News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

When you are an intern...

Started by mim, May 06, 2019, 01:03:19 PM

Previous topic - Next topic

mim

যখন আপনি শিক্ষানবিশ


'ক্লাসে শিক্ষকেরা আমাদের কত-কী শিখিয়েছেন৷ মোটা মোটা বই পড়ে একেকটা পরীক্ষায় পাস করেছি৷ আর এখন আমাকে কিনা সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বসে বসে চেকের ওপর সিল মারতে হয়৷ এই যদি হয় কাজ, তাহলে এত কিছু পড়লাম কেন?' মন খারাপ করা গলায় বলছিলেন সোহেল (ছদ্মনাম)৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি৷ শিক্ষানবিশ অর্থাৎ ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দিয়েছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে৷ শিক্ষানবিশি প্রতিবেদন ঠিকভাবে শেষ হলেই মাথায় পরবেন সমাবর্তনের টুপি৷
ব্যবসায় প্রশাসন, প্রকৌশলবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাংবাদিকতাসহ এখন অনেক বিষয়েই স্নাতক পর্যায়ের শেষভাগে কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশি করতে হয়৷ আসলে এটা কর্মজীবনে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেওয়ার একটা সুযোগ৷ কোনো প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষানবিশের কাজের ধরন কেমন হতে পারে? তাঁর প্রতি অফিসের অন্য কর্মকর্তাদের আচরণই বা কেমন হওয়া উচিত? এসব নিয়ে কথা হলো সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে৷

শিক্ষানবিশদের জন্য

গ্রো এন এক্সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুখ্য পরামর্শক এম জুলফিকার হোসেন বলেন, শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শেখা৷ হতাশ হয়ে আপনি যদি শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, দিন শেষে ক্ষতিটা কিন্তু আপনার৷ অনেক শিক্ষানবিশ কর্মী অভিযোগ করেন, অফিসে তাঁদের দিয়ে ফটোকপি করিয়ে আনার মতো ছোটখাটো কাজ করানো হয়৷ মনে রাখতে হবে, কোনো কাজই ছোট নয়৷ প্রতিটি কাজ গুরুত্ব সহকারে করতে হবে৷
গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার সুফল শোনা হলো সুমাইয়া আফরিনের কাছ থেকে৷ একটি মুঠোফোন কোম্পানিতে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেছিলেন৷ এখন সেখানেই নিয়োগ পেয়েছেন৷ বললেন, 'প্রথম দিকে আমার তেমন কোনো কাজ ছিল না৷ সহকর্মীরা বোধহয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ দিতে ঠিক ভরসা পেতেন না৷ কিন্তু আমি আশপাশের সবার কাজ খুব ভালোভাবে লক্ষ করতাম৷ না বুঝলে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতাম৷ এভাবে দেখা গেল অনেক কিছু শিখে গেছি৷ এখন তো চাকরিও স্থায়ী হয়ে গেছে৷'
মনে রাখতে হবে, শিক্ষানবিশ বলে কাজে হেলাফেলা করার কোনো সুযোগ নেই৷ দ্রুত কর্মদক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি অফিসের আদবকেতাও শিখে নিতে হবে৷ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজের সেরাটুকু দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে৷ শিক্ষানবিশি প্রতিবেদন তৈরির সময়ও তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান, দুটিরই প্রয়োগ থাকা জরুরি৷

শিক্ষানবিশদের প্রতি আচরণ

শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন বলে একটি প্রতিষ্ঠান কাউকে হেলাফেলা করতে পারে না৷ কর্মকর্তাদের সচেতন হতে হবে৷ একজন শিক্ষানবিশকে যেভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে, তেমনি তাঁকে শেখানোর দায়িত্বও অফিসে সিনিয়রদের নিতে হবে৷ এমন মত এম জুলফিকার হোসেনের৷ তিনি মনে করেন, শিক্ষানবিশ কর্মীকে মাঝেমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া উচিত৷ তবে অবশ্যই সমন্বয়ক হিসেবে সঙ্গে কাউকে থাকতে হবে, যেন কাজটি ঠিকভাবে হয়, আবার নতুন লোকটিও কাজের চাপে অসহায় বোধ না করেন৷ অফিসের একজন নতুন কর্মীকে শুরুতেই কাজের চাপে ফেলে ঘাবড়ে দেওয়া ঠিক নয়৷ অফিসে পুরোনোদের উচিত শেখানোর মানসিকতা নিয়ে একজন শিক্ষানবিশ কর্মীকে সহযোিগতা করা৷

Source: The Daily Prothom Alo