ছাত্রছাত্রীদের কাছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি প্রাণের ক্যাম্পাস। তাদের পদচারনায় ক্যাম্পাস থাকে মুখরিত। ধরতে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিই এ ক্যাম্পাসে প্রানের অস্তিত্বকে জানান দেয়। অসম্ভব সুন্দর সবুজ ক্যাম্পাসটি ধীরে ধীরে পরিনত হচ্ছে দেখার মত একটি স্থানে। নিশ্চিতভাবে বলাই যায়, ক্যাম্পাসে পা রাখলে মন জুড়িয়ে যাবে আপনার।
https://www.facebook.com/DIUPC.Official/videos/2317957435145637/
Daffodil International University Permanent Campus
Video Credit : Mokabbir Alam Sani
Edit Credit : Robinঢুকতেই যে জিনিস আগে মন কাড়বে, তা হলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুলের গাছগুলো। সারি সারি বাহারি রঙ এর ফুলগুলো যেন হাত ইশারায় আপনাকে ডাকবে। আপনি মুগ্ধ হয়েই বলে উঠবেন" ইশ কি সুন্দর! শিক্ষার্থীদের প্রাণের এই ক্যাম্পাসটি এশিয়ার মধ্যে সেরা সবুজ বিশ্ববিধ্যালয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। শীত প্রায় ছুঁই ছুঁই। ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের উপর শিশির জমে। আপনি চাইলে পা ভিজিয়ে নিতে পারেন। সংক্ষিপ্ত একটা জীবন। ছোট ছোট ইচ্ছা গুলোকে অপূর্ণ রাখতে নেই। ক্যাম্পসের ছোট পদ্মপুকুরে সকাল সকাল পদ্ম আর শাপলা ফুলেরা চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে।
পুরো ক্যাম্পস ঘুরে দেখে আপনি যখন ক্লান্ত হয়ে যাবেন, আপনাকে এক দন্ড শান্তি দেবে 'বনমায়া' নামক স্থানটি। বলা যায় না্... সেখানে গিয়ে আপনার আর ফিরে আসতে ইচ্ছা নাও হতে পারে। তারপর খানিক বসলেন, কাঁঠালতলায়। এখন যেহেতু সিজন না তাই ভয়ের কারন নেই! কাঁঠাল আপনার মাথায় পড়বে না!! :) হেঁটে যেতে যেতে আপনি দেখবেন এক কোনায় কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ার গাছ। গাছের নিচে ছড়ানো লাল ফুলের পাপড়িগুলো, লাল গালিচা ভেবে ভূল ও করতে পারেন।
সবচেয়ে জরুরি যে বিষয়, সেটি হলো ক্যাম্পসের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নির্ধারিত লোকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন। তারা নিজেরাও প্রতিনিয়ত ভুমিকা রাখে সেই সুন্দরকে সতেজ রাখার জন্য। এ ক্যাম্পাসের প্রতিটি শিক্ষার্থী "আর্ট অব লিভিং" ক্লাস করে। তাই তারা জানে মানুষকে কি ক করে ভালোবাসতে হয়, কি করে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হয়। তারা তাদের অভিভাবকদেরকে শ্রদ্ধা করে। কারন তারা সারা বছরের প্রতিটি দিনকেই পেরেন্টস ডে মনে করে। ক্যাম্পাসে কোন র্যাগিং এর অস্তিত্ব আপনি খুঁজে পাবেন না। কারন সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করতে হলেও আপনার মন সুন্দর হতে হয়। তাই যে ছেলেটি এই পরিবেশে থেকে নিজেকে আগামীর জন্য গড়ে তুলবে সে আর যাই হউক মানুষ হত্যার হাতিয়ার হবে না। নিশ্চয়ই মানুষ এবং দেশ গড়ার কারিগরই হবে। কারো ভাল করতে না পারলেও কখনো কণ ক্ষতি করবে না। ক্যাম্পাসের সবুজ তাদের মনের সবুজকে বিলীন হতে দেবেই না!
নিমন্ত্রন রইল "ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের" স্থায়ী এ সবুজ প্রাণের ক্যাম্পাসটি একবার ঘুড়ে যাবার। মনের যত দৈন্যতা আছে প্লিজ বাইরে রেখে ক্যাম্পস ফটকের ভেতরে পা রাখুন। বিশ্বাস! ক্যাম্পাসের সবুজ আর সৌন্দর্য আপনাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবে না। আপনি একবার হলেও মনে মনে উচ্চারণ করবেন...
"দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে শুধু দু'পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর একটী শিশির বিন্দু"
লেখাঃ ফারহানা হক
১৩/১০/২০১৯[/size]