News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

Quotable develop training

Started by jihad, January 16, 2014, 11:31:11 AM

Previous topic - Next topic

jihad

যোগ্য করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ

প্রশিক্ষণ সম্পর্কে নানা ধরনের ধারণা প্রচলিত রয়েছে আমাদের মধ্যে। কেউ কেউ চাকরিতে প্রবেশের পূর্বেই কেবল প্রশিক্ষণ নিতে হয় বলে ধারণা করেন। আর চাকরিতে ঢোকার পর প্রশিক্ষণ নেবেন কি নেবেন না, তা নিয়েও দ্বিধায় থাকেন অনেকে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো সময়েই প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে। প্রশিক্ষণ সম্পর্কে এই লেখায় জানাচ্ছেন সানজিদা সুলতানা



জীবনে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। চাকরিতে প্রবেশের পূর্বে যেমন প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তেমনি চাকরিতে প্রবেশের পরেও প্রশিক্ষণ সমান গুরুত্ব বহন করে থাকে। একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ারে যেকোনো সময়েই প্রশিক্ষণের দরকার হতে পারে। কেননা চাকরি করতে গিয়ে এমন অনেক কাজের মুখোমুখিই পড়তে হতে পারে, যা আপনার জানা নেই। সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিলে সেই কাজটি করা অনেক সহজ হবে আপনার জন্য। আর জীবনে আসলে শেখার কোনো শেষ নেই। তাই প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তারও কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নেই।

প্রশিক্ষণ বলতে এখনও আমাদের অনেকের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার পর চাকরিতে প্রবেশের পূর্বেই শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের পূর্বে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন যেমন রয়েছে চাকরিরত অবস্থায়ও একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ারে উন্নতির জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

প্রশিক্ষণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আপনাকে প্রথমেই নির্দিষ্ট করতে হবে কোন ধরনের প্রশিক্ষণ আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে বিশ্বায়নের এই যুগে আপনি যে পেশার লোকই হন না কেন কম্পিউটারে প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ আপনাকে গ্রহণ করতেই হবে। কেননা বাংলাদেশে এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই কম্পিউটার জ্ঞানসমৃদ্ধ যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়ে থাকে।

চাকরিতে প্রবেশের পূর্বেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনার জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্বন্ধে। যদিও বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী পছন্দের চাকরি অর্জন করা খুবই কঠিন একটি বিষয়। তথাপি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ চাকরিপ্রাপ্তিতে আপনার সম্ভাব্যতা বৃদ্ধি করবে নিঃসন্দেহে।

আধুনিক বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন ইংরেজি জ্ঞান সমৃদ্ধ দক্ষকর্মীর। ইংরেজি সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হলেও আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণীই স্বাচ্ছন্দ্যে ইংরেজিতে কথা বলতে এবং লিখতে ব্যর্থ হয়। ফলে চাকরিতে প্রবেশের পূর্বে একজন ব্যক্তির ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মানসম্পন্ন যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি কোর্সে (স্পোকেন এবং রিটেন) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধি একজন ব্যক্তিকে চাকরি অর্জন করতে এবং চাকরিতে সফলতা বয়ে আনতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

চাকরিপ্রাপ্তির পরে নিজের যোগ্যতাকে বাড়িয়ে তুলতেও প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তবে চাকরিরত অবস্থায় প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনি যে পেশাতেই থাকুন না কেন স্ব স্ব পেশাতে ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা প্রয়োজনীয়। তবে চাকরিরত অবস্থায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, অফিস কর্তৃক প্রদেয় প্রশিক্ষণ এবং নিজ উদ্যোগে গৃহীত প্রশিক্ষণ। অফিসের প্রয়োজনে অনেক সময়ে কর্মরত ব্যক্তিদের অফিসের ব্যবসায়িক কর্মপরিধি সূচারুরূপে এবং সাবলীলভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ফলে পদোন্নতি অর্জনের ক্ষেত্রটাও অনেক বেশি সম্ভাবনাময় হয়ে উঠে। অফিস কর্তৃক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মূলত দক্ষ কর্মকর্তাদের এবং দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত থাকে। তবে প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল সাধারণত সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। ১ দিনের ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে এসব প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল সাধারণত ১ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকালীন অফিস কর্তৃক প্রশিক্ষণার্থীর সমস্ত ব্যয়ভার বহনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বহাল রাখা হয়ে থাকে। তবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে আপনার নাম না থাকলেও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কেননা ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে স্ব-উদ্যোগেও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা সম্ভব। আপনার চারপাশে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা পেশাগত উত্কর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আপনার সময় এবং সামর্থ্যনুযায়ী সে সকল প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে যোগ্যতর ব্যক্তিরূপে গড়ে তুলতে পারেন। তবেই মিলবে সাফল্য।

Source: http://goo.gl/0kloev