News:

Skill.jobs Forum is an open platform (a board of discussions) where all sorts of knowledge-based news, topics, articles on Career, Job Industry, employment and Entrepreneurship skills enhancement related issues for all groups of individual/people such as learners, students, jobseekers, employers, recruiters, self-employed professionals and for business-forum/professional-associations.  It intents of empowering people with SKILLS for creating opportunities, which ultimately pursue the motto of Skill.jobs 'Be Skilled, Get Hired'

Acceptable and Appropriate topics would be posted by the Moderator of Skill.jobs Forum.

Main Menu

কম্পিউটার সায়েন্সে গড়ুন যুগোপযোগী ক্যারিয়ার

Started by mostafijur15-7863, August 14, 2018, 04:56:07 PM

Previous topic - Next topic

mostafijur15-7863

তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) জনপ্রিয় বিষয়। আজকাল অনেকেই উচ্চশিক্ষায় বেছে নিচ্ছে সিএসই। এ বিষয় পড়াশোনায় শিক্ষার্থীরা সর্বত্রই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় থাকে বলে শিক্ষাকে শুধু পড়াশোনার চাপ হিসেবে না নিয়ে আনন্দ ও বিনোদনের অংশ খুঁজে পায়। অন্যদিকে গড়ে উঠতে থাকে চাকরির ক্যারিয়ারও। দিন দিন এ কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের চাহিদা যেমন বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। বাংলাদেশের অনেক সিএসই ইঞ্জিনিয়ারই বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে চাকরি করছে। তবে শুধু চাকরিই নয়, যারা নয়টা-পাঁচটা অফিস করতে চান না তাদের জন্য রয়েছে ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে আয়ের সুযোগ। সিএসই বিষয়টি প্রধান কর্মক্ষেত্র হচ্ছে শিক্ষকতা, গবেষণা, প্রোগ্রামিং। এসব সেক্টরের পাশাপাশি সুযোগ থাকছে ব্যাংক, কর্পোরেট হাউস, মিডিয়াসহ প্রায় সব জায়গায়। বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে সবচেয়ে বড় সহযোগী হতে পারে দেশের সিএসই পড়–য়া শিক্ষার্থীরা।

কম্পিউটার সায়েন্সের কর্মক্ষেত্র ও ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিশদভাবে ধারণা পেতে যোগাযোগ করা হয় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সহকারী অধ্যাপক শাইলা রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশও তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়টি বেশ ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে হলে তাত্ত্বিক বিষয়ের পাশাপাশি প্রায়োগিক বিষয়েও ভালো ধারণা থাকতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অত্যাধুনিক কম্পিউটার রয়েছে; দ্রুতগতির ইন্টারনেট এছাড়াও রয়েছে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। এর ফলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই পাচ্ছে পড়াশোনার প্রয়োজনীয় সব তথ্য।

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সহকারী অধ্যাপক শাইলা রহমানের সাক্ষাৎকার

প্রশ্ন : সিএসইকে ক্যারিয়ার হিসেবে কেন বেছে নেবে এবং কারা বেছে নিতে পারে?

শাইলা রহমান : যেহেতু বর্তমানে চারপাশের সবকিছু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে; তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং স্মার্ট পেশা হিসেবে কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং সঠিক পছন্দ হতে পারে। কেননা এখানে চাকরির সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। সুতরাং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য সিএসই অবশ্যই বেছে নিতে পারে। যেসব শিক্ষার্থী চিন্তাশীল, একটি বিষয়ে ধৈর্য সহকারে লেগে থাকার মানসিকতা রাখে তারাই এ বিষয়ে ভর্তি হতে পারে।

প্রশ্ন : সিএসইকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিলে ভবিষ্যতে কী সুবিধা পাওয়া যাবে?

শাইলা রহমান: দেশ এখনই বেশ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ পেশার সম্ভাবনা আরও বাড়বে। চাকরির ক্ষেত্রও প্রসারিত করবে।

প্রশ্ন : পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পড়শোনার কোনো প্রভাব আছে কিনা এ সাবজেক্টে?

শাইলা রহমান: বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাত্ত্বিক বিষয়গুলোর সঙ্গে সঙ্গে প্রায়োগিক বিষয়গুলোর ওপর বেশ জোর দেয়া হচ্ছে। তাই বর্তমানে পাবলিক কিংবা প্রাইভেট কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই পিছিয়ে নেই। সবাই এখন দেশে শিক্ষিত নাগরিক গড়তে সমান ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার মানসিকতা থাকলে এখন প্রতিষ্ঠান বড় কোনো বাধা নয়।

প্রশ্ন : সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলোই কি যথেষ্ট?

শাইলা রহমান: নির্ধারিত কোর্সগুলো যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। এখানে সব বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। প্রাথমিক ধারণার জন্য কোর্সগুলো খুবই দরকারি। তবে সময় স্বল্পতার কারণে হয়তো কোর্সগুলো বিশদভাবে আলোচনা করার সুযোগ থাকে না। তাই শিক্ষার্থীদের কাজ হবে নিজ উদ্যোগে বিষয়টির ওপর অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া।

প্রশ্ন: সিএসইতে অনেক বিষয়ের মধ্যে কোনোটিতে বেশি ফোকাস করলে ভালো ক্যারিয়ার সম্ভব?

শাইলা রহমান: সবক'টি বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। তবে সিএসই শিক্ষার্থীদের বড় প্রতিষ্ঠানে ভালো পজিশনে চাকরি পেতে হলে প্রোগ্রামিংয়ে ভালো দখল থাকতে হবে। মূলত সি++, জাভা প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা, ডাটা স্টাকচার, আলগরিদম, ডাটাবেজ ও সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আবেদনকারীর ভালো দখল আছে কিনা বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তা যাচাই করে। এছাড়া বিদেশী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কতটা দখল আছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

প্রশ্ন: ছেলেমেয়ে উভয়েরই কি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ থাকছে সিএসইতে?

শাইলা রহমান: তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লবের এ যুগে ছেলেমেয়ে উভয়েই ভর্তি হচ্ছে এইবিষয়ে। সবাই সাফ্যলের সঙ্গে কাজও করছে। বরং কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করা মেয়েদের জন্য বেশ সুবিধার। কেননা এ পেশায় অফিসিয়াল কাজ বেশি; তাই এ পেশায় মাঠ পর্যায়ের কাজ করতে হয় না। তাছাড়া অনেক মেয়েই ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছে। এতে মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তার পরিবারকেও সময় দিতে পারছে। আর এ পেশায় ছেলেদের বর্তমান দখলদারিত্ব প্রমাণ করে এ পেশা ছেলেদের জন্য কতটা উপযোগী।

প্রশ্ন: ট্রেনিং সেন্টারগুলো কি কোনো কাজে আসতে পারে?

শাইলা রহমান: ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে একটি বিষয়ই বিশদভাবে শেখানো হয়। এতে অবশ্যই শিক্ষার্থীর ওই বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা চলে আসে এবং শিক্ষার্থীর যে বিষয়ে আগ্রহ বেশি সেই বিষয়টি বিশদভাবে শিখতে পারে। এখানে শিক্ষার্থী বুঝতে পারে সেই বিষয়ে সে কতটা ভালো কাজ করতে পারবে। তবে সেটি অব্যশই নির্ভর করে ট্রেনিং সেন্টারে কেমন শিক্ষক পড়াচ্ছেন তার ওপর। তবে ট্রেনিং সেন্টারগুলো বর্তমানে ভালো ভূমিকা রাখছে।

প্রশ্ন: বিদেশে পড়তে যাওয়া এবং সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির সুযোগ কতটা?

শাইলা রহমান: আমাদের সিএসই শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিএসসি করেই চাকরিতে যোগ দেয়। ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালগুলোতে পিএইচডি করতে হলে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকা চাই। আর সঙ্গে থাকা চাই ইংরেজিতে ভালো দখল। এসব থাকলে কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়ার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। আইএলটিএস অথবা জিআরইতে একটু ভালো স্কোর করতে পারলে বিশ্বের যে কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করা সম্ভব। আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকে তা করছেও। বাংলাদেশী দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের দেশি-বিদেশি নামকরা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ হচ্ছে। অনেকেই আইবিএম, মাইক্রোসফ্ট ও গুগলের মতো বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাচ্ছে।

প্রশ্ন: সিএসইতে পড়ার পর কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে চাই, অন্য সেক্টরেও কাজ করার সুযোগ আছে কি?

শাইলা রহমান: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামার ও নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের চাহিদাও দিন দিন বেড়ে চলছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরও কাজের পরিধি বাড়ছে। তবে দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের কাজের পরিধি বেড়েছে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস করেই ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া হাউসসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই সিএসই শিক্ষিতদের দরকার হচ্ছে। সরকারি বহু প্রতিষ্ঠানে আইটি সেল খোলা হয়েছে। সব দিক থেকে বিবেচনা করলে সিএসইতে চাকরির সুযোগ এখন পর্যাপ্ত। ভবিষ্যতে এ সেক্টরে চাকরির সুযোগ দিন দিন বাড়ছে।



source: www.jugantor.com