সুযোগ আসবেই, কাজে লাগান
সুযোগ অনেক সময় নিজেই কাছে আসে, তাকে খুঁজতে হয় না। যাঁরা সময়মতো সুযোগটাকে চিনতে এবং কাজে লাগাতে পারেন, তাঁরাই সফল হন। তাই সুযোগগুলো সময়মতো কাজে লাগানোর জন্য আপনাকে তৈরি থাকতে হবে। নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা আর অঙ্গীকার থাকলে সুযোগ আপনার কাছে ঠিকই আসবে। পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে থাকুন, তাহলে চাকরির খোঁজ এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগে অবশ্যই সফল হবেন।
(https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/400x300x1/uploads/media/2014/12/19/dcb1452c14fe650c6c34cfdb71663f22-7.jpg)
নিজের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে চাইলে তিনটি ধাপ অনুসরণ করতে পারেন:
উপযুক্ত কাজটি খুঁজে বের করুনআপনার আগ্রহের জায়গাটা নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে। হতে পারে সেটা খুবই প্রচলিত কোনো কাজ বা পেশা। আবার তুলনামূলক অপ্রচলিত বা নতুন একটা ক্ষেত্রও হতে পারে। নিজের জন্য উপযুক্ত মনে হলে সেই কাজের ভবিষ্যৎ এবং সব ধরনের সম্ভাবনা যাচাই করে দেখুন। ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা ও চাকরির বাজারে নতুনদের জন্য এই কৌশল প্রযোজ্য। আপনার নিজস্ব নতুন কোনো ধারণা থাকতে পারে, যা কাজে লাগিয়ে কোনো পেশাকে আরও ভালো, দ্রুততর ও বেশি সাশ্রয়ী এবং উন্নত রূপ দিতে পারেন। নতুন কোনো পেশা বা সেবামূলক কাজের ধারণাও আপনি উদ্ভাবন করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞ হওয়ার পথ বেছে নিনযে কাজটা আপনি ভালো পারেন ও ভালোবাসেন, সেটা করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে শুরু করলেই আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকবে। একবার সেই লক্ষ্যটা চিহ্নিত করতে পারলেই দেরি না করে কাজ শুরু করে দিন। সমবয়সী অন্যদের চেয়ে কাজটা সম্পর্কে বেশি ও বিস্তারিত জেনে নিন। এ বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখুন। প্রয়োজনে নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং ব্লগ বা অনলাইনে আলোচনায় অংশ নিন। আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে লিখুন এবং ছাপানোর জন্য বিভিন্ন সাময়িকী, পত্রিকা ও নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন। লেখাগুলো নিয়ে নিজের খরচে বই আকারে প্রকাশ করতে পারেন। সব মিলিয়ে কাজটা কঠিন। এ জন্য আপনার দীর্ঘ পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার প্রমাণ দিতে হবে।
পাওয়ার জন্য দিতেও হয়
প্রথম দিকে আপনাকে বিনা পয়সায়ই কাজ করতে হতে পারে। টাকা-পয়সার আশা না করেই নিজের আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে লিখুন এবং বিভিন্ন জায়গায় ছাপাতে দিন। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশ নিন। মনে রাখবেন, এটা পণ্ডশ্রম নয় বরং অর্থবহ হবে আপনার জন্য। এক সময় আপনি নিজের বিশেষত্ব টের পাবেন। তখন নিজের গন্তব্যও খুঁজে পাবেন। কী আপনার লক্ষ্য? শুধুই একটা চাকরি? নাকি পছন্দের কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বড় কিছু করে দেখানো? তবে অভাবিত কোনো পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত থাকুন। যখন ভালো কোনো কিছু করার অঙ্গীকার করবেন, আপনার সামনে সুযোগ আসবেই।
নিজের জন্য সুযোগ তৈরি করতে চাই ১০টি গুণ
১. সঠিকভাবে মনস্থির করা
২. ঝুঁকি নেওয়ার সাহস
৩. নিজের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা
৪. স্বতন্ত্র ভাবনা ও কল্পনাশক্তি
৫. জ্ঞান ও দক্ষতা
৬. বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা
৭. উদ্যোগ ও তৎপরতা
৮. উৎসাহ-উদ্দীপনা
৯. প্রাণোচ্ছলতা ও স্থিরতা
১০. বিনয় ও নমনীয়তা
সূত্র: মনস্টার ডট কম