন ইতালির বিখ্যাত ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি থেকে যখন প্রতিনিয়ত অগ্ন্যুৎপাত ঘটতো, তখনকার পটভূমি নিয়ে বইটি লিখা হয়েছে। এটি পড়ার সময় শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে ঘটে যাওয়া নানা স্নায়বিক পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ পরীক্ষা করা হয় বিভিন্ন ধাপে। প্রথম ৫ দিন শিক্ষার্থীরা সকালে চলে আসতেন। ধীরস্থির অবস্থায় তাদের মগজের বেজ লাইন এফএমআরআই স্ক্যান করা হয়। এরপর বইটিকে ৯টি ভাগে ভাগে করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পড়তে দেওয়া হয়। প্রতিটি ভাগে ছিলো ৩০টি করে পাতা। নয় দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়, শর্ত ছিলো বিকেলে পড়তে হবে বইটি। প্রতিটি ভাগ পড়া শেষ হলে পরদিন সকালে আবার চলে আসতেন তারা বিজ্ঞানী দলের কাছে। মনযোগের সাথে পড়া হয়েছে কিনা তা বুঝতে কুইজ নেওয়া হতো। এরপর সকালে আবারো উত্তেজনাবিহীন মগজের স্ক্যান চলতো। এভাবে স্ক্যানের রিপোর্টে দেখা গেলো, মগজের বামপাশের টেম্পোরাল কর্টেক্সে কিছু তীব্র পরিবর্তন ঘটে গেছে। এ অংশটি ভাষাগত তথ্য ধারণ করে। এ অংশের ধারণক্ষমতা ব্যাপক বেড়ে গেছে।
গ্রেগরি বলেন, 'এমনকি যারা উপন্যাসটি ঠিকমতো পড়েননি, তাদের মস্তিষ্কেও কিছু না কিছু পরিবর্তন ঘটে গেছে। আমরা এটাকে বলবো - শ্যাডো অ্যাক্টিভিটি। এটা প্রায় মাসল মেমোরির মতো'।
এই ধারণক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার দেখা মিলেছে মগজের সেন্ট্রাল সালকাস অংশেও। সেন্ট্রাল সালকাস হলো যেকোনো অনুভূতি গ্রহণের জন্য মস্তিষ্কের প্রাথমিক সেন্সর অংশ। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস Source: http://goo.gl/kV2BIP