News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

15 Quality check before job candidates

Started by jihad, January 16, 2014, 03:53:54 PM

Previous topic - Next topic

jihad

চাকরি দেওয়ার আগে প্রার্থীর যে ১৫টি গুণ যাচাই করা হয়



প্রতিষ্ঠানগুলো কাউকে চাকরি দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের কিছু গুণের সন্ধান করে। কোনো কাজে নিয়োগ করা কর্মী যদি সে কাজটি সম্পর্কে আগ্রহী না হয়, শুধু টাকার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করে, তাহলে তারা তাদের ব্যক্তিগত সমস্যার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকেও সমস্যায় ফেলতে পারে। এ কারণে নিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মী নিয়োগ করার আগে গুরুত্বপূ্র্ণ কিছু বিষয় নিশ্চিত হয়ে নেয়। প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ করার সময় এ বিষয়গুলো চাকরিপ্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত, সরবরাহকৃত বিভিন্ন কাগজপত্র, লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয়। বিজনেস ইনসাইডারে প্রকাশিত এ সবগুলো পয়েন্ট যদি পালন করা সম্ভব নাও হয়, চেষ্টা করবেন যতোটা সম্ভব এর কাছাকাছি যেতে।

১. নেতৃত্বের যোগ্যতা
প্রতিষ্ঠানগুলো এমন মানুষ চায়, যাদের প্রতিষ্ঠানে ভালো সম্ভাবনা আছে। চাকরিপ্রার্থীর নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গুণ থাকলে তাকে স্বভাবতই অন্য প্রার্থীদের তুলনায় প্রতিষ্ঠান বেশি পছন্দ করবে। তারা প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকেই তাদের টিমের নেতৃত্বের যোগ্যতা আশা করে।

২. অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া
কর্মীরা যে কোনো অবস্থার সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে কি না, সেটা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজে ভুল-ত্রুটি থাকবেই। কিন্তু প্রত্যেক কর্মীই তাদের সমস্যা নিয়ে ইতিবাচকভাবে ভাববে এবং ভুলগুলো দ্রুত সংশোধন করে নেওয়ার মতো মানসিকতা থাকবে, এমনটাই আশা করে প্রতিষ্ঠানগুলো।

৩. সরলতা
যেসব কর্মী সহজ-সরল ও অকপট তারা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই উপযোগী। এ কারণে সরল ধরনের মানুষকেই খুঁজে প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা প্রতিষ্ঠানের আমলাতন্ত্র দূর করতেও সাহায্য করে। সব মিলিয়ে এমন মানুষ নতুন ধারণা আমদানি ও যোগাযোগে সফল হয়।

৪. প্রতিযোগিতার মনোভাব
সফল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সবচেয়ে ভালো কর্মীদের অন্যদের থেকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখে। এ কারণে নিয়োগ করার সময়ও তারা প্রতিযোগিতার মনোভাব সম্পন্ন প্রার্থী খুঁজে বের করে।

৫. নিয়ন্ত্রণযোগ্য
নিয়োগ করার সময় কোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকারী ম্যানেজারের অন্যতম নজর থাকে, নতুন নিয়োগকৃত ব্যক্তিকে যেন ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যে ব্যক্তি বাইরের কোনো শক্তির দ্বারা চালিত হবে না এবং ম্যানেজারের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে কাজ করবে, এমন ব্যক্তিকেই নিয়োগ করতে চায় প্রতিষ্ঠান।


৬. বন্ধুবৎসল
নিয়োগের জন্য ম্যানেজাররা বন্ধুবৎসল ও সহজে যোগাযোগে সক্ষম মানুষ খুঁজে বের করে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে এমন মানুষ সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।

৭. উচ্চাকাঙ্ক্ষী
নিয়োগের আগেই প্রতিষ্ঠানগুলো চায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মী খুঁজে বের করতে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মীরা সবসময় পনিজেদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং বাধা অতিক্রম করে যায়। এ ধরনের কর্মীরা কখনোই তাদের অবস্থানে সন্তুষ্ট থাকে না।

৮. বিরুপ পরিবেশে কাজ করার ক্ষমতা
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নানা বিরুপ পরিবেশে কাজ করতে হতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো চায় বিরুপ পরিবেশেও কাজ করার উপযোগী কর্মী। এ কারণে নিয়োগ দেওয়ার সময়ও তাদের লক্ষ্য থাকে এমন কর্মী খুঁজে বের করা।


৯. সৃষ্টিশীল
শুধু যন্ত্রের মতো কাজ করতে সক্ষম কর্মীদেরই চায়না প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা চায় নতুন কিছু সবসময় প্রতিষ্ঠানে আমদানি করতে। এ কারণে সৃজনশীল কাজ করতে সক্ষম কর্মীদের চাহিদা থাকে।

১০. দক্ষ
প্রতিষ্ঠানগুলো কোনা সময়েই আনাড়ি মানুষকে নিয়োগ করতে চায় না। তারা চায় দক্ষতাসম্পন্ন এমন মানুষকে নিয়োগ করতে, যাকে তেমন কিছু শেখাতে হবে না। এতে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও সময়ের সদ্ব্যবহার হবে।


১১. কাজে আগ্রহী
কোনো নির্দিষ্ট কাজ সম্পর্কে আগ্রহী বা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে চায় প্রতিষ্ঠানগুলো। নিয়োগ করার আগে আপনি কাজটি সম্পর্কে আগ্রহী এবং সেটি করা উপভোগ করবেন কি না, তা বিবেচনা করে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আগ্রহ ছাড়া কোনো কাজ করতে গেলে কর্মীরা মস্তিষ্কের খুব সামান্য অংশই সেই কাজ করতে ব্যয় করবে। অনাগ্রহের কাজ কাউকে করতে দিলে তারা তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা তৈরির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকেও সমস্যায় ফেলতে পারে।


১২. বিশ্বাসী
কোনো প্রতিষ্ঠান অবশ্যই নিয়োগ করার জন্য বিশ্বাসী কর্মী চায়। নিয়োগ করার সময়েই যদি চাকরিপ্রার্থীকে কোনো কারণে সন্দেহ হয় যে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করছে না, কিংবা বিশ্বাস ভঙ্গ করার সম্ভাবনা রয়েছে, তখন তারা কোনোভাবেই নিয়োগ করবে না।


১৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা
কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মীদের প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে চায়। প্রয়োজনের মুহূর্তে এ ধরনের কর্মীরা বিভিন্ন বিষয় বিষয় বিশ্লেষণ করে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেসব কর্মী নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বা অন্যের ইচ্ছেতেই সব সিদ্ধান্ত নেয়, এমন কর্মীদের বিপরীত হয় এ ধরনের কর্মীরা।


১৪. টিমওয়ার্কে দক্ষ
টিমওয়ার্ক কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক কাজের মধ্যেও একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, এমন কর্মী খুঁজে বের প্রতিষ্ঠানগুলো।


১৫. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যপ্রিয়
জীবনের কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া যেমন চলে না, তেমন চাকরির ক্ষেত্রেও লক্ষ্যবিহীন মানুষ নিয়োগ করতে চায় না প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যকে যে কর্মী নিজের লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করবে, এমন কর্মীই প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগ করতে চায়।

Source: http://goo.gl/bxObJP