News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

What to do if the salary does not increase.

Started by mim, May 11, 2019, 10:31:48 AM

Previous topic - Next topic

mim

বেতন না বাড়লে কী করবেন


কর্মক্ষেত্রে আপনার অগ্রগতি খরগোশের বদলে কি কচ্ছপের পিঠে সওয়ার? ব্যয় বাড়ছে হু হু করে, কিন্তু বছর শেষে বেতনটা এমন অঙ্কে বাড়ছে, অণুবীক্ষণ যন্ত্রেও চোখে পড়ে না! কাজ করার উৎসাহটাই মরে যাচ্ছে, চাকরিও ছাড়তে পারছেন না। এই সমাধানগুলো হয়তো কাজে আসবে আপনার—

আস্থা অর্জন
আপনি কাজ জানেন। দক্ষতাও সন্তোষজনক। আছে সময়ানুবর্তিতা আর কাজের প্রতি নিষ্ঠা। প্রতিদিনই রুটিনমাফিক কাজ করে যাচ্ছেন। আপাতদৃষ্টিতে এসব কারণে অফিসে নিজেকে আলাদা মনে হলেও আপনি কিন্তু বাকিদের মতোই সাধারণ এক কর্মী। কারণ, সবাই আপনার মতোই কাজ জানেন, দক্ষ আর নিষ্ঠাবানও। তাহলে বেতন বাড়ছে না কেন?
অফিসের বড়কর্তাদের চোখে ফারাকটা ধরা পড়ে আসলে কর্মীর আস্থা অর্জনের ক্ষমতায়। বেতন বাড়াতে এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মাস গেলে যে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন, আপনি এর চেয়েও বেশি পাওয়ার যোগ্য—নিজের ওপর এ বিশ্বাস রেখে গণ্ডির বাইরে দায়িত্ব নিতে শিখুন। এতে অফিস আপনার ওপর আস্থা রাখবে। বার্ষিক বাস্তবায়নের বাইরে অফিস সেই কর্মীর বেতন বাড়ায়, যার ওপর দীর্ঘমেয়াদি আস্থা রাখা যায়।

দরদস্তুর শিখুন
অফিসে ভদ্রতা একধরনের যোগ্যতা। সেই ভদ্রতার বশে বেতন নিয়ে বড়কর্তাদের সঙ্গে আলাপের সময় আপনি সব সিদ্ধান্ত তাঁদের ওপর ছেড়ে দিলেন। এটা আসলে বোকামি। অফিস কখনোই কারও ভদ্রতা দেখে বেতন বাড়ায় না। কিংবা অফিস কোনো সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান নয় যে মৌনতা দেখে আপনার অবস্থা বুঝে নেবে। এসব ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত সোজাসাপ্টা কথা বলাই ভালো। অফিসও কিন্তু ঠিক এটাই চায়—আপনি নিজের চাহিদাটা খুলে বলুন। ব্যাটে-বলে মিললে বেতন বাড়বে, নতুবা নয়।
এ কারণে বড়কর্তাদের সঙ্গে বেতন বাড়ানোর আলোচনায় নিজেকে মেলে ধরুন। তবে সেখানে কখনোই নিজের সাংসারিক কথা তুলবেন না। এটা আসলে সহানুভূতি খোঁজার বদ-অভ্যাস। তা ছাড়া আপনার বড়কর্তাদেরও কিন্তু সংসার আছে, মানে তাঁরাও এসব বোঝেন। আলাদা করে তাই নিজের দুরবস্থা বোঝানোর কিছু নেই। যেটা বোঝানোর থাকে, সেটা হলো আপনি কাজ জানেন এবং সেই কাজের সমানুপাতিক পারিশ্রমিকই চান।

বসই চাবিকাঠি
অফিসে বড়কর্তার লেজুড়বৃত্তি করার একটা অপসংস্কৃতি সব দেশই কমবেশি আছে। সব সময় বসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে বসের প্রতি কর্মীর আনুগত্য আর তেলবাজির মধ্যে সূক্ষ্ম একটি পার্থক্য আছে। বসের প্রতি অনুগত থাকুন, তবে সেটা আত্মসম্মান বজায় রেখেই। দিন শেষে কিন্তু বসই আপনার বেতন বাড়ানোর চাবিকাঠি। তাঁর ভালো সিদ্ধান্ত কিংবা কাজের প্রশংসা করুন। সেটা বাকি কর্মীদের সামনেই করুন। প্রতিযোগিতা করে নয়। কিন্তু বসের কোনো সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে সরাসরি সবার সামনে নয়, একান্তে বলুন। যাঁর যে সম্মান, তাঁকে সেটাই দিন। তা ছাড়া ব্যাপারটা আপনার কৌশলগত স্পষ্টবাদী মানসিকতার পরিচায়কও—যেখান থেকে বস বুঝে নেবেন, এ ছেলেটার ওপর আস্থা রাখা যায়। এতটুকু আস্থা অর্জন আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে এমন এক অবস্থানে, যেখানে অফিসের বড়কর্তা গুরুত্বপূর্ণ কাজে শুধু আপনাকেই খুঁজবেন। তখন কী করতে হবে, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!

অফিস বোঝাও জরুরি
প্রতিটি অফিসেই কাজের আলাদা আলাদা গতি আর ছন্দ আছে। একটু খেয়াল করলেই ব্যাপারটা বোঝা যায়। কোনো অফিস হয়তো যে কাজটায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অন্য অফিস হয়তো সেটায় দিচ্ছে না। আপনাকে বুঝতে হবে, আপনার অফিস কোন কাজটায় বেশি গুরুত্ব দেয়। সেই কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। তবে বাকি সব কাজ ফেলে নয়। মনে রাখবেন, অফিস যে কাজে বেশি গুরুত্ব দেয়, সেই কাজের কর্মীদের মূল্যায়নও বাকিদের চেয়ে বেশি।
ধরে নেওয়া যাক, অফিস যে কাজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, আপনি সেই বিভাগের বাইরের কর্মী। নিজের কাজ করার পর আপনার উচিত হবে সেই কাজগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। কাজের ভুল-ত্রুটি কিংবা প্রশংসাগুলো জমিয়ে রাখুন। একসময় সুযোগ বুঝে বসের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করুন। আপনি যে নিজস্ব কাজের বাইরেও অন্যান্য ব্যাপারে আগ্রহী, সেটা বুঝতে পারবেন আপনার বস। একসময় দেখবেন, নতুন দায়িত্ব জোটার সঙ্গে বেতনও বেড়েছে।

আত্মবিশ্বাস বাড়ান
বাকি কর্মীদের চেয়ে আপনি 'আলাদা' না হলে অফিস হুট করে কেন আপনার বেতন বাড়াবে? নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে হলে কিন্তু আত্মবিশ্বাসী হওয়া সবচেয়ে জরুরি। পড়ালেখা, জানাশোনা, অভিজ্ঞতা আর দক্ষতা দিয়ে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। অফিসের কাজে এ চারটি গুণপনাকে একসঙ্গে কাজে লাগাতে পারলে আপনি বাকিদের তুলনায় 'ইউনিক' (আলাদা)। এটা অফিসে আপনার অতিরিক্ত যোগ্যতার পরিচায়ক। আর কে না জানে, সাধারণ কর্মীদের ক্ষেত্রে অফিস সব সময় যোগ্যতা বুঝেই বেতন দেয়, সেখানে অতিরিক্ত যোগ্যতা থাকলে বেতন তো বাড়বেই।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার পথে নিজের ভুলগুলো সংশোধনও জরুরি। অফিস কিন্তু দেখে, কত দ্রুত আপনি নিজের ভুল শোধরাচ্ছেন। ভুল করাটা দোষের নয়, ভুল থেকে শিক্ষা না নেওয়াটা দোষের। এই দোষ থাকলে আপনি যত কাজই করুন না কেন, বেতনের অঙ্ক বাড়বে না। সব সময় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজবেন না। অন্য সহকর্মীর কেন বেতন বাড়ছে, আমার কেন বাড়ছে না—উত্তর খুঁজতে বেশি করে নিজের দিকে তাকানোই ভালো।

শেষ কথা
অফিসে নিজের সীমানাটা বুঝতে পারা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সীমানা ডিঙিয়ে কিছু করলে বা বললে, সেটা আপনার বেতন বাড়ানোর আলোচনায় নেতিবাচক প্রভাব রাখবেই। ধৈর্য ধরুন। মনে রাখবেন, ধৈর্য ধরে নিজের কাজ করে গেলে তাঁর ফল কখনো তেতো হয় না। সৎ থাকুন। আপনি সেভাবে কাজ না পারলেও শুধু সৎ থাকার কারণে হয়তো আপনার বেতন বাড়তে পারে। কেননা, দুনিয়ার যেকোনো কর্মক্ষেত্রেই সৎ মানুষের বড় অভাব। সব মিলিয়ে আজ থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে অফিসে যান। নিজের কাজ করুন, দক্ষতা বাড়ান আর চোখ-কান খোলা রেখে ব্যক্তিত্বকে শাণ দিন। আলো আসবেই!

Source: The Daily Prothom Alo