News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

সাক্ষাৎকারে হলে ভুল, গুনতে হবে মাশুল

Started by Badshah Mamun, September 22, 2020, 09:24:22 AM

Previous topic - Next topic

Badshah Mamun

সাক্ষাৎকারে হলে ভুল, গুনতে হবে মাশুল

এ দেশে একটি চাকরিকে প্রায় সময়ই সোনার হরিণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বাস্তব জীবনে সত্যি সত্যি সোনার হরিণের খোঁজ কেউ পায়নি। কিন্তু সোনার হরিণরূপী চাকরির নাগাল পাওয়া যায়। তবে চাকরি পাওয়ার আগে বেশ কিছু ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়। এর মধ্যে প্রধানতম হলো ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার। এ ক্ষেত্রে যেসব ভুল একদমই করা যাবে না, সেগুলো সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক:


১. শুরুতে নয় দেরি
চাকরিপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের কিছু সময় আগেই সাক্ষাৎকার গ্রহণের জায়গায় পৌঁছে যাওয়া উচিত। অন্তত ১৫–২০ মিনিট আগে সেখানে থাকলে ভালো। রাস্তায় যানজট থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তাই সেই প্রস্তুতি মাথায় নিয়েই বের হতে হবে। তা ছাড়া নতুন জায়গার সঙ্গে নিজের মনকে মানিয়ে নেওয়ারও একটি বিষয় আছে। অনেকে সাক্ষাৎকার শুরুর সময় বেশ উদ্বিগ্ন থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো অনেকে হড়বড় করে কথা বলতে থাকেন। কেউ আবার হারিয়ে ফেলেন উপযুক্ত শব্দ, কথায় আটকে যান বারবার। তাই সাক্ষাৎকার দেওয়ার কিছু আগে গিয়ে নিজের মনকে শান্ত ও সাক্ষাৎকারের উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, সাক্ষাৎকার শুরুর সময়টায় কিছুতেই খেই হারিয়ে ফেলা চলবে না।

২. বেশভূষায় যত্ন নিন
সাক্ষাৎকারে অবশ্যই ফিটফাট হয়ে যেতে হবে। সেটি শুধু পোশাকেই নয়। আপনি হয়তো পরিপাটি জামাকাপড় পরেই গেলেন, কিন্তু আপনার শরীরী ভাষা ছিল ক্লান্ত। সে ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার গ্রহীতা তা কখনোই ইতিবাচকভাবে নেবেন না। মনে রাখবেন, ফ্যাশন শোর মতো জমকালো পোশাকে সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। পরতে হবে রুচিশীল ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই পোশাক। একই সঙ্গে শরীরী ভাষাতেও আপনাকে তরতাজা দেখাতে হবে, হতে হবে প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর।

৩. যেকোনো চাকরি চান?
একটি নির্দিষ্ট পদের জন্যই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়ে থাকে। কেউ কেউ আছেন, যাঁরা যেকোনো মূল্যে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি চান। তাই সাক্ষাৎকারেও তাঁরা বলে ফেলেন, 'আমি যেকোনো পদেই চাকরি করতে প্রস্তুত।' কিন্তু এই মনোভাব চাকরিদাতাদের সামনে উপস্থাপন না করাই শ্রেয়। একটি প্রতিষ্ঠান তার প্রয়োজনেই একটি নির্দিষ্ট পদে কর্মী নিতে চায়। সুতরাং সেই পদের জন্য নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করাটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এর বদলে যদি শোনান যে একটি চাকরি হলেই চলবে, তবে তা চাকরিদাতারা ভালো দৃষ্টিতে দেখবেন না। কারণ ওই নির্দিষ্ট পদের জন্য উপযুক্ত লোকই তাঁদের দরকার।

৪. হতে হবে আত্মবিশ্বাসী
আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকলে সাক্ষাৎকার বোর্ড থেকে ফিরতে হবে খালি হাতেই। নিজেকে যেন ক্লান্ত-বিধ্বস্ত বা অপ্রস্তুত মনে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজের মধ্যে একটি চনমনে ভাব নিয়ে আসতে হবে। সাক্ষাৎকার গ্রহীতাদের করা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে স্পষ্টভাবে। একটি উত্তরের ব্যাখ্যাও চাইতে পারেন চাকরিদাতা। তাই এর জন্যও নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। কথা বলার সময় হাত বেশি না নাড়ানোই ভালো। বরং ধীরস্থিরভাবে সাক্ষাৎকার মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখবেন, হারার আগেই হেরে যাওয়ার কোনো মানে নেই। এই বিশ্বাস রাখতে হবে মনে।

৫. শুধু নিজেকে গুরুত্ব দিলে বিপদ
সব ধরনের সাক্ষাৎকারেই চাকরিপ্রার্থীদের তাদের নিজেদের সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয়। কীভাবে ওই নির্দিষ্ট পদে ভূমিকা রাখবেন—এমন প্রশ্নও করা হয়। খেয়াল রাখতে হবে, এসবের উত্তর যেন 'আমিময়' হয়ে না যায়। হয়তো বললেন, প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি শিখতে চান, প্রশিক্ষিত হতে চান ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু প্রতিষ্ঠান তো শুধু আপনাকে শেখানোর জন্য বেতন দেবে না, তাই না? কর্মস্থলে নিত্যনতুন বিষয় শেখা, প্রশিক্ষণ পাওয়া বেশ স্বাভাবিক বিষয়। প্রতিষ্ঠানের নিয়মেই একজন নতুন কর্মী এগুলো পাবেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে আপনি কীভাবে অবদান রাখতে চান, সেই বিষয়টি না জানতে পারলে চাকরিটা দেবে কীভাবে? সুতরাং কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে চাকরিদাতা শুরুতেই আপনার পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুটা আঁচ করতে পারবেন।

৬. কোনো প্রশ্ন নেই?
সাক্ষাৎকারের শেষে নিয়োগকর্তা হয়তো বলে বসলেন, 'আপনার কি জিজ্ঞাসা আছে?' সাক্ষাৎকারও একধরনের আলাপচারিতা। আলোচনায় কিন্তু দুই পক্ষকেই সমানভাবে অংশ নিতে হয়। তাই নিয়োগকর্তার প্রশ্নের উত্তরে যদি বলে বসেন 'কোনো প্রশ্ন নেই', তবে তা কোনো ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করবে না। এতে নিয়োগকর্তারা এ–ও ভেবে বসতে পারেন যে আপনার হয়তো এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করায় আগ্রহ নেই, তাই কিছুই জানতে চান না। সুতরাং কিছু প্রশ্ন আগে থেকেই তৈরি করে রাখুন। যেমন 'এই পদে কেমন সফলতা পাওয়া যেতে পারে?' বা 'এখানকার কর্মসংস্কৃতি কেমন?' প্রভৃতি। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে নিজের আগ্রহ অন্তত প্রকাশ পাবে।

৭. সব সাক্ষাৎকারেই সমান গুরুত্ব
সাক্ষাৎকার নানা ধরনের হতে পারে। সরাসরি একক সাক্ষাৎকার, প্যানেল সাক্ষাৎকার, অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার বা গ্রুপ ইন্টারভিউ—যেটাই হোক না কেন, সমান গুরুত্বের সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে নিতে হবে বিশেষ প্রস্তুতিও। যেমন টেলিফোনে বা ভিডিওতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত নীরব স্থান বেছে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার শুরুর আগেই নিজের কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সংযোগ পরীক্ষা করে নিতে হবে। ভিডিও সাক্ষাৎকারেও কিন্তু শরীরী ভাষা ও অভিব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসব বিষয়ে হেলাফেলা করলে চলবে না।

তথ্যসূত্র: ফোর্বস ও সিএনবিসি
Md. Abdullah-Al-Mamun (Badshah)
Member, Skill Jobs
operation@skill.jobs
www.skill.jobs