News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

Is excess eligibility needed to get a job?

Started by mim, May 11, 2019, 10:01:37 AM

Previous topic - Next topic

mim

চাকরি পেতে বাড়তি যোগ্যতা কী লাগে?


সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করেছেন তাসনুভা হোসেন। বন্ধুদের পরামর্শে এবার একটি ভালো মানের জীবনবৃত্তান্ত লেখায় মন দিয়েছেন তিনি। কারণ নিয়োগকর্তাদের পছন্দের তালিকায় উঠতে প্রাথমিকভাবে জীবনবৃত্তান্তের বিকল্প তো নেই।

আনুষ্ঠানিক জীবনবৃত্তান্তে পড়াশোনার কথা থাকেই। কিন্তু বাড়তি যোগ্যতার বিষয়গুলো নিয়ে ধন্দে পড়ে গেছেন তাসনুভা। বুঝে উঠতে পারছেন না, ঠিক কী কী যোগ্যতা থাকলে নিয়োগকর্তারা সাক্ষাৎকারে ডাকবেন তাঁকে।

এখনকার প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে চাকরি পাওয়ার পূর্বশর্তগুলো বেশ বদলে গেছে। শুধু ফল ভালো হলেই এখন আর চাকরি নামক সোনার হরিণের দেখা মেলে না। তার জন্য চাই আরও কিছু বাড়তি যোগ্যতা। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু বাড়তি যোগ্যতার বৃত্তান্ত, যা জীবনবৃত্তান্তে থাকলে ডাক পাওয়া যায় সহজেই।

বিদেশি ভাষায় দক্ষতা
বর্তমানে চাকরির বাজারে বহু ভাষায় কথা বলতে পারা লোকজনের খুব কদর। এ জন্য একাধিক বিদেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন জরুরি। কারণ আপনি যদি কোনো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যান, তবে ভবিষ্যতে অন্য দেশে বদলি হওয়ার সুযোগ আসতেই পারে। আবার অনেক সময় কাজের খাতিরেই যোগাযোগ করতে হয় বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে। সেই জন্য প্রতিষ্ঠানও চায় একাধিক ভাষায় দক্ষ ব্যক্তি।

সামাজিক মাধ্যমে দক্ষতা
আজকালকার যুগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে না থাকলে কি চলে? বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয় নিয়মিত। কারণ, এ মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। এ জন্য ভার্চ্যুয়াল জগতে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে কর্মীদেরও সক্রিয় দেখতে চায় প্রতিষ্ঠান। স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থাপনের জন্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর প্রয়োজন হয়। তাই এ ধরনের দক্ষতা বাড়তি যোগ্যতা হিসেবেই বিবেচনা করেন নিয়োগকর্তারা। আবার এর উল্টো পিঠও আছে। কর্মঘণ্টা নষ্ট করে সামাজিক মাধ্যমে সময় দিলে, সেটি চাকরি চলে যাওয়ার কারণও হতে পারে। সুতরাং সাধু সাবধান!

প্রোগ্রামিংয়ের অ-আ-ক-খ
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানা থাকলে তা চাকরির বাজারে আপনাকে দেবে বাড়তি সুবিধা। সফটওয়্যার তৈরি করতে না হয় না-ই পারলেন। কিন্তু কোডিং সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞানও আপনাকে ক্যারিয়ারে এক ধাপ এগিয়ে দেবে। কম্পিউটারের যুগে কম্পিউটারের কাজ না পারলে কি চলে, বলুন?

তথ্য বিশ্লেষণ বা ডেটা অ্যানালাইসিস
একবিংশ শতাব্দীতে প্রচুর তথ্য নিয়ে কাজ করে কোম্পানিগুলো। নিজেদের উন্নতির জন্য যেমন বাজারের খুঁটিনাটি বিভিন্ন তথ্য নিয়ে কাজ করতে হয়, তেমনি গ্রাহকদের আকর্ষণ করতেও প্রয়োজন তথ্যের খেলা। এখন তথ্য নিয়ে খেলতে হলে দক্ষ খেলোয়াড় লাগবে। আর সে জন্যই তথ্য বিশ্লেষণ বা ডেটা অ্যানালাইসিসে দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। এ কাজ সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা জীবনবৃত্তান্তে লেখার সুযোগ থাকলে, তা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।

ছবি সম্পাদনা
কোম্পানিগুলো এখন ভার্চ্যুয়াল জগতে সক্রিয় থাকতে চায়, এ কথা আগেই শুনেছেন। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার কাজ তো থাকেই। আবার ওয়েবসাইটও হালনাগাদ করতে হয় সময়ে সময়ে। তাই আপনার বস যেকোনো সময় বলে বসতেই পারেন এমন কাজের কথা। যদি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি সম্পাদনা করার দক্ষতা আপনার থাকে, তবে চটজলদি বসের নির্দেশে সাড়া দিতে পারবেন। আর জানেনই তো, নিত্যকার দায়িত্বের বাইরে এইটুকু বাড়তি কাজই আপনাকে এনে দেবে বসের সুনজর!

সমস্যা সমাধানে সিদ্ধহস্ত
প্রত্যেক নিয়োগকর্তাই এমন কর্মী চান, যিনি যেকোনো সমস্যায় অগ্রণী হবেন, তার সমাধান করবেন। প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজারো সমস্যা দেখা দেয়। আর সেই সব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন দায়িত্বশীল দক্ষ কর্মী। সুতরাং নিজেকে সমস্যার সমাধানকারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই দক্ষতার কোনো সনদ হয় না। সুতরাং নিজে নিজেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করতে শব্দজট খেলতে পারেন।
আর যখনই কোনো সমস্যার মুখোমুখি হবেন, তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। প্রথমত, সমস্যাটি চিহ্নিত করে বোঝার চেষ্টা করুন। দ্বিতীয়ত, সমাধানের জন্য পরিকল্পনা ঠিক করুন। তৃতীয়ত, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরুর পর এর প্রভাব লক্ষ করুন। কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিকল্পনায় পরিবর্তনও আনতে হতে পারে।

লেখা ও বলা
কয়েকজনের সামনে কথা বলতে গেলে অনেকেরই মুখে বোল ফোটে না। এই সমস্যা দূর করতে হবে। সবার সামনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বক্তব্য দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ অফিসে নিজের কর্মপরিকল্পনা ভালো বোঝাতে হলেও তো আপনাকে কথা বলতে হবে। সেটি যত স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হবে, ততই বাড়বে আপনার গ্রহণযোগ্যতা। সুতরাং কথা বলতে গিয়ে আটকে গেলে চলবে না।
একইভাবে দক্ষতা প্রয়োজন লেখার ক্ষেত্রেও। অফিসের কাগজপত্রে হোক বা ই-মেইলে, ইংরেজিতে হোক বা বাংলায়—শুদ্ধভাবে লিখতে হবে। কারণ সেটিই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলবে, আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করবে। সুতরাং লেখা ও বলায় পটু হলে, তা আপনাকে যেমন সহজে চাকরি এনে দিতে পারে, তেমনি চাকরি পাওয়ার পর পদোন্নতি পেতেও সাহায্য করবে।

মেন্টাল ফ্লস অবলম্বনে অর্ণব সান্যাল

Source: The Daily Prothom Alo