News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

The advantage of building a career as a pharmacist

Started by jihad, December 10, 2013, 09:24:45 AM

Previous topic - Next topic

jihad

ফার্মাসিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ




সময়ের সাথে সাথে নানা ধরনের পেশার সুযোগের পরিবর্তন ঘটে। আজ থেকে দশ বা বিশ বছর আগে যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করলে কাজের সুযোগ বেশি ছিল, এখন আর সেসব পেশায় কাজের সেই সমান সুযোগ নেই। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করলে কাজের সুযোগ একটু বেশি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ফার্মেসি। এই বিষয়ে পড়ালেখা এবং কাজ ও চাকরির সুযোগ সম্পর্কে এই লেখায় জানাচ্ছেন ওরিয়ন ফার্মা'র ফার্মাসিস্ট ট্রেইনার মো. নাজমুল হুদা

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরের সময়টা একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। কেননা, এই সময়ের পরেই একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হয়ে যায় আর তাতেই নির্ধারণ হয়ে যায় তার ক্যারিয়ারের পথ। এ জন্য ক্যারিয়ার গঠনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা থাকা আবশ্যক। যেমন, মনের মতো ক্যারিয়ার গঠনের জন্য কোথায় কোন বিষয়ে ভর্তি হতে হবে, ভর্তির যোগ্যতা, ফলাফল, ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া ইত্যাদি। আর পড়াশোনা শেষে দেশ-বিদেশে চাকরির সুযোগ আছে কি না, সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বেতন বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন, এসব বিষয়কেও বিবেচনায় রাখতেই হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে ফার্মাসিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও সম্মৃদ্ধ।

বাংলাদেশ এখন ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পন্ন এবং ক্রমবর্ধমান এ শিল্পের মূল চালিকা ফার্মাসিস্টদের হাতে। এ দেশে বর্তমানে আড়াইশ'র বেশি ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানি সক্রিয়। এসব কোম্পানি দেশের চাহিদা পূরণ করে আর্ন্তজাতিক বাজারেও ওষুধ রপ্তানি করছে। এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট ম্যানেজম্যান্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা, গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ তো আছেই।

বাংলাদেশের ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সম্মানের সাথে কর্মরত আছে। বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল (পিবিসি)-এ রেজিস্টার্ড ২৩০০ ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে মাত্র ১,০০০ জন আমাদের দেশের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কর্মরত আছে। আর বাকি প্রায় ১৩০০ জন ফার্মাসিস্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঔষধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রি কাজ করে যাচ্ছে। এদের শতকরা ৬৩ ভাগ আবার আমেরিকাতে কাজ করছে। ফার্মাসিস্টরা ড্রাগ এক্সপার্ট। তারা ড্রাগ কনসালটানট হিসেবেও কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে ফার্মেসি শিক্ষা সর্বপ্রথম চালু হয় ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে এ দেশে নতুন ধারার পেশাভিত্তিক শিক্ষার যুগোপযোগী বিষয়ের আর্বিভাব ঘটায়। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ পরবর্তীতে তিনটি বিভাগে বিভক্ত হয় এবং গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদ হিসেবে। তারপর প্রায় ২৩ বছর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়নি। ১৯৮৭ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে স্নাতক কোর্স চালু হয়।

ফার্মাসিস্টদের কাজের মধ্যে রয়েছে ঔষধ গবেষণা, প্রস্তুত, মান নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বিপনণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজ। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ঔষধের ফর্মুলেশন, উত্পাদন, ঔষধের মান উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা, গবেষণা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরা চাকরি করে। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিংয়ে তাদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ঔষধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চ পদে ফার্মাসিস্টরা চাকরি পেতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট পদে, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ফার্মেসি ম্যানাজার ছাড়াও প্রশাসনিক ও তথ্য বিভাগে এদের কাজের সুযোগ রয়েছে। আবার যারা শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িত থাকতে চান, তারা শিক্ষকতা, গবেষণা, স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশাসনিক দপ্তরেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

ফার্মাসিস্ট হতে হলে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি ফার্মেসি কোর্স (বি ফার্ম) ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে। এরপর এক বছর মেয়দি মার্স্টাস (এম ফার্ম) কোর্স করার সুযোগও রয়েছে। এ জন্য ফার্মেসি কোর্স চালু আছে এমন সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। সরকারি বিশ্বদ্যািলয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্বদ্যািলয়, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ পনেরটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান থেকে অবশ্যই ভালো ফলাফল থাকতে হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষার কঠিন যুদ্ধে উত্তীর্ণ হওয়ার পালা।

ফার্মেসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি বি ফার্ম শেষে যেকোনো ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানিতে এক মাসের ইন্টার্নি সম্পন্ন করতে হয়। এরপর বাচাই পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত চাকরি মিলবে।

উল্লেখ্য, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি না নিলে ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশ কর্তৃক প্রফেশনাল সনদপত্র পাওয়া যাবে না।

Source: http://goo.gl/EzAWoH