মূল্যায়ন পেতে কি করবেন?
কর্মজীবনে ঠিক সময়ে যথাযথ মূল্যায়ন পাওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগ, পদোন্নতি ও পছন্দসই দায়িত্ব পেতে চাইলে নিজ যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। অফিস বা কর্মক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, তাঁরা শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার (বস) নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকেন। তাঁরা কর্তৃপক্ষের মন জুগিয়ে চললেই সব সময় মূল্যায়ন পাবেন, এমনটা ধারণা অযৌক্তিক। ভবিষ্যতে কী কী করতে চান এবং নিজেকে কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে চান—সেসব বিষয় আপনার কাজ ও আচরণের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। সঠিক মূল্যায়ন পাওয়ার জন্য পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় জেনে নিন:
(https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/400x300x1/uploads/media/2015/05/01/9b15c9f01b90005b773b37c3b3f50f80-4.jpg)
১
প্রস্তুতি: সফল না হওয়ার নেপথ্যে প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থতা অথবা ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যাপারটাকে দায়ী করা যেতে পারে। কাজের ব্যস্ততা যতই বেশি হোক, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে কাঠখড় পোড়াতেই হবে। বসকে কোনোভাবে খুশি করে যেকোনো শূন্য পদে দ্রুত ওপরে উঠে যাওয়ার পরিণাম ভালো না-ও হতে পারে। তাই ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে উন্নত করলে অবশ্যই একদিন মূল্যায়ন পাওয়া যাবে।
২
ভালো শ্রোতা: মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষা বা নির্ধারিত সাক্ষাৎকারের দিনে আপনাকে ভালো শ্রোতা হতে হবে। তাহলে আপনার বক্তব্যে স্পষ্টতা আসবে এবং কর্তৃপক্ষও আপনার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবে। যদি তাদের কাছ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পান, রক্ষণশীল হওয়ার পরিবর্তে নিজের উন্নয়ন পরিকল্পনার ব্যাপারে ইতিবাচক ও গঠনমূলক অবস্থান নিন।
৩
গুরুত্ব: যদি আপনাকে কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, সেগুলো ঠিকমতো অর্জনের ওপর আপনার পেশাজীবনের অগ্রগতির অনেকটাই নির্ভর করবে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টায় অগ্রগতি এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা যাচাই করা হবে। তাই লক্ষ্যগুলোকে হেলাফেলা না করে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি এ ধরনের কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া না হয়, অন্য কোনো উপায়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।
৪
সম্মতি: মূল্যায়ন যে রকমই হোক, কাজ করতে চাইলে আপনাকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একধরনের সমঝোতায় রাজি হতে হবে। যদি আগামী দিনের ব্যাপারে কিছুই না বলা হয়, ধরে নিতে হবে তেমন কোনো মূল্যায়ন হয়নি। যদি বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি বা কোনো প্রশিক্ষণে যাওয়ার সুযোগ আশা করেন, দুপক্ষকেই সে ব্যাপারে আলোচনা করে সম্মতিতে পৌঁছাতে হবে।
৫
শিক্ষণ: মূল্যায়ন হয়ে যাওয়ার পর এখানেই শেষ বলে ধরে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ছয় মাস বা এক বছর পর আবার আপনার মূল্যায়ন করা হবে। মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে জেনে নিন কর্মক্ষেত্রে নিজের অগ্রগতি সম্পর্কে। দৈনন্দিন কাজের ভিত্তিতে সবাইকেই গড়পড়তা মূল্যায়ন করা যেতে পারে। কিন্তু আপনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ বা আলাদা কী করছেন, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। নিজস্ব এই শিক্ষণপদ্ধতি অনুসরণ করলে পরবর্তী পর্যায়ে অবশ্যই ভালো মূল্যায়ন পাবেন।
সূত্র: মনস্টার ডট কম।
Source: The Daily Prothom Alo