(https://www.jugantor.com/assets/news_photos/2018/09/26/image-94542-1537972512.jpg)
প্রযুক্তির যুগে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের সবচেয়ে বড় আসক্তি হলো কম্পিউটার-স্মার্টফোন-অনলাইন-ইন্টারনেট। কিন্তু তা থেকে বাঁচারও উপায় আছে৷
কিন্তু কম্পিউটার-স্মার্টফোন-অনলাইন-ইন্টারনেটে আসক্তি মোটেও ভালো নয়। এটি আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সন্তানকে মোবাইলের আসক্তি থেকে বাঁচাতে আপনাকে সচেতন হতে হবে।
যেভাবে বুঝবেন সন্তান মোবাইল ফোনে আসক্ত
ব্যাটারির চার্জ ফুরালেই আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কিছু মানুষের মধ্যে স্মার্টফোনের আসক্তির এমন তীব্রতা লক্ষ্য করেছেন যা রীতিমতো বিস্ময়কর৷ আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আপনার সন্তান মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যেন মোবাইল বন্ধ হয়ে গেলে জীবনই অচল৷ এটা আসক্তি।
ইন্টারনেটনির্ভর
সন্তান ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে নারাজ৷ স্মার্টফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জানলেই ওয়াইফাই জোনে যাওয়ার জন্য তারা হা-হুতাশ শুরু করেন৷ এমন সবারও মোবাইল আসক্তি বাড়তে বাড়তে 'নোমোফোবিয়া'-র সীমা ছুঁয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়৷
ইন্টারনেট থাকতেই হবে?
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সবার আগে কী কী জানতে চান? ''ওখানে ইন্টারনেট আছে?-''এই প্রশ্ন করেন? যদি মনে হয়, যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানে বেড়াতে যাওয়া একদম উচিত নয়, তাহলে 'নোমোফোবিয়া' আপনার সন্তানকে গ্রাস করছে৷
স্ট্যাটাস' না দিতে পারলে হতাশ
ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে প্রতিদিন 'স্ট্যাটাস' না লিখলেও একদমই চলে না৷ মনে হয়, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করা হয়নি৷ এমন হওয়াটাও খারাপ কথা, তখন বুঝতে হবে 'নোমোফোবিয়া' আপনার সন্তানকে পেয়েছে৷
আরেক সর্বনাশ
ফোন বা এসএমএস আসছেন না আপনারা সন্তানের কাছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও খুব অসহায়বোধ করে। তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়।
রিচার্জ করাতে পারেননি
প্রিপেইড সিম ব্যবহার করেন এমন অনেকে ফোনের 'ক্রেডিট' শেষ হলে, অর্থাৎ ফোন বা এসএমএস করার উপায় না থাকলেই মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কিশোর-কিশোরীরা৷ তখন মনে রাখতে হবে, মোবাইল ফোন ছাড়া একসময় পৃথিবীর সবারই জীবন চলতে, এ যুগেও কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকটা দিন নিশ্চয়ই চলবে৷
ঘুমের সময়
স্মার্টফোনে মানুষ এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যে কারো কারো রাতে মোবাইল ফোনে একটা হাত না রাখলে ঠিকমতো ঘুমই হয় না৷ এটা নোমোফোবিয়ার চূড়ান্ত লক্ষণ।
source : jugantor