(http://www.kalerkantho.com/assets/news_images/2018/05/19/231319kalerkantho-5-2018-05-19-.jpg)
সাজেশন আর সিলেবাসবন্দি হয়ে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা। তারা এখন নিজেদের পাঠ্য বইটাও ভালো করে পড়ে না। ভালো ফলের জন্য যতটুকু পড়লে চলবে, ততটুকুই পড়ছে তারা। কিন্তু এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারা তাদের পাঠ্য বই ও সিলেবাসের বাইরে বেরিয়ে আসছে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নানামুখী জ্ঞান অর্জনের জন্য তারা বিভিন্ন বই এবং ইন্টারনেট ঘাঁটছে। প্রচুর তথ্য নিচ্ছে। এতে করে তাদের মেধার বিকাশ ঘটার পাশাপাশি তারা তথ্যসমৃদ্ধ হচ্ছে'—এমনটাই বলছিলেন বসুন্ধরা খাতা-কালের কণ্ঠ জাতীয় স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৮তে অংশ নেওয়া এক প্রতিযোগীর অভিভাবক। যুক্তিতে আলোকিত হও স্লোগানে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। এখন পর্যন্ত পাওয়া বিভিন্ন জেলার ফলাফলে দেখা গেছে, ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। বৈশাখের আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়েই বিতর্কে অংশ নিচ্ছে প্রতিযোগীরা। নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের চমৎকার যুক্তি-তর্কে বেশ জমে উঠেছে এই প্রতিযোগিতা।
গত ৩০ এপ্রিল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় রংপুর, নাটোর, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলায়। আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তার্কিকদের নিয়ে আয়োজিত রংপুরের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে রংপুর জিলা স্কুল। কুড়িগ্রামের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে আটটি স্কুলের অংশগ্রহণে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নীলফামারীতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল জেলার সেরা চারটি স্কুল। এগুলোর মধ্যে বিজয়ী হয়েছে পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নাটোরে প্রতিযোগিতার ভেন্যু ছিল নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। সকালের প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিযোগীরা নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়। তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে তেবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
৩ মে প্রতিযোগিতা হয় পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও বান্দরবান জেলায়। কুষ্টিয়ায় বিজয়ী হয়েছে পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। রানার্স-আপ হয় কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ডক্টর আবেদা হাফিজ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ দলকে হারিয়ে পঞ্চগড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সিরাজগঞ্জের বিজয়ী দল বি এল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বান্দরবানে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এ ছাড়া ৪ মে মানিকগঞ্জ, যশোর ও বাগেরহাটে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মানিকগঞ্জের আফরোজা রমজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়। যশোরে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল আলীম। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে বিজয়ী হয় যশোর জিলা স্কুল। বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় জেলার সেরা আটটি স্কুল। বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিটি জেলায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা শাখা শুভসংঘ।
http://www.kalerkantho.com/print-edition/shuvosongho/2018/05/19/637768