News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

মাদকাসক্তি প্রতিরোধে পরিবারের করণীয়

Started by Rokeya, October 14, 2018, 12:08:10 AM

Previous topic - Next topic

Rokeya

সন্তান যেন মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ে সেজন্য পরিবারের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। পরিবারের সচেতন থাকতে হবে এই বিষয়ে।

মাদকাসক্তি প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২০৬তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক সালাহ্‌উদ্দিন কাউসার বিপ্লব। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : সন্তান যেন মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য পরিবারের করণীয় কী?

উত্তর : পরিবারকে প্রথমে মনে রাখতে হবে এখন মাদকটা পাওয়া যাচ্ছে। এর মানে এই পাওয়া যাচ্ছে কথাটা কিন্তু আবার গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে মাদক এখন চারদিকে রয়েছে বা ইয়াবা চারদিকে রয়েছে। সুতরাং চারদিকে যে রয়েছে, এই তথ্য কিন্তু পরিবারের থাকতে হবে। এই নেশাতে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে। সতর্কতার অনেক বিষয়। এক নম্বর বিষয় হলো সন্তানের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখা। কোন বয়সে মাদকে জড়িয়ে যেতে পারে, সেই বয়সে একটু বেশি সঙ্গ দেওয়া। তাকে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রত্যেকটা তথ্য দেওয়া। আর যখন একজন মানুষ জেনে বা না জেনে এটাতে আসক্ত হয়ে যায়, তখন কিন্তু এটা রোগে পরিণত হয়ে যায়, তখন এটি আর অভ্যাসে থাকে না। এটা কিন্তু বইপত্রের স্পষ্ট কথা। যদি রোগ হয়, তার চিকিৎসা করতে হবে। তাকে বকা দিলাম, মার দিলাম, তাকে অন্যভাবে শাস্তি দিলাম, এগুলো করে কিন্তু কোনো রোগই আপনি সারাতে পারবেন না।

একটা কথা আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই চিকিৎসা খুব দামি। অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়, অনেক সময় পাওয়াও যায় না। যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়, এটি অভিভাবকদের জন্য দেওয়া কঠিন হয়। তো এই ক্ষেত্রে আমি বলব যে চিকিৎসা করার আগেই যদি আমি তাকে সুরক্ষা দিতে পারি, আসক্ত হতে যদি তাকে বাধা দিতে পারি, সেটি কিন্তু এক নম্বর। এরপর সরকারি বিভিন্ন রকম প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে কম খরচে চিকিৎসা করা হয়। একেবারে যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, কোনো এক জায়গায় ভর্তি করতে হবে, সেখানেও সরকারের সাহায্য করতে হবে। কারণ, আসলেই চিকিৎসা দিতে গিয়ে অনেক পরিবারের খুব কষ্ট হয়ে যায়, এটা আমরা বুঝি।

সুতরাং, প্রতিরোধটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব, এই বিষয়ে সতর্ক থাকা। এটি যে ভয়াবহ এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।

Source: https://www.ntvbd.com/