ফ্রিল্যান্সিং জগতে কেবল পা রেখেছেন?(http://finance.priyo.com/files/styles/large/public/field/image/2-enough-experience.jpg?itok=R5jDQQ34)
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। প্রতিদিনই নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার যু্ক্ত হচ্ছেন এই পেশায়। তবে যারা একদমই নতুন তারা কাজ করতে এসে পড়তে পারেন নানা ঝামেলায়। তবে কিছু কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখলে সহজেই উতড়ে যাওয়া যাবে সেসব সমস্যা।
কাজ করতে হবে ধৈর্য্য ধরে:কাজের ক্ষেত্রে ধৈর্য্য একটি বড় ভুমিকা পালন করে। আর তা যদি হয় ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ তা হলে তো কোন প্রশ্ন ছাড়াই এই ধৈর্য্য ধরার অভ্যাস করতে হবে। শুধু কাজের সময়ই সেটার প্রয়োজন তা নয়। বরং কাজ পাওয়ার প্রক্রিয়াও ধৈর্য্য রাখতে হবে। প্রথম দিকে কাজ পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে কারণ তখন আপনি নতুন, কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই এবং বায়ার আপনাকে চেনে না। সেজন্য কাজ পেতে হতাশ না হয়ে ধৈর্য্য ধরে বিড করে যাওয়া উচিত। প্রথম দিকে চেষ্টা করবেন কম মূল্যে বিড করার; তার ফলে আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনা বেশি হবে। যে কোন কাজ নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করুন।
আগে চাই পূর্ণাঙ্গ ধারণা:যে প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবেন তার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিয়ে তারপরই কাজ শুরু করা উচিত। প্রজেক্ট এর প্রাথমিক ধারণা আপনি ক্লায়েন্ট এর বিড রিকোয়েস্ট থেকেই পাবেন। তবে কাজ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিতে এবং বায়ারের চাহিদা সম্পূর্ণভাবে জানতে তাদেরকে প্রশ্ন করুন। প্রশ্ন করলে বায়ার আপনার আগ্রহ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। কাজ করার পূর্বে বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
কাজ সময়মত সম্পন্ন করুন:যে কাজ আপনার আয়ত্তে নেই কিংবা ভালো পারেননা সেটা বিড করার দরকার নেই। সেই প্রজেক্টে বিড করুন যে কাজ আপনি ভালোভাবে করতে পারেন এবং সময়মত সম্পন্ন করতে পারবেন। কাজ জানলে আপনি সফল হতে পারবেন. আর কাজ না জেনে খুব বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আপনি যে কাজের জন্যই আবেদন করুন না কেন, পরিপূর্ণভাব সেই কাজে আগে দক্ষ হয়ে তারপর আবেদন করুন। নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজে নিজেকে তৈরি করে নিন।
ইংরোজীতে ভালো হওয়া চাই:বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে হলে ইংরেজী ভাষা ব্যতিত উপায় নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে ইংরেজীতে পারদর্শী হয়ে নিন যাতে আপনি প্রজেক্টের চাহিদা বুঝতে পারেন এবং আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সাবলীলভাবে যোগাযোগ করতে পারেন। আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো একটু পর্যবেক্ষণ করে দেখুন কোন কাজে কম বিড পড়ে। তুলনামূলকভাবে যে কাজগুলো একটু কঠিন সেই সকল কাজে বিড কিছুটা কম পড়ে বিধায় সেই ধরনের কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
সৎ থাকুন:কখনও কোন ভুল তথ্য প্রদান করবেন না। এই বিষয়টি যেমন কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য জরুরি, তেমনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও জরুরি। চেষ্টা করবেন ডেডলাইন শেষ হবার পূর্বেই কাজ সম্পন্ন করতে এবং ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিতে। আপনি যদি একটি সম্পূর্ণ কাজকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিন, তাহলে কাজটি করতে আপনার জন্য সুবিধা হবে। কাজ শুরু করা, সম্পন্ন করা এবং ক্লায়েন্টের কাছে কাজ পাঠানোর পূর্বে ভাল করে বায়ারের চাহিদা আরেকবার দেখে নিয়ে আপনার কাজ ভাল করে পরীক্ষা করে নিন।