News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

Bank Jobs/বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে নির্দেশনা-পর্ব ১

Started by sadia15-9913, September 27, 2018, 12:32:44 AM

Previous topic - Next topic

sadia15-9913

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে নির্দেশনা-পর্ব ১

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (জেনারেল সাইড) পদের নিয়োগ পরীক্ষাটি তিনটি আলাদা পরীক্ষার সমষ্টি। প্রথমেই এক বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর মধ্য হতে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করতে একটি ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয় (সাধারনত সেরা স্কোরধারী ৮০০০ থেকে ১০০০০ প্রার্থী) তাদেরকে একটি ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় সর্বাধিক নম্বরপ্রাপ্ত কমবেশি ১০০০ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। ২৫ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা শেষে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়। সাধারনত চূড়ান্ত মেধা তালিকার সেরা ১৬০-২০০ জনকে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
bb ad job preparation, bangladesh bank job 2018, bankingcareerbd, bankingcareerbd.com, bankingcareerbd.com website
সুতরাং একজন প্রার্থীকে প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তারপর ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় বেশ ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষায় একটু ভালো করতে পারলে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্তি সম্ভব হবে।
:
পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে প্রার্থীদেরকে বেশ দীর্ঘ একটা সময় দেয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৫-৬ মাস পরে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আরও ৫-৬ মাস পরে লিখিত পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষার ৬-৮ মাস পরে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়টুকুর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে একজন প্রার্থী তার প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে থাকতে পারেন।
:
:
পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণঃ
:
১। প্রিলিমিনারি পরীক্ষাঃ মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষাটি প্রধানত পাঁচটি বিষয়ের ওপরে অনুষ্ঠিত হয় যথা-
• ইংরেজি – ২৫ নম্বর
• গণিত ও মানসিক দক্ষতা – ৩০ নম্বর
• বাংলা – ২০ নম্বর
• সাধারন জ্ঞান – ১৫ নম্বর
• কম্পিউটার জ্ঞান – ১০ নম্বর
:
প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য প্রার্থী ১ নম্বর করে পাবেন এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য অর্জিত নম্বর থেকে ০.২৫ নম্বর করে কেটে নেয়া হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট নম্বর বিবেচনা করা হয়। সুতরাং এ পরীক্ষায় প্রার্থীকে আলাদাভাবে প্রতিটি বিষয়ে পাশ করতে হয় না। পরীক্ষার পাশ নম্বর আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা থাকে না। সাধারনত সেরা ৮-১০ হাজার স্কোরধারীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ করা হয়। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় বলা যায়, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৫৫+ নম্বর রাখতে পারলে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হওয়া যায়। যেহেতু এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটুকুই গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রস্তুতি নেয়ার সময় প্রার্থী পুরো ১০০ নম্বরের প্রস্তুতি না নিয়ে ৭০-৮০ নম্বরের জন্য ভালোমত প্রস্তুতি নিতে পারেন।
:
২। লিখিত পরীক্ষাঃ মোট ২০০ নম্বরের একটি বর্ণনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় যেসব প্রশ্ন আসে তা হল-
• Focus Writing in English – 30 marks
• Creative Writing in English – 30 marks
• Reading Comprehension – 20 marks
• English to Bangla Translation – 20 marks
• Bangla to English Translation – 20 marks
• বাংলা প্রবন্ধ রচনা – ৩০ নম্বর
• গাণিতিক সমস্যা সমাধান – ৫০ নম্বর
:
গাণিতিক সমস্যা সমাধান অংশের নম্বর একটু কমিয়ে দিয়ে অন্য কোনো প্রশ্নও দেয়া হতে পারে। যেমন ২০১৭ সালের পরীক্ষাতে গাণিতিক সমস্যা অংশে ৩০ নম্বর বরাদ্দ রেখে বাকি ২০ নম্বরের একটি Analytical Puzzle দিয়েছিল।
:
চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেতে এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিখিত পরীক্ষার নম্বরের সাথে মৌখিক পরীক্ষার ২৫ নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত স্কোর হিসাব করা হয়। যেহেতু মৌখিক পরীক্ষায় গড়ে ১৬-২২ এর মধ্যে নম্বর পাওয়া যায়, লিখিত পরীক্ষার স্কোরই অন্য প্রার্থীদের সাথে আপনার পার্থক্য গড়ে দিতে পারবে। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলোতে আলাদা আলাদা ভাবে পাশ করতে হবে না, সামগ্রিক স্কোরের ভিত্তিতে প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচনা করা হবে। ২০০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন ১১৬-১২০ নম্বর পেয়েও বিগত সালগুলোতে প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন, তবে ১৪০-১৬০ নম্বরকে সেফ জোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

৩। মৌখিক পরীক্ষাঃ চূড়ান্ত নিয়োগের পথে শেষ ধাপ হচ্ছে মৌখিক পরীক্ষা। মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর, একজন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, এইচআরডির একজন জিএম বা ডিজিএম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর- এই চারজন দ্বারা গঠিত বোর্ডের মুখোমুখি হতে হবে। বোর্ড সাধারনত কয়েকটি বিষয়ে প্রার্থীকে প্রশ্ন করে থাকে যথা-
• প্রার্থীর ব্যক্তিগত বিষয়াবলী, পারিবারিক বৃত্তান্ত, নিজ জেলা বা এলাকা সম্পর্কে খুঁটিনাটি,
• প্রার্থীর academic background থেকে basic কিছু প্রশ্ন এবং এসব প্রশ্ন ধরে কিছু critical প্রশ্ন,
• জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কিছু প্রশ্ন,
• বিভিন্ন ব্যাংকিং terms, ব্যাংক সম্পর্কে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা,
• প্রার্থী কেন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দিতে ইচ্ছুক, তার গ্রাজুয়েশন সাবজেক্ট কিভাবে এই পেশার সাথে সম্পর্কিত বা কিভাবে তার গ্রাজুয়েশন সাবজেক্টের জ্ঞান তাকে এই পেশায় কাজ করতে সহায়তা করবে ইত্যাদি।
:
মৌখিক পরীক্ষায় মোট ২৫ নম্বরের মধ্যে পাশ নম্বর ১৫। প্রশ্ন করার পাশাপাশি বোর্ড একজন প্রার্থীর শব্দচয়ন, বাচনভঙ্গি, বিভিন্ন ইস্যুতে তার দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি নানা দিকেও লক্ষ্য রাখেন।

Source:Google