Skill Jobs Forum

News Portal Career Article => Campus => Topic started by: Farhana Haque on October 13, 2019, 12:13:06 PM

Title: আশার আলো ‘পাখি’ বিদ্যালয়
Post by: Farhana Haque on October 13, 2019, 12:13:06 PM
সম্প্রতি পুরান ঢাকার হেমেন্দ্র দাস লেনে (পাখি) স্কুলে ভর্তি হওয়া অভিভাবকেরা, বিশেষ শিক্ষা ও সেবাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে যা অভিভাবক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মনে হাসি এনে দিয়েছে সমাজের অবহেলিত সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসছে পাখি বিদ্যালয়টি। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পুরান ঢাকায় প্রথম গড়ে উঠেছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পুরান ঢাকার হেমেন্দ্র দাস রোডে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) পাখি বিদ্যালয়টি অল্প খরচে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

(https://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/assets/images/news_images/2018/01/31/1517318088.jpg)

বর্তমানে যে সেবাগুলো পরিচালিত হচ্ছে ১) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশুদের জন্যে থেরাপি ভিত্তিক বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম। ২) অকুপেশনাল থেরাপি কনসালটেনসি। ৩) সেন্সরি ইন্টিগ্রেশন থেরাপি। ৪) শিশুর দৈনিক কাজ ও খেলাধুলায় প্রশিক্ষণ। ৫) প্যারেন্ট কাউন্সেলিং। ৬) বিলম্বিত কথা বলা শিশুর জন্যে থেরাপি ও প্যারেন্ট কাউন্সেলিং। ৬) আউটডোর ক্লিনিক্যাল ও এডুকেশনাল সাইকোলজিক্যাল কন্সালটেনসি। ৭) আউটডোর সাইকোলজিক্যাল, অকুপেশনাল, ফিজিওলজি ও স্পিচ থেরাপি সেশনসহ আরো অন্যান্য সেবা বিশেষ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি ঝুমানা মল্লিক ঝুমি বলেন, আমি ও আমার দুই বন্ধু মিলে এই সেবাদান প্রতিষ্ঠান পত্তন করেছিলাম আর এই কর্মের পিছনে অনুপ্রেরেণা হিসেবে কাজ করেছে আমার মেয়ে লাবিবা। লাবিবা বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার অধিকার সুরক্ষার জন্য আপাতত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, এই শিশুদের মূল ধারার শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে ও স্বাভাবিক শিশুদের সাথে খাপ খাওয়াতে বিশেষ পরিচর্চা ও পরামর্শের প্রয়োজন হয় যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। স্কুলটির চেয়ারপার্সন ঝুমনা মল্লিক ঝুমি বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে আশার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য 'পাখি স্কুল'। শিশুদের সাধারণত দশ ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে, আমরা চাই ভবিষ্যতে আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সেবা প্রদান করতে এবং অনলাইনের মাধ্যমেও সেবা দিতে চাই।

লেখকঃ আসলাম হোসেন,
৩১ জানুয়ারী, ২০১৮ ইং