ছাত্র অবস্থায় কোন কোন সেক্টরে কাজ করে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে?
ফ্রিল্যান্সিং: যেকোন একটি স্কিল (https://skill.jobs/)যেমন যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ইমেইল মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অফিস, (এসইও)SEO , লিংক বিল্ডিং, ফেইজবুক প্রমোটিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোটিং, সোশ্যাল মিডিয়া কমেন্টিং ইত্যাদি খুব ভালোভাবে শিখে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো উপার্জন করা যায়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমন upwork, Fiverr, Flexjobs, Freelancer.com ইত্যাদিতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক কাজ রয়েছে।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং: ওয়েবসাইট ফ্লিপিং একটু সময় সাপেক্ষ কাজ। আপনি একটি ওয়েবসাইট খুলে সেটা কিছু দিন মেনটেইন করে ভাল ভিজিটর আনতে পারলে, অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয় করতে পারলেই আপনি আপনার ওয়াবসাইটটি কে ১২ থেকে ৩৬ গুণ বা তারও চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারবেন। আর এটাই হল ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এর কাজ।
ব্লগিং: ছাত্র জীবনে টাকা ইনকামের আরেকটা সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হল ব্লগিং। আপনার যদি লেখালেখির ভাল অভ্যাস থাকে তাহলে এটাই হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং স্থায়ী মাধ্যম। আপনি চাইলে যেকোন একটি বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগে লিখতে পারেন। ব্লগ লেখার জন কয়েকটি জনপ্রিয় টপিক হল স্বাস্থ, নিউজ, বিনোদন, ট্রাভেল, শিক্ষা, পরামর্শ, ড্রয়িং ইত্যাদি ছাড়াও আরও অনেক টপিক রয়েছে। হতে পারে সেটা বিভিন্ন টিউটরিয়াল বা নিউজ। এর মাধ্যমে আপনি চাইলে স্থায়ী ভাবে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ট্রান্সলেশন: বিদেশি ভাষায় দক্ষতা থাকলে নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টাক্ট, সংবাদ ইত্যাদি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ আয় করা যায়, যা ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
প্রডাক্ট রিভিউ: অনলাইনে পণ্য কেনার আগে পণ্যের চাহিদা থাকায় এখন অনলাইন পণ্য রিভিউ লিখে মোটা অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট: যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের দক্ষতা থাকলে ফুড ফেস্টিভ্যাল, কর্পোরেট ইভেন্ট, কালচারাল প্রোগ্রাম ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।
রাইডার জব: নিজস্ব বাইক থাকলে পাঠাও, উবার ইত্যাদিতে রাইডার হিসেবে যুক্ত হয়ে বা চুক্তিতেও বেশ ভাল আয় করা যায়। এছাড়াও বাইকে কুরিয়ার এর জিনিসপত্র গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমেও (বাইক মেসেঞ্জারিং) অর্থ আয় করা যায়।
ড্রপশিপিং: আপনি যে কোন অনলাইন প্রোডাক্ট বিক্রির ওয়েবসাইট থেকে বা কোন একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে ডিল করে তাদের প্রোডাক্ট বায়ারদের কাছে সহজে পৌছে দিয়ে ব্যপক পরিমাণে কমিশন পেতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: ই-কমার্স এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ প্রায় একই রকম। তবে পার্থক্য হল একটাই, ই-কমার্স এর মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয়। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এর মাধ্যমে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি করতে হয়। এর বিনিময়ে আপনি সর্বোচ্চ ১০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন। আপনার মাধ্যমে যদি কোন প্রোডাক্ট বিক্রি হয় তাহলে আপনি ওই প্রোডাক্টের উপর পূর্ব নির্ধারিত একটি কমিশন পাবেন। এর মাধ্যমে আপনি প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন।
টিউশন: টিউশন পেশাটি ছাত্রাবস্থায় আয় করার সবচেয়ে উপযোগী একটি পেশা। ছাত্র অবস্থায় অন্য ছাত্রদের পড়ানোর পাশাপাশি একদিকে যেমন আয় হয় তেমনি অন্যদিকে নিজের পড়ে আসা পড়াগুলো ও চর্চা হয়। এতে করে যখন কোনো চাকরির পরীক্ষায় উপনীত হয় তখন পড়াগুলো সহজেই মনে থাকে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি: যারা খুব সুন্দর ছবি তুলতে পারে তারা তাদের সেইসব ছবি অনলাইনে বিক্রি করে ভালো যায় করতে পারেন। অনেক অনলাইন সাইট যেমন Shutterstock.com, Adobe stock, Can stock photo, Alamy.com, IstockPhoto.com ইত্যাদি সুন্দর ছবির বিনিময়ে টাকা দেয়। এই সব সাইটে আপনার ছবিটা তারা নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করবে।