Poll
Question:
সিএ কি?
Option 1: কেন সিএ?
votes: 0
Option 2: কথায়,কখন সিএ?
votes: 0
এসএসসি-এইচএসসির পর ব্রিটিশ এসিসিএ ডিগ্রি নিয়ে গর্বিত ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়টি এখন বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। এসিসিএ'র মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ডিগ্রি প্রচলিত অনেক ডিগ্রির তুলনায় অনেক এগিয়ে রাখবে আপনাকে। আপনি যখন দেশ-বিদেশের মাল্টিন্যাশনাল কোনো কোম্পানির ফিন্যান্স ডিরেক্টর, তখন হয়তো সহপাঠীদের অনেককেই দেখছেন পড়ার টেবিলে রাত পার করছে। উপরের ঘটনাটি অনেকের কাছে স্রেফ কল্পনা মনে হতে পারে। কিন্তু এসিসিএ, বিএসসি ইন অ্যাপ্লাইড অ্যাকাউন্টিং আন্ডার অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটি ও এফআইএ মানের কোনো ডিগ্রি অর্জনের মধ্য দিয়ে এ কল্পনাকে বাস্তব করা সম্ভব। এসিসিএ একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কার্যক্রম, যা সারা বিশ্বে প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্ট তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। সারাবিশ্বে সমাদৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে আসছে এই এসিসিএ (অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টেন্ট)। সহজভাবে বললে, এসিসিএ হচ্ছে আমাদের দেশের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (সিএ) ডিগ্রি'র মতো, যাকে ইউকের সিএ বলা হয়। প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিং বা এসিসিএ পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এর অকল্পনীয় গ্রহণযোগ্যতা। পড়ার ব্যয়ও খুব বেশি কিছু নয়। যেখানে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোয় শুধু বিবিএ করতে প্রায় ৮ লাখ টাকা লাগে এবং এমবিএ করতে প্রায় ৫ লাখ টাকা, সেখানে সিএটি, এসিসিএ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ৪ বছরে মাত্র ৪ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়। সারা বিশ্বের Toyta, Unilever, P & G (Proctor & Gamble), BAT-এর মত ৮৪২৪টি জব প্রোভাইডারের কাছে সেসব সিভি পৌঁছে যায়। বিশ্বব্যাপী শুধু এই কোর্স করার পরই এ ধরনের সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সুতরাং বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত সবার। যেহেতু এটি একটি প্রফেশনাল কোর্স, তাই একজন শিক্ষার্থী যেকোনো গ্রুপ থেকে এসএসসি, এইচএসি এবং 'ও' লেভেল সম্পন্ন করার পর সিএটি কোর্স শেষ করে এসিসিএ'র পথে যাত্রা শুরু করতে পারেন। আর যারা গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে, তারা সরাসরি এসিসিএ শুরু করতে পারেন। এসিসিএর অধীনে প্রধানত দুটি কোর্স পরিচালিত হয়ে আসছে, যেমন—সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান বা সিএটি এবং চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টেন্ট বা এসিসিএ। সিএটি অথবা এসিসিএ কোর্সে সিএটি শেষ করে একজন শিক্ষার্থী সরাসরি এসিসিএ পার্ট-২ শুরু করতে পারেন। পরবর্তী দেড় বছরে এসিসিএ পার্ট-২ করলে অক্সফোর্ড ব্রুকস অব ইউনিভার্সিটি, ইউকে থেকে অর্নাস ইন অ্যাপ্লাইড অ্যাকাউন্টিং ডিগ্রিটি অর্জন করা যায়। আমাদের দেশে এসিসিএ ও সিএটি'র সব পরীক্ষা ব্রিটিশ কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে যে ক'টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কোর্স করাচ্ছে তারমধ্যে সিএফটিএম অন্যতম। তাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে এই ঠিকানায় :ট্রপিক্যাল রাফা টাওয়ার, বাড়ি-২, রোড-১২, উত্তরা, ঢাকা। ফোন :৮৯১৫৯৯৩, ০১৯১২০৭৩২৫০। কলেজ অব ফ্যাশন টেকনোলোজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একই সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের অধিভুক্ত ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদানকারী একটি বিশেষায়িত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যা ঢাকার উত্তরা মডেল টাউনে অবস্থিত এবং যেখানে বিএসসি অনার্স ইন অ্যাপারেল ম্যানু. টেকনোলজি, নিটওয়্যার ম্যানু. টেকনোলোজি এবং ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি পড়ানো হয়।
সূত্র-দৈনিক ইত্তেফাক,শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪