Job Satisfaction.

[Shahida]

জব স্যাটিসফ্যাকশন

জব স্যাটিসফ্যাকশন শব্দটা আমরা সাধারণত চাকরিক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহার করে থাকি। সোজা ভাষায় বলতে গেলে আপনি যে কাজ করছেন সেই কাজটি করে যে সন্তুষ্টি পাচ্ছেন, তাকেই বলা হয় জব স্যাটিসফ্যাকশন। সংসারের কাজ করেও তৃপ্তি আর আনন্দ অবশ্যই পাওয়া যায়। কিন্তু চাকরি মানেই তো ছকে বাঁধা কাজ। এতে আর আনন্দ কোথায়? অফিস মানে তো শুধু কাজটুকু নয়, আরও কত ঝামেলা। সহকর্মীদের সঙ্গে মনোমালিন্য, বসের সঙ্গে ইগো প্রবলেম, অজানা কারণে ইনক্রিমেন্ট মিস হওয়া- এরকম হাজারও সমস্যা আমাদের কাজের জগৎকে আচ্ছন্ন করে রাখে। ফলে ভালো করে কাজ করার আনন্দটা আমরা উপভোগ করার সুযোগই পাই না। আনন্দসহকারে কাজ করতে ও একঘেয়েমি কাটাতে রইল কিছু পরামর্শ-

সমস্যা খুঁজে বের করুন :
প্রথম প্রশ্নটা আপনার নিজেকেই করতে হবে। আপনি কাজ করে আনন্দ পাচ্ছেন না কেন? অফিসের আবহাওয়া ঠিক স্যুট করছে না। বস সব সময় রেগেই আছেন। কাজের চাপ বড্ড বেশি। সহকর্মীরা ফ্রেন্ডলি নন। কাজটাই আপনার ভালো লাগছে না। যদি এ ধরনের সমস্যা ভালো কাজের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে একে একে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন।

হতে হবে কৌশলী :
অফিসে বিভিন্ন চরিত্রের মানুষের সঙ্গে মানিয়ে-গুছিয়ে কাজ করতে হবে। সবারই নিজস্ব কিছু দুর্বলতা আছে। কেউ নিজের কাজ সম্বন্ধে খুব গর্বিত, কেউবা অন্যকে কৃতিত্ব দিতে চান না, কেউ হয়তো বেশ ফাঁকিবাজ। শুধু দোষ নয়, সহকর্মীদের নিশ্চয় অনেক গুণও রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো কাজের ব্যাপারে খুব অভিজ্ঞ, পরোপকারী বা স্বভাবে দিলদরিয়া।

সবার আগে লক্ষ্য :
যে কাজটা দিনের পর দিন করে চলেছেন, তার লক্ষ্যটা আসলে কি? আপনার কাছে যদি কাজটা শুধুই একটা চাকরি হয়, তাহলে ভালো বেতনই আপনার একমাত্র লক্ষ্য। যদি কাজকে ক্যারিয়ার হিসেবে ধরে নেন, তাহলে কাজ ভালো করে শিখে, কাজের নতুন পদ্ধতি আয়ত্তে এনে নিজেকে প্রফেশনাল হিসেবে ডেভেলপ করাই আপনার লক্ষ্য। মূল লক্ষ্য যাই হোক না কেন, সেটা অর্জনে সিনসিয়ারলি কাজ করে যেতে হবে।

প্রাধান্য দিন জীবনকে :
শিক্ষা, দক্ষতা, প্রফেশনাল স্কিল ভালো করে যাচাই করে নেওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আপনার কাজ। নিজের কাজকে অবশ্যই ভালোবাসবেন কিন্তু কাজকে সম্পূর্ণভাবে ধ্যানজ্ঞান করে তুললে একটা একঘেয়েমি এসেই যায়। জীবনের আনন্দ উপভোগ করার জন্য ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সটা ঠিক রাখা খুবই জরুরি। কাজের জন্যই জীবন নয়, কাজ জীবনেরই একটি অংশ মাত্র- এটা ভুলে গেলে কাজের বেড়াজালে পড়ে জব স্যাটিসফ্যাকশন পুরোপুরি হারিয়ে ফেলতে পারেন।

Source: শামছুল হক রাসেল (বাংলাদেশ প্রতিদিন)