কিভাবে উৎপাদনশীল কাজ করে? উৎপাদনশীল 9 অভ্যাসের নোট নিন
(http://finance.priyo.com/files/styles/large/public/field/image/productivity.jpg?itok=DSVheD5n)
এটা কোন ব্যাপার নয় যে আপনি কি কাজ করেন এবং কোথায় করেন। সবাই চেষ্টা করেন নিজের কর্ম ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রোডাক্টিভ হতে। কিন্তু আজকের দিনে অতিরিক্তি ক্যাফেইন বা কাজের লিস্টিং আপনাকে প্রোডাক্টিভিটির চুড়ায় পৌঁছে দিতে পারবে না। আমরা সবাই প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে কথা বলছি কারন বর্তমান ডিজিটাল যুগে সঠিক কাজগুলো সময় মতো করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা সত্য যে, একটি সত্যিকারের প্রোডাক্টিভ দিন আনন্দ এবং চঞ্চলতার মধ্যদিয়েই কেটে যায়।
সত্যিকারের একজন প্রোডাক্টিভ লোক আসলে অনেক কাজ করে না। এটা প্রোডাক্টিভিটির বিপরীত। আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই প্রোডাক্টিভ হতে চান, তবে আপনাকে কম কাজ করলেও হবে! শুধুমাত্র নিচের অভ্যাসগুলো আপনাকে আপনার কর্মক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে।
আপনার টু-ডু লিস্ট অর্ধেক করে ফেলুন
কাজ সম্পন্ন করার মানে এই নয় যে যত বেশি পারা যায় নির্ধারিত ৮ ঘণ্টায় করে ফেলা। ধরুন আপনার টু-ডু লিস্টে ৩০ টি কাজ করার আছে। লিস্টটি ভালো করে দেখুন। আসলেই গুরুত্বপূর্ণ এমন কাজগুলো চিহ্নিত করুন।
বিরতি নিন
কয়েক ঘণ্টা টানা কাজ করার ফলে অবসাদ আসতে পারে। যেহেতু আপনার ব্রেইন সব গ্লুকোজ শেষ করে ফেলেছে, তাই এসময় আপনি লাঞ্চ করতে পারেন, হাল্কা নাস্তা বা সামান্য হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এরপর নবউদ্যমে আবার কাজে লেগে পড়ুন।
৮০/২০ নিয়ম মেনে চলুন
প্রত্যেকদিন আপনি যা করেন শুধুমাত্র তার ২০% কাজ নিয়ে আসে দিনের ৮০% ফলাফল। যেসব কাজ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় সেগুলো বাদ দিয়ে দিন। এসব কাজ আসলে আপনার সার্বিক প্রোডাক্টিভিটির উপর তেমন প্রভাব ফেলবে না। উদাহরনস্বরূপ, আপনার পরবর্তী প্রকল্পের কাজ এমনভাবে সাজান এবং সুচারুভাবে অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো বাদ দিয়ে দেন যাতে ২০% কাজ প্রকল্পটির ৮০% ফলাফল নিয়ে আসে।
সকালের সময়টাকে কাজে লাগান
সকালে অফিসে ঢুকে ইমেইল চেক, ফেসবুক বা ক্যালেন্ডার দেখা এসব আপনার কর্মক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। এসবের মাধ্যমে কিন্তু অন্যরা আপনাকে নির্দেশনা দেয় কী কাজ করতে হবে। তাই এসব দেখা বাদ দিয়ে আপনার কাজ শুরু করুন সকালে। নিজের অগ্রগণ্যতার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। এতে একটি প্রোডাক্টিভ দিন কাটাতে আপনি পাবেন প্রয়োজনীয় শক্তি।
দুপুরের খাবারের পূর্বে চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো সেরে ফেলুন
যখন আপনার ব্রেইন ফ্রেশ থাকে তখনই কঠিন কাজগুলো করার মোক্ষম সময়। আপনার মিটিঙগুলো সাধারণত বিকেলের দিকে করুন।
উন্নত করুন আপনার ইমেইল শিষ্টাচার
ইমেইল আসলে আপনার কর্মক্ষমতাকে অনেক কমিয়ে ফেলে। ইমেইলের ফাঁদে নিজেকে আটকাবেন না। যদি এমন হয় যে, একটি মেইলে অনেককে সিসিতে রাখা হয়েছে। সবচেয়ে ভালো হয়, তাদেরকে বিসিসিতে রেখে উত্তর দিন। যদি আপনার ইমেইল চেইন ২ টির বেশি উত্তর পায় তবে ফোন করুন।
একটি সিস্টেম গড়ে তুলুন
ইমেইল বা যেকোন যোগাযোগের জন্য কিছু টাইম স্লট নির্দিষ্ট করে রাখুন। এতে সময় বাঁচবে। জরুরী কাজগুলোও সেরে ফেলতে পারবেন নির্দ্বিধায়।
প্রোডাক্টিভিটি ও অলসতাকে এক করে ফেলবেন না
অনেকেই মনে করেন সময় বাঁচানো অনেক পদ্ধতি যেমন ইমেইল কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এটি আসলে ভুল ধারনা। এটা আসলে অলসতার লক্ষন। তাই দক্ষতা এবং কার্যকরভাবে কর্ম সম্পাদনের চেষ্টা করুন।
একই সাথে অনেক কাজ করা বন্ধ করুন
একসাথে ১০ টি কাজ করার চেষ্টা করবেন না। আপনি যদি দিনে ১০ বার কাজ বদলান তবে আপনার আইকিউ লেভেল ১০ পয়েন্ট কমে যায়। তাই দক্ষতা এবং কার্যকরভাবে একটির পর একটি কাজ শেষ করুন।Source: http://finance.priyo.com/node/3156