News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

Confidence is important for everything!!

Started by Suraya, December 12, 2013, 12:19:30 PM

Previous topic - Next topic

Suraya

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণ উদ্যোক্তা, লেখক ও বক্তা সাবিরুল ইসলাম:
 

?ইন্সপায়ার ১ মিলিয়ন? ক্যাম্পেইন শেষে আমি বাংলাদেশ ছেড়েছি প্রায় তিন সপ্তাহ হলো। এ দেশের সব বয়সের মানুষই এখন আমার ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানেন। কিন্তু একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে আমি খুব গভীরভাবে এখনো ভাবছি, সেটি হলো, বাংলাদেশের কিছু সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, যার কারণে বাংলাদেশের তরুণ নারী সমাজ নিজেদের আবেগ ও স্বপ্নগুলোকে পূর্ণতা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
বাংলাদেশে ক্যাম্পেইন চলাকালীন আমি অসংখ্য মেসেজ পেয়েছি, যার একটির কথা এই লেখায় বলতে চাই। সেটি ছিল এক তরুণ নারীর পাঠানো বার্তা: ?আমার জীবনের একটা স্বপ্ন আছে এবং আমি সেটা অর্জন করতে চাই। কিন্তু আমি জানি না আমার পক্ষে সেটা সম্ভব হবে কি না। কারণ, আমার বাবা-মা চান আমি বিয়ে করে সংসারী হই। তাঁদের খুশি করতে গেলে আমাকে তা-ই করতে হবে।? আমি এ ধরনের অসংখ্য বার্তা পেয়েছি। অনেক তরুণীই আমাকে জানিয়েছেন, তাঁরা জীবনে কিছু করতে চান। কিন্তু সেটা তাঁরা করতে পারছেন না। কারণ, মা-বাবাকে খুশি করতে তাঁরা অল্প বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
প্রতিবার, যখনই আমি ইনবক্স খুলে আমার ই-মেইলগুলো পড়ি, আমি খুবই ব্যথিত হই। আমার খুবই খারাপ লাগে, আমি অশ্রুসিক্ত হই যখন জানতে পারি, শুধু কম বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে সম্ভাবনাময়ী কোনো তরুণীর জীবনের স্বপ্নগুলো অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে।

আসলে এটা খুবই সংবেদনশীল একটি ইস্যু। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের উচিত এটার প্রতিবাদ করা। সবার উচিত এই সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানো।

আমরা সবাই আমাদের বাবা-মাকে ভালোবাসি। তাঁরাই আমাদের জীবনের অবলম্বন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তাঁরা আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করবেন কিংবা ঠিক করে দেবেন আমরা কখন কী করব বা কখন বিয়ে করব। আমি এ দেশের মা-বাবার উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের সন্তানদেরই ঠিক করতে দিন, তারা কী হতে চায়। সেটা ছেলেই হোক অথবা মেয়ে। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একটা স্বপ্ন আছে; বাবা-মার উচিত সন্তানের স্বপ্নগুলোকেই সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া।

সন্তানের উচিত বাবা-মাকে ভালোবাসা এবং কখনো তাঁদের কষ্ট না দেওয়া। বাবা-মা সব সময়ই চান তাঁদের সন্তান খুশি থাকুক। কিন্তু যখন কারও নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, বাবা-মায়ের কথায় অল্প বয়সে বিয়ে হয়, সে আসলে সত্যিকার অর্থে খুশি হতে পারে না। সে তার সংসারজীবনে চাপে থাকে এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এতে তার বাবা-মাও অসুখী থাকেন।

আমাদের সমাজ পরিবর্তনকে সহজে গ্রহণ করে না। আমরা সব সময়ই চাই প্রচলিত নিয়ম ও প্রথার মধ্যে থাকতে। এই ধারণা নিয়েই আমাদের বাবা-মায়েরা বড় হয়েছেন এবং তাঁরা চান আমরাও এটা মেনে চলি। কিন্তু এতে করে আমরা একটা সংকীর্ণ মানসিকতার মধ্যে আটকা পড়ে যাই, যেটা আমাদের বলে তাড়াতাড়ি সন্তানদের বিয়ে দিয়ে দিতে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের প্রয়োজন আরও তরুণ প্রাণ, যারা নিজেদের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে পূর্ণতা দেবে। তারা দেখিয়ে দেবে, সমাজের প্রচলিত নিয়মের খারাপ দিকগুলো কীভাবে বর্জন করা যায়।

আমি অন্তরের গভীর থেকে চাই, আপনারা আপনাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সার্থক করে তুলবেন। সমাজের চাপে ভেঙে পড়বেন না। আপনার সমাজ কিংবা পরিবার যা বলে, তার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার আত্মবিশ্বাস ও আত্ম-উপলব্ধি, আপনাকে যা শেখায়।

আপনারা জীবনে সাহসী হোন। আপনাদের জন্য রইল আমার শুভকামনা।